ভ্রমণ পোস্ট: সৈয়দপুর শিল্প ও পণ্য মেলা ভ্রমণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ০১ ই জুলাই ২০২৫ ইং
বছরের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট সৈয়দপুর শিল্প ও পণ্য মেলা ২০২৫ শুরু হয়েছে সম্প্রতি। শহরজুড়ে একটু অন্যরকম আমেজ। গতকাল দুপুরে, রোদটা যখন মাথার ওপরে, আমি আর আমার বন্ধু বেরিয়ে পড়লাম মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। দুপুরে সাধারণত মানুষ একটু কম বের হয়, কিন্তু আমাদের কৌতূহলটা ঠিক সেখানেই ছিল ভিড়ের আগেই ঘুরে দেখা, সবকিছু নিজ চোখে দেখা।গেট পার হওয়ার সাথে সাথেই চোখে পড়ল বিশাল মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্টল আর প্রস্তুতির ধোঁয়া ধোঁয়া গন্ধ। দুপুর বলেই মেলায় তখনো তেমন ভিড় জমেনি। তবে এটা যেন একরকম আশীর্বাদ ছিল আমাদের জন্য।
নিরিবিলি পরিবেশে আমরা এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘুরে দেখতে পারছিলাম অবাধে।প্রথমেই গেলাম হস্তশিল্পের দিকে। কাঠ, মাটি, বাঁশ আর পাট দিয়ে তৈরি জিনিসগুলোতে হাতের তৈরি করা জিনিস পত্র গুলোর নিকট। মেলার এই দিকটাই আমার সবথেকে প্রিয় লোকজ সংস্কৃতি ও স্থানীয় শিল্পের এমন সরাসরি সাক্ষাৎ শহরের নিয়মিত জীবনে মেলে না। আমি একটা বাঁশের কলমদানি কিনে নিলাম, আর আমার বন্ধু নিল মাটির তৈরি একটা ছোট্ট পেঁচা যা, দেখতেই ছিল অসাধারণ।দুপুরের রোদ একটু একটু করে গরম করছিল বটে, কিন্তু মেলার মধ্যকার ছায়া দেওয়া স্টল আর হালকা বাতাসে সেটা একদমই কষ্টকর লাগেনি।
ফাঁকা মাঠে হাঁটতে হাঁটতে, প্রতিটা স্টলের মানুষদের সঙ্গে দুই-একটা কথা বলার সুযোগও হলো। অনেকেই খুব আন্তরিকভাবে তাদের পণ্যের গল্প বলছিলেন কে কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে বানিয়েছেন, এবং কীভাবে এই মেলায় বিক্রির আশায় এসেছেন।একটু পরে গেলাম ফুড কর্নারে। দুপুর বলে কিছু দোকান তখনও পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে একটা স্টলে গরম গরম সিঙ্গারা আর বেগুনি পাওয়া গেল। সঙ্গে একটা ঠান্ডা লেবুর শরবত। খাওয়ার টেবিলে বসে খানিকটা রেস্ট করলাম। আশেপাশে কয়েকজন ফ্যামিলি এসেছেন, ছোট বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছে, হাসছে, কেউ কেউ বেলুন কিনে নাচছে ।
এই চিত্রগুলো দুপুরের সেই গরমটাকেও মিষ্টি করে তুলছিল।হঠাৎ করেই পরিচিত একজনের সাথে দেখা। সেই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে বলতে মেলার গেটের দিকে একটু হেঁটে গেলাম। ততক্ষণে কিছু কিছু নতুন স্টল খুলতে শুরু করেছে। মঞ্চ তৈরি হচ্ছে, কোথাও কোথাও লাইট বসানো শুরু হয়েছে। বোঝা যাচ্ছিল, মেলাটা সন্ধ্যার দিকেই বেশি জমে উঠবে। কিন্তু সেই দুপুরবেলা, যখন সূর্য মাথার ওপর, মাঠটা অর্ধেক ফাঁকা, আর চারপাশে নিরব প্রস্তুতির শব্দ এই বিশেষ মুহূর্তগুলোই যেন অনেক বেশি আপন, অনেক বেশি স্মৃতিময়।
শেষে ভাবলাম, এটা তো কেবল শুরু। সৈয়দপুর মেলা এবারও ধীরে ধীরে শহরবাসীর প্রাণে ছড়িয়ে পড়বে রঙে, শব্দে, গন্ধে আর আনন্দে। আর আমরা ঠিক করেছি, আবার আসবো তবে সন্ধ্যাবেলায়, পুরো মেলাটা যখন আলোর রোশনাই আর মানুষের কোলাহলে কানায় কানায় ভরে উঠবে।কারণ সৈয়দপুর মেলা মানে শুধু কেনাকাটা না, এটা একসাথে বাঁচার, হাসার আর নতুন করে শহরটাকে ভালোবাসার উপলক্ষ।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Daily task
https://x.com/Riyadx2P/status/1939851935903003049?t=Y443GDJ1l3Kqy9rRkyCkCQ&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1939852136067838197?t=Y443GDJ1l3Kqy9rRkyCkCQ&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1939852323758776785?t=Y443GDJ1l3Kqy9rRkyCkCQ&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1939852403614072984?t=Y443GDJ1l3Kqy9rRkyCkCQ&s=19
https://x.com/Riyadx2P/status/1939852640630055364?t=Y443GDJ1l3Kqy9rRkyCkCQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও ভ্রমণ করতে অনেক ভালবাসি৷ তবে এখন সময় সল্পতার কারণে তেমন একটা কোথায় যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট দেখে খুব ভালই লাগছে৷ আর মেলায় ভ্রমন করার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক কিছুই দেখি৷ অনেক নতুন কিছু সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকি৷ আর আজকে আপনি সেরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷