শরতের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য একদিন কাশবনে

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কাশবনের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

শরৎ মানেই কাশফুল।আর কাশফুল মানেই শরৎকাল। কাশফুলের মাধ্যমেই শরৎকালের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। শরৎকাল কে আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি মৌসুম বলে থাকি। আসলে, শরৎকাল যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে আরো নতুন রুপে সাজিয়ে তোলে। প্রতিটি ঋতু এক নতুন সৌন্দর্য নিয়ে আসলে ও শরৎকাল আমাদের মাঝে একদম ভিন্ন ভাবে আসে এবং আমাদের কে নতুন কিছু সৌন্দর্য উপহার দিয়ে যায়। বিশেষ করে শরৎকালে চারদিকে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সৌন্দর্য আরো ভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তোলে ।আর এই সৌন্দর্য আমাদের সকলের কাছেই প্রশংসনীয়। আমরা প্রতিবছর শরৎকালের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। বিশেষ করে শরৎকালের একটি বড় সৌন্দর্য হচ্ছে কাশফুল। বাজারের মধ্যে কাশফুলের দাম না থাকলে ও এর সৌন্দর্য মানুষ কে আকৃষ্ট করে তোলে। কাশফুল শরৎকালের সৌন্দর্য কে আরো সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলে।

ফুল হীন কাশফুলের গাছ দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না। কিন্তু যখন সাদা আকাশের নিচে সবুজ রঙের কাশফুলের গাছের মধ্যে সাদা রঙের কাশফুল বের হয়, তখন কাশফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।আর কাশফুল নিয়তির একটি বড় সৃষ্টি।আর যখন শরৎকালের মৃদু হাওয়ায় কাশফুল গুলো দোলা দেয়, তখন কাশফুল গুলো দেখলে মনের মধ্যে আলাদা রকম আনন্দ কাজ করে। বিশেষ করে যারা এরকম কাশফুলের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখেছেন তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন। যারা এখন পর্যন্ত কাশফুলের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারেননি, তারা চাইলে কাশবনে গিয়ে এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারেন।

কাশফুল তুমি ছুঁয়ে দিয়ো তাকে
প্রতিটা মুহূর্ত আমি ভালোবাসি যাকে।

শরৎকাল শুরু হ ওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে কাশফুলের আনাগোনা। বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে প্রবেশ করলেই শুধু মাত্র কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই কাশবনের মধ্যে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্টাইল দিয়ে ছবি উঠিয়ে সোসাল মিডিয়ার মধ্যে পোস্ট করছে।আর তাদের সুন্দর সুন্দর কাশফুলের সাথে উঠানো ছবি গুলো দেখে বেশ ভালোই লাগে।আর তাদের এতো সুন্দর সুন্দর ছবি গুলো দেখে বেশ কিছু দিন ধরে কাশবনের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা করছিল। কাশবনের মধ্যে ঘুরতে গেলে হয়তো খুবই সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারবো এবং সেই ছবি গুলো সোসাল মিডিয়ার মধ্যে পোস্ট করতে পারবো। এরকম চিন্তা ভাবনা বেশ কয়েকদিন থেকে আমার মাথায় ঘোরাঘুরি করছিল।

তো আমি কাশবনের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমার এক বন্ধু কে বললাম, সে এককথায় যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। আমাদের গ্ৰামের আশেপাশের তেমন একটা কাশবন ছিল না। আমরা আমাদের এক বন্ধুর কাছে থেকে বেশ কয়েকটি কাশবনের সন্ধ্যান নিয়ে নিলাম।আর সেই কাশবন গুলো আমাদের বাসা থেকে কিছু টা দূরে।তাই আমরা ভাবলাম পরদিন বিকাল বেলা বাইক নিয়ে কাশবনের মধ্যে ঘুরতে যাবো। পরদিন বিকাল বেলা আমি আমার বন্ধু সহ চলে গেলাম কাশবনের মধ্যে। এই কাশবন টি আমাদের বাসা থেকে কিছু টা দূরে। আমাদের বাসা থেকে প্রায় পনের থেকে ষোল কিলোমিটার হবে।তাই আমাদের কাশবনের মধ্যে যেতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লেগেছিল।আর আমরা বিকাল বেলা কাশবনের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম।

কাশবনের মধ্যে ঘুরতে গিয়ে দেখতে পারলাম কাশবনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভীড়। তারা প্রত্যেকেই কাশফুলের সাথে ছবি উঠানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন স্টাইলের মাধ্যমে ছবি তুলছেন। আবার অনেকেই তাদের প্রিয়জন, বন্ধুবান্ধব এবং আত্নীয় স্বজনের সাথে ঘুরতে আসছে।আর এই কাশবনের একদম পাশেই ছিল একটি ফূটবল খেলার মাঠ। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে তাদের ফুটবল খেলা দেখছিলাম। এরপর দেখলাম কাশবনের মধ্যে মানুষের ভীড় কিছু টা কমিয়ে গেছে। এখন আমি এবং আমার বন্ধু সহ চলে গেলাম ছবি উঠানোর জন্য। এরপর আমরা কাশফুলের সাথে বেশ কয়েকটি ছবি তুললাম। অবশেষে আমাদের ছোট একটি স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি। আপনারা কারা কারা কাশবনের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমাকে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।