চলছে কৃষকদের মাঠে ঘাটে আলু তোলার উৎসব
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ১৪ ই মার্চ ২০২৫ ইং
চলছে বসন্ত কাল।আর এই বসন্ত কালে প্রতিটি আলু চাষী কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। প্রতিটি কৃষক দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত পরিশ্রমী করে আলু চাষ করেছেন। এবছর ছিল না তেমন কোন আলুর রোগ বালাই। আসলে এবছর শীতের পরিমাণ কম থাকায় আলুর ফলন কিছু টা বৃদ্ধি পেয়েছে।এটা আমাদের কৃষক ভাইদের জন্য খুবই উপকারী হয়েছে। শীতের পরিমাণ বেশি হলে হয়তো আলুর ফলন অনেক টা কম হয়ে যেত। তখন অনেক কৃষক লসের সম্মুখীন হতেন। বিশেষ করে এবছর আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে আলুর ফলন অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এবছর আলুর দাম তেমন একটা নেই। তবু ও আলুর ফলন বেশি হ ওয়ার কারণে কৃষকরা লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন। অন্যথায় যদি আলুর ফলন খারাপ হয়ে যেত তাহলে অনেক কৃষক এবছর লসের সম্মুখীন হতেন।
বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে আলু তোলার একটি ধুম পড়ে গিয়েছে।যে যেভাবেই পারছেন, সে সেভাবেই তাদের আলু গুলো জমি থেকে তুলে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন। এবছর আলু চাষীরা অনেক টা হতাশাগ্রস্থ। কেননা, প্রতিবারের তুলনায় এবছর আলুর দাম অনেক টা কম।লাভের পরিমাণ খুবই কম এবছর। যাইহোক, সকল কৃষক তাদের আলু ক্ষেত থেকে আলু তুলে আলুর বীজ গুলো কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে রাখার একটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা এবছর আলুর কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে আলু রাখা অনেক টা কষ্টকর। আলুর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আলু চাষী ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবছর।তাই এতো পরিমাণ আলু কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে রাখা সম্ভব নয়। যারা আগে আগে সিরিয়াল নিয়ে রাখছেন তারা আলু রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।
আর যারা সিরিয়াল নিতে দেরী করছেন এবং আলু উঠাতে দেরী করছেন তারা হয়তো এবছর তাদের আলু গুলো কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে রাখার সুযোগ পাবেন না, এটা আসলেই তাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার।গত দুই দিন আগে আমি গিয়েছিলাম আমাদের আলু উঠানোর কার্যক্রম দেখার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম সকলেই বেশ তাড়াহুড়ো করে আলু তোলার চেষ্টা করছে। কেননা, তারা তাদের আলু গুলো কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে রাখবেন। আমাদের উত্তর বঙ্গের মানুষ কাজ করতে ভালোবাসেন।তাই আমাদের উত্তর বঙ্গের গ্ৰাম এলাকার যেসব মানুষ রয়েছে, তারা প্রতি বছর আলু উত্তোলনের কাজ করে প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করে থাকে।
আমি আমাদের আলু ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম বেশ কিছু মানুষ আমাদের আলু গুলো তোলছেন।আর এই সময়ে সকলেই আলু তোলার মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক আলু চাষী কৃষক রয়েছেন যারা শ্রমিকদের অভাবে তাদের আলু গুলো তোলাতে পারছেন না। আশা করছি তারা খুবই তাড়াতাড়ি আলু উত্তোলন করার জন্য শ্রমিক পেয়ে যাবেন।আমি আমাদের আলু তোলা শ্রমিকদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে কাজ করছিলাম। কেননা, আমরা আমাদের এই আলু গুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুলতে পারবো ততই আমাদের জন্য ভালো। আমরা তাহলে খুবই তাড়াতাড়ি কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে আলু রাখতে সক্ষম হবো। তবে, অন্যান্য সব বছরের মধ্যে এতো বেশি চাপ ছিল না।
পূর্বের কয়েকটি বছরে আমরা একদম ধীরে ধীরে আলু উত্তোলনের কাজ করছিলাম। তখন কোন ধরনের চাপ ছিল না।আর কোল্ড স্টোরেজ তখন প্রায় এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত চালু ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটি কোল্ড স্টোরেজ সাত থেকে দশ দিনের মধ্যেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে।তাই সকলের বেশ দৌড়াদৌড়ির উপর রয়েছে। কেননা, প্রতিটি কৃষকের আলুর বীজ প্রয়োজন।আর কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে আলুর বীজ না রাখলে পরবর্তী তাঁরা আর আলু চাষ করতে পারবেন না। আশা করছি প্রতিটি আলু চাষী কৃষক তাদের আলু গুলো একদম সুষ্ঠু ভাবে কোল্ড স্টোরেজের মধ্যে রাখার সুযোগ পাবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://x.com/Riyadx2P/status/1900431449993658682?t=A26-v0zJp0XElK4PRLV_HQ&s=19
আলু চাষ এমন একটি ব্যবসা যেখানে দাম শেয়ার বাজারের মতো ওঠানামা করতে থাকে। হুগলি জেলায় বসবাস করি বলে আলু চাষ চোখের সামনে অনেক দেখতে পাই। আসলে পশ্চিমবঙ্গে হুগলি জেলা হলো আলু উৎপাদনে সর্বোচ্চ একটি জেলা। আপনার দেওয়া আলু চাষের ছবিগুলি দেখে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু আলুর দামের অভাবে কৃষকদের পরিস্থিতি দেখলে খারাপ লাগে।
আলু উত্তোলনের কাজ চললেও কৃষকেরা এই কাজে খুব একটা খুশী নয়। কারণ এই বছরে আলুর দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে। আর এই জন্য সব জেলাতেই আলু কোল্ড স্টোরে রাখা হচ্ছে।
আপনার আগেও বেশ কয়েকটা পোস্টে পড়েছিলাম আপনাদের ওদিকে এবার আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হলে সেগুলো উত্তোলনের সময় কৃষকরা অনেক খুশি থাকে। তবে সঠিক মূল্য না পেলে আসলেই তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এবার আলুর ফলন বেশি হলেও দাম তুলনায় অনেক কম। তাই কৃষকরা খুশি নয়। তবে এ বছর শুধু আলু না সবরকম সবজির তুলনামূলক দাম অনেকটা। তাই কৃষকদের মুখে তেমন হাসি নাই,দেখলে অনেক খারাপ লাগে।
কৃষকদের এমন কৃষিকাজগুলো আমি খুব পছন্দ করি। গ্রামে গেলেই প্রথমেই আমি ফসলের মাঠগুলো দেখার চেষ্টা করি। যদিও আমাদের ফসলের মাঠগুলো অন্যান্য মানুষের চাষ করে থাকে আবাদ করে থাকে তবুও ভালো লাগা রয়েছে আমার ব্যাপক। আর এমন কৃষি কাজ যদি থাকে সেখানে তাহলে তো অনেক অনেক ভালো লাগা খুঁজে পায়। আলু সংরক্ষণ করা দেখতে ভালো লাগলো।