সিলেট ভ্রমণ: সাদা পাথরের পথে ( নবম পর্ব)
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২৩ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আসলে সিলেটের সৌন্দর্য কখনো লিখে প্রকাশ করার মতো। সিলেটের প্রতিটি জায়গা অনেক বেশি সুন্দর। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দৃশ্যের দিক থেকে সিলেটের প্রতিটি জায়গা অনেক বেশি সুন্দর। আপনারা যারা ইতোমধ্যে সিলেটের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত সিলেটের মধ্যে ঘুরতে যাননি, তারা অবশ্যই সিলেটের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। মন খারাপ কিংবা বিভিন্ন ধরনের টেনশনের মধ্যে থাকা অবস্থায় এই সব সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে ঘুরতে গেলে মন একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। আসলে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার মতো আনন্দ আর কোথাও নেই। সিলেটের প্রাকৃতিক দৃশ্য অন্যান্য সব জায়গার তুলনায় একটু বেশি সুন্দর।
যাইহোক, আমরা সাদা পাথরের মধ্যে যাওয়ার জন্য নৌকা ভাড়া করেছিলাম। সাদা পাথরের মধ্যে যাওয়ার জন্য আমাদের কে একটি বিশাল বড় নদী পার হতে হয়।আর এই নদী টি পার হ ওয়ার জন্য নৌকা ছাড়া আর অন্য কোন বাহন ছিল না।তাই, যারা এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যায়, তারা কম বেশি সকলেই নৌকায় করে এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা ও সকলের মতোই নৌকা ভাড়া করেছিলাম। আসলে সাদা পাথরে যাওয়ার পথে নৌকা ভ্রমণে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করা যায়। যারা ইতোমধ্যে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন। যাইহোক, আমরা নৌকায় করে সাদা পাথরের মধ্যে যাওয়ার পথে আমাদের টিমের সকলেই মিলে অনেক বেশি সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছিলাম।
আসলে নৌকা ভ্রমণ করতে ও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।কম বেশি প্রায় প্রতিবছরই সাধারণভাবে নৌকা ভ্রমণ করা হয়। আসলে নৌকা ভ্রমণ করার মাঝে আলাদা রকম আনন্দ কাজ করে। যাইহোক, আমরা সকলেই নৌকা ভ্রমণ করার সময় অনেক বেশি সুন্দর সময় উপভোগ করছিলাম। আবার আমরা অনেকেই নৌকা ভ্রমণ করার সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করছিলাম। নৌকা ভ্রমণ করার সময় পাহাড়ের দৃশ্য গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। কেননা, তখন বিকাল বেলা পশ্চিম দিক থেকে রোদের কিরণ পড়ছিল।আর সেজন্যই পাহাড়ের সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল।
আসলে নদীর পুরো জায়গা টি অনেক বেশি সুন্দর।আর নদীর পানি গুলো ছিল একদম চকচকে। পানি গুলো দেখতে ও অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আমি নৌকা ভ্রমণ করার সময় পানি গুলো ধরে খেলা করছিলাম একদম বাচ্চাদের মতোই। নদীর মধ্যে খুব একটা বেশি পানি ছিল না।এমন কিছু কিছু জায়গা ছিল, যে জায়গা গুলোর মধ্যে নৌকা একদম বালুর মধ্যে আটকিয়ে যাচ্ছিল। নৌকা আটকানোর ফলে নৌকার মাঝি কে পানির মধ্যে নেমে নৌকা ঠেলে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছিল। যাইহোক, এভাবেই আমরা সেদিন নৌকা ভ্রমণ করেছিলাম। তবে, সেদিন নৌকা ভ্রমণ টা একদম অন্যরকম ছিল।
আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসি নদীর চরে। নদীর চরে এসে আমরা নৌকা থেকে নেমে পড়ি। নৌকা থেকে নেমে দেখতে পারলাম নদীর চরে শুধু আর বালু। নৌকার ঘাট থেকে সাদা পাথরের দুরুত্ব ছিল প্রায় পাঁচশত মিটার।আর এই পুরো রাস্তা টি জুড়ে শুধু বালু। নৌকা ঘাট থেকে সাদা পাথরের মধ্যে যাওয়ার জন্য অনেক কিছু বাহন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘোড়া। আপনারা চাইলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যেতে পারবেন। আমরা যেহেতু বেশ কয়েকজন ছিলাম, তাই আমরা হেটে হেটে যাওয়ার জন্য সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করি। কয়েকজন মিলে একত্রিত হয়ে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আমরা সকলেই একদম ভাবে হাঁটছিলাম। আসলে বালুর মধ্যে হাঁটাহাঁটি করা খুবই কষ্টকর। তবুও আমরা হেটে হেটে সাদা পাথরের মধ্যে গিয়েছিলাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে সিলেটে একবার হলেও ঘুরতে যাব।যাইহোক এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে ও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা নিশ্চয় অনেক মজা করেছেন।বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিলেটের অনেক সুন্দর্য আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। আপনার এই ব্লগের পূর্বের ব্লগটা আমি দেখেছি। বাইরের কোন সুন্দর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে পড়লে অনেক ভালো লাগে ভাবতে। বেশি দারুন হয়েছে ভাইয়া আপনার সুন্দর এই ফটোগ্রাফি আর ঘোরাঘুরির পোস্ট। অল্প সময়ের মধ্যে নদীর তরে এসেছেন এরপর সেখান থেকে নেমেছেন সময় কাটিয়েছেন, বেশ দারুন অনুভূতি পেলাম।
সিলেট আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে এখানে অনেকের ভ্রমণ পোস্টগুলো দেখেছিলাম সিলেটের। আপনার আজকের ভ্রমণ পোস্ট দেখেও ভালো লাগলো। আগেরগুলো সম্ভবত চোখে পড়েনি। আজকের পর্ব টা দেখলাম। সিলেটের এই জায়গাগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। ভালো লাগলো দেখে। সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আমার ঘোরাঘুরি করা হয়েছে। আমার ভালো লাগে দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং সেই সমস্ত জায়গা গুলো ক্যামেরাবন্দি করতে। তবে ব্লগের জন্য বাইরে তেমন ভ্রমণ করা বা ফটো ধারণ করা হয়ে ওঠেনি। সবেমাত্র ভেরিফাইড হয়েছি এবং কাজে একটিভ হয়েছি। এখন থেকে চেষ্টা করব এমন সুন্দর স্থানগুলো ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে আর আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। সিলেটের অনেক সুন্দর সাদা পাথরের স্থানগুলোতে সব সময় শরণার্থীতে ভরপুর থাকে
আজকে দেখতে দেখতে আপনি আপনার সিলেট ভ্রমণের ৯ম পর্ব শেয়ার করলেন।সিলেট আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে এখানে ২০২৫ সালের শেষের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা আছে বাকিটা আল্লাহ ভরসা। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ স্পট হচ্ছে সিলেট। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনি অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপনাকে
সিলেটে আমি কখনো যাইনি। আপনি সিলেটে গিয়ে মনো মুগ্ধকর পরিবেশে নিজেকে সমর্পণ করে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে অনেক নতুন কিছু ধারনা পেলাম। পোস্টটি আমার কাছে উপকার মূলক পোস্ট কারণ ভবিষ্যতে আমিও সিলেট যেতে পারি।
আসলে সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি খুব অসাধারণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। সিলেট ভ্রমনের চমৎকার কিছু মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সিলেট নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের একটি সৌন্দর্যতম স্থান। আর আপনার সিলেট ভ্রমনের নবম পর্বটি পড়ে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার। বালুর মধ্য দিয়ে কষ্ট করে হেঁটে সাদা পাথরের পথে গিয়েছিলেন এটা জেনে দারুণ আকারে ভালো লাগলো আমার। যাহোক আপনার পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।