রোকনীগঞ্জ মাজারের ৬৪ তম বাৎসরিক অধিবেশনে একদিন
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ১২ ই মার্চ ২০২৫ ইং
রোকনীগঞ্জ মাজার বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম পীরের মাজার। আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় পীরের মাজার রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রোকনীগঞ্জ মাজার। বেশ কিছু দিন আগে আমি গিয়েছিলাম রোকনীগঞ্জ মাজারের ৬৪ তম বাৎসরিক অধিবেশনে। আসলে এই মাজারের মধ্যে প্রায় ৬৪ বছর ধরে বাৎসরিক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।আর প্রতি বছরই এখানে একটি করে বাৎসরিক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। তবে, করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েকবার এই প্রোগ্রাম টি বন্ধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবারও এবছর এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ কয়েক টি বছর পর এই প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত হ ওয়ার কারণে আমি গিয়েছিলাম এই প্রোগ্রামের মধ্যে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের একুশ তারিখে এই প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর বেশ বড় আকারে এই প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত হয়।এই প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত করার জন্য রোকনীগঞ্জ মাজার এলাকার মানুষেরা সংঘবদ্ধভাবে প্রোগ্রামের সকল ধরনের কাজ করার চেষ্টা করে।আর এই প্রোগ্রাম টি অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রায় এক মাস আগে থেকেই অনুষ্ঠানের যাবতীয় কাজ সাজানো এবং গোসানো শুরু করে দেয়া হয়। আর এই গ্ৰোগ্ৰাম টি সারারাত ব্যাপী হয়ে থাকে। সকাল বেলা মোনাজাত শেষে সকল শ্রোতাদের কে কিছু পরিমাণ তবারক প্রদান করা হয়।এটা আসলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমরা মূলত মাগরিবের পর এই জায়গার মধ্যে গিয়েছিলাম। আসলে সন্ধ্যার পর এই মাজারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড় জমে যায়। কেননা, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই জায়গার মানুষেরা আসে।তাই অনেক বেশি ভীড় জমে যায়। আমরা সেদিন মাগরিবের পর সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম খুব একটা বেশি ভীড় জমেনি এখনো। আমরা সর্বপ্রথম মাজারের মঞ্চে প্রবেশ করার চেষ্টা করলাম। মাজারের মঞ্চে প্রবেশ করার জন্য মাজারের মূল গেটের সামনে চলে গেলাম। মাজারের মূল গেটের সামনে কিছু টা ভীড় ছিল। আমরা মানুষের ভীড় ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলাম।
ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখতে পারলাম মঞ্চের মধ্যে খুব একটা মানুষের ভীড় নেই। কিন্তু রাস্তা ঘাট গুলোর মধ্যে একটু বেশি ভীড় জমে উঠেছে। আসলে এখনকার সময়ের মানুষ আর মঞ্চে বসে আলোচনা শুনতে চায় না। মানুষ এখন অনেক টা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আমরা নিজেরাও অধিবেশনের মঞ্চের চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম আর দেখছিলাম। কিন্তু আমরা মঞ্চের মধ্যে বসেছিলাম না। আমরা মূলত সেখানে দেখার জন্য গিয়েছিলাম। আমরা মূলত চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম আর দেখার চেষ্টা করছিলাম। যতই সময় অতিবাহিত হচ্ছে ততই মানুষের ভীড় জমে গিয়েছিল।
আমরা চলে গেলাম পীরের মাজারের মধ্যে। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক মানুষ মাজারের মধ্যে মোনাজাত করছিল। আমরা দুর থেকেই দেখছিলাম সব কিছু কার্যক্রম। এরপর চলে গেলাম মাজারের রান্না করার জায়গায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক মানুষ মাজারের মধ্যে অনেক কিছু মান্নত করেছে।আর যে জায়গায় মাজারের রান্না করছিল, সে জায়গা টি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।তাই আমরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি। যাইহোক, আমরা চারদিকে ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে আসি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://x.com/Riyadx2P/status/1899777970522497268?t=7wYojy4J9QkzWJOvQ9_vSA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার রোকনীগঞ্জ মাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুবই হৃদয়স্পর্শী এবং অনুপ্রেরণামূলক। বিশেষত, করোনার পর পুনরায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হওয়া এবং মানুষের ভিড় জমা হওয়ার বর্ণনা একটি বাস্তব অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। মাজারের রান্নাঘর এবং মোনাজাতের দৃশ্যগুলি খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
রোকনীগঞ্জ মাজারের ৬৪ তম বাৎসরিক অধিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে। রোকনীগঞ্জ মাজারের ৬৪ তম বাৎসরিক অধিবেশন শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানই নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি জীবন্ত অংশ। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আমাদের শেকড়ের সাথে যুক্ত করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।