পরিশ্রম দ্বারা ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব
আমরা অনেকেই মনে করি প্ররিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। কথাটা যেরকম ঠিক সেরকম আবার কিছু ভুল রয়েছে। সঠিক পরিশ্রম এবং সঠিক জায়গায় করতে হবে তাহলেই আপনি তাহলেই আপনি জীবনে কিছু করতে পারবেন। আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা কিভাবে চলে জানেন।
আপনি সাধারণত সারাদিন যেসব পরিশ্রম করেন কিংবা সারা বছর যে সব পরিশ্রম করেন সেই বিষয়টি কিন্তু অন্য কেউ দেখবে না বরঞ্চ আপনি কি ধরনের সফলতা অর্জন করছেন কিংবা কোন ধরনের এচিভমেন্ট গ্রহণ করছেন সেই বিষয়টি শুধুমাত্র দেখবে। আবার এসব দেখার পরে কিছু কিছু মানুষ বলবে তার ভাগ্য ভালো ছিল যেন সে করতে পেরেছে। কিন্তু সেই বিষয়টা এচিভ করার জন্য আপনি যেসব পরিশ্রম করেছিলেন সেই পরিশ্রমের কোন দাম দেবে না তারা।
আমাদের ইসলাম ধর্মেও রয়েছে, আমাদের আমলনামায় কয়েকটা পেজ ফাঁকা রাখা হয়। কারণ আল্লাহতালা নিজেও বিশ্বাস করেন হয়তো কোন মানুষ নিজের পরিশ্রমের দ্বারা সেই ভাগ্য নিজের হাতেই লিখবে। তাহলে এ থেকেই আমরা বুঝতে কি পারি? আপনি যদি সঠিক জায়গায় সঠিক পরিশ্রম করেন সেক্ষেত্রে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে।
জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মনে হবে জীবনে বন্ধু-বান্ধবী সব কিছু, আবার কিছু সময় পরে মনে হবে যে নিজের পরিবার এই সবকিছু, আবার কিছু সময় পড়ে আপনার মনে হবে যে না, নিজের ভালো থাকাটাই হয়তো সবকিছু। এই সবকিছু চিন্তাধারাই হচ্ছে আপনার বয়সের কারণে হবে। আপনার যত বয়স বাড়তে থাকবে ততই আপনি এই সমাজকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং সেভাবেই নিজেকে তৈরি করতে থাকবেন।
জীবনে চলার পথে এমন কিছু মানুষের সঙ্গ দরকার যে সব মানুষেরা আপনার পরিশ্রমের মূল্যায়ন বুঝবে। যে সব মানুষেরা আপনাকে সফল করার চেষ্টা করবে এবং আপনি যদি কোন ভালো কাজ করেন তাহলে এপ্রিশিয়েট করবে এবং যদি খারাপ কাজ করেন সেক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করবে। এর মাধ্যমেই আপনি আপনার পরিশ্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আপনার এই লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আসলে পরিশ্রম ছাড়া জীবনে উন্নতির কোন সম্ভাবনা নেই। তাই সে পরিশ্রমটা অবশ্যই যথার্থ হওয়া উচিত। একমাত্র যথার্থ পরিশ্রমের মাধ্যমেই কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
যত বেশি বেশি পরিশ্রম করা যাবে তত বেশি বেশি ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। তাই আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে বেশি বেশি পরিশ্রমের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত।