অহংকারে অন্ধ

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আমি গল্প শোনাবো। হ্যাঁ আমার নিজের আশেপাশের কিছু মানুষের গল্প শুনাবো। যে সব সময় সুখী হতে চেয়েছে। যে সবকিছু করতে চেয়েছে সুখের জন্য। কিন্তু সুখ কখনোই তাকে আসলে ধরা দেয় নি কিংবা তার জীবনে কোনো সুখ আসে ও নি। সেটাও আপনারা আমার লেখাতে বুঝতে পারবেন ।

আমার এক আত্মীয় রয়েছে যে সবসময় জীবনে অনেক কষ্ট করেছে। শুধুমাত্র জীবনে বিলাসিতা করার জন্য এবং সুখ আনার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে কখনোই সুখী হয়নি। প্রথমত তার জীবন বৃত্তান্ত যদি একটু বলি। তাহলে সে প্রচন্ড স্বার্থপর এবং অহংকারী একটি মানুষ। তার প্রচুর বিষয় সম্পত্তি রয়েছে। তার কোনো অভাব নেই এবং সেই ছোটবেলা থেকেই তার ছেলেমেয়েদের আলাদা করে রেখেছে। কারণ তার বরাবর মনে হয়েছে গরিবদের সাথে মিশলে, ছেলে মেয়ের স্বভাব চরিত্র খারাপ হতে পারে।

সে কারণেই তিনি একেবারে তার ছেলেমেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে দূরে রাখার শিক্ষাটাই দিয়েছে। অর্থাৎ সব সময় শিখিয়েছে যারা গরীব আত্মীয়-স্বজন ওদের কাছ থেকে দূরে থাকাটাই ভালো। কিন্তু এখন ওনার করুন পরিস্থিতি। যেটা সবচেয়ে দুঃখের সেটাই আমি বলি। কারণ ওনার আসলে খারাপ পরিস্থিতির শেষ নেই। তো সবচেয়ে খারাপ হলো, উনার বড় ছেলে এখন ওনাকে মোটামুটি ত্যাগ করেছেন। তার কারণ হলো তিনি ওই যে দাম্ভিকতা এবং অহংকার এর জন্য ছেলের বউকে মেনে নেয়নি। ছেলে যে মেয়েটিকে তার নিজের জন্য নির্বাচিত করেছেন। উনার মতে সে মেয়ের ফ্যামিলি স্ট্যাটাস খুব একটা ভালো নয় এবং সে কারণে তিনি ছেলের বিয়ে টাকেও অস্বীকার করেছেন।

এই অস্বীকার ছেলে কোনোভাবেই মানতে পারেনি। কারণ তার ছেলের একমাত্র বক্তব্য হলো, তার বিয়ে করা বউকে সে কি করে ছেড়ে দিতে পারে? কারণ তাদের অনেক বছরের সম্পর্ক। তো এইসব ঝামেলার মাঝে পরে ছেলে এখন বাবাকেই ত্যাগ করেছে। এমন কি কয়েকদিন আগে ওনার একটা অপারেশন হয়েছে অর্থাৎ ছোটখাটো অপারেশন। তখন ও সে বাবাকে দেখতে আসেনি।

উনার এই অবস্থা দেখে একটা কথাই আমার মাথায় এসেছে যে, অহংকার পতনের মূল। এতো অহংকার করা উচিত নয়। সব সময় মানুষকে টাকা পয়সা দিয়ে বিবেচনা করতে করতে এখন উনি উনার ছেলেমেয়েদেরকেই হারাতে বসেছেন। কারণ উনি এটাই মানেন যে, অহংকার হলো একটা মানুষের গর্ব কিন্তু অহংকার হলো পতনের মূল এটা উনি এখন ও বুঝতে পারেননি। এবং সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো উনার এই স্বভাবের জন্য পরিবারের কেউ উনার সাথে খুব একটা ভালোভাবে কথা বলে না খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া।