শীত কে উপেক্ষা করে নতুন ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গ্ৰামীন কৃষকেরা
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ০২ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ।এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষি কে পেশা হিসেবে বেছে অনেক মানুষ তাদের জীবন পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছর ধারাবাহিক ভাবে একটির একটি ফসল চাষাবাদ করে থাকেন আমাদের দেশের কৃষকেরা।আর এই ধারাবাহিকতা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।আর এভাবেই চলবে আমাদের দেশের কৃষি কাজ গুলো। বেশ কিছু দিন আগে আমাদের দেশের মধ্যে আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের পর বেশ কিছু দিন যাবত আমাদের দেশের কৃষকেরা কৃষি কাজ থেকে বিরত ছিলেন, এই সময়টা ছিল প্রতিটি কৃষকের জন্য একটি বিশ্রামের সময়। প্রায় প্রতি বছরই এই সময়ে বাংলাদেশের কৃষকেরা বেশ কিছু দিন বিশ্রাম নেয়।
আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে প্রচন্ড পরিমানে কুয়াশা পড়েছিল।আর কুয়াশার সাথে সাথে হালকা পরিসরে ঠান্ডা বাতাস বয়ছিল।সব কিছু মিলিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মানুষ ঠিক ভাবে চলাফেরা এবং কাজ করতে পারছেন না। তবু ও অনেক কৃষক এই প্রচন্ড শীত কে উপেক্ষা করে ইরি ধান রোপণের কাজ করছে।এটা আসলেই আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষকের একটি বৈশিষ্ট্য। কেননা, কৃষকেরা অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ কে উপেক্ষা করে সব সময় মাঠের মধ্যে কাজ করার চেষ্টা করেন। অনুরুপ ভাবে এবারের ইরি ধান রোপণের সময় প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে। কিন্তু তবুও আমাদের দেশের কৃষকদের কৃষি কাজ থেকে নেই। তারা দুর্বার গতিতে ইরি ধান ক্ষেত তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।
গতকাল সকাল বেলা আমি গিয়েছিলাম আমাদের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার এক নং খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের তেকানীর মাঠে। আমরা যখন আমাদের মাঠের মধ্যে গিয়েছিলাম, তখন আমরা দেখতে পারলাম প্রতিটি কৃষক তাদের জমিতে ইরি ধান রোপণের জন্য কাজ করছিল। আসলে এই শীতের মধ্যে পানিতে নেমে কাজ করা অনেক টা কষ্টকর। এই বিষয়ে আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন। আসলে প্রতি বছর কৃষকেরা এমন ধরনের কষ্টকর কাজ গুলো একদম সঠিক ভাবে সম্পন্ন করেছেন। এটা আসলেই আমাদের দেশের কৃষকদের থেকে বড় একটি পাওয়া।
আমন ধান চাষ করার জন্য আমাদের কে সেচ দিতে হয় না। কিন্তু অপরদিকে ইরি ধান চাষ করার জন্য আমাদের কে সেলো মেশিন ব্যবহার করে জমিতে পানি সেচ দিতে হয়।পুরো আমন ধানের সিজনে এই মেশিন ব্যবহার করতে হয়।আমন ধান একদম প্রাকৃতিক পানি দিয়ে আবাদ হয়ে যায়।আমন ধান চাষে আমাদের কে এতো বেশি কষ্ট করতে হয় না, কিছু ইরি ধান রোপণের সময় আমাদের কে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। তবে, অতীতের তুলনায় বর্তমানে সময়ে আমাদের কৃষি কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে। অতীতে যখন আমাদের দেশের মানুষেরা যখন ইরি ধান চাষ করতেন, তখন কৃষকেরা কুপ থেকে বালতি ব্যবহার করে পানি সেচ দিতো। কিন্তু এখন কৃষি কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক আমরা পুরো মাঠের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে সকল কৃষকের কৃষি কাজ করা দেখছিলাম। সকলেই ঠান্ডার মধ্যে অনেক কষ্ট করে কাজ করছিলেন। অনেকেই জমির মধ্যে সার প্রয়োগ করেছিলেন। আবার অনেকেই তাদের সেলো মেশিন ব্যবহার করে জমিতে পানি সেচ দিচ্ছিলেন। আসলে তাদের কৃষি কাজ করা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। শুধু মাত্র গ্ৰামের মধ্যে থাকলেই এমন ধরনের দৃশ্য গুলো দেখা যায়।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কৃষি কাজগুলো উপভোগ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।। আমি ছোটবেলায় এগুলো অনেক দেখেছি এবং ফসলের মাঠে তুলেছি। এখন সেভাবে তো আর সম্ভব হয়ে ওঠে না কিন্তু ফটোগ্রাফি করতে যেতে খুব পছন্দ করি আমি। যেন গ্রাম বাংলার প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায় এই সমস্ত কৃষি কাজের মধ্যে। শহরের জীবন থেকে কিছুটা মুক্ত হয়ে যখন গ্রাম বাংলার এই সৌন্দর্য উপভোগ করি যেন শান্তির নিশ্বাস খুঁজে পায়।
শীতের কড়াল ঋতুকে উপেক্ষা করে গ্রামীণ কৃষকেরা নতুন ধান চাষে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। যা তাদের অবিচল পরিশ্রম ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ। তাদের এই কঠোর পরিশ্রম কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অন্যতম মূল স্তম্ভ। প্রকৃতিতে শীতের প্রভাব থাকা সত্ত্বেও, কৃষকরা তাদের কাজের প্রতি নিবেদিত থাকেন, যা আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস।
সত্যি কৃষকেরা রোদ, বৃষ্টি, শীত, বৃষ্টি সবকিছু অপেক্ষা করে নিজের কাজ করে যায়। প্রচন্ড কুয়াশার মধ্যেও কৃষকের কোন ছুটি নেই। তাদের কাজ করতেই হবে। এই সিজনে মানুষ ধান লাগায়। সিজনের কাজ ছিল না করলে ফলন ভালোবাসে না। ফলন ভালো না আসলে কৃষকের হতাশার শেষ থাকেনা। জীবনের তাগিদে মানুষের কত কিছুই না করতে হয়। শীতের মধ্যেও কৃষক কি নিমেষে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শীতের শেষ মুহূর্তে কৃষকেরা মাঠে মাঠে ধান চাষাবাদ করায় ব্যস্ত । আপনি গ্রামীণ পরিবেশের সেই দৃশ্যটি ভালই উপভোগ করেছেন। তার পাশাপাশি আমাদের সাথে সেই মুহূর্তগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আমাদের এলাকাতে ও কৃষকরা ধান লাগানো শুরু করে দিয়েছে। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন আগের তুলনায় এখন কৃষি কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রচন্ড শীতে খুব কষ্ট করে কৃষকেরা সোনালী ফসল উৎপাদন করতে। আসলে ফসল যখন ঘরে তুলবে তখন তাদের মুখে হাসি ফুটবে। এই শীতের বাইরে কাজ করা আসলে কৃষকদের জন্য অনেক কষ্টকর। আপনি ঠিক বলেছেন, শীত কে উপেক্ষা করে অনেক কষ্টের মাধ্যমে ধান চাষ করছে গ্ৰামীন কৃষকেরা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ভাই।
এমন কৃষিকাজগুলো ক্যামেরাবন্দি করতে আমারও ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকবার আমাদের পুকুরপাড়ের কৃষিকাজ ফটোগ্রাফি করেছি কিন্তু এবার সেটা হয়নি। আপনার এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন।