আবেগ ও প্রফেশনালিজম
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার কেনো জানি মনে হয় আবেগ এবং প্রফেশনালিজম কখনোই একসাথে যেতে পারে না। কারণ আবেগ ব্যাপারটি হলো সম্পূর্ণভাবে মনের আর প্রফেশনাল ব্যাপারটি হলো সম্পূর্ণভাবে মস্তিষ্কের। এখন হয়তো অনেকেই বলবেন যে মন ও মস্তিষ্ক একসাথে কাজ করে। হ্যাঁ, আপনি একদম ঠিক বলেছেন। সত্যিই মন এবং মস্তিষ্ক একসাথে কাজ করে। কিন্তু একটা কাজের জায়গাতে যখন আমরা আমাদের মনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলি। তখন আসলে একটা গন্ডগোল সৃষ্টি হয়।
এই গন্ডগোল সৃষ্টি হওয়ার বড় একটি ব্যাপার হলো, যখন আমরা কোনো কাজ সম্পর্কে ব্রেইন দিয়ে না ভেবে মন দিয়ে ভাবা শুরু করি।তখন আসলে আমরা সব সময় ভুল মানুষকে চুজ করি এবং ভুল কাজকে চুজ করি।যেমন আমি যদি একটা উদাহরণ দেই, তাহলে আপনারা সেটা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। যেমন আমাদের কোনো কাজে যদি আমরা আমাদের মনকে প্রাধান্য দেই। তাহলে সব সময় আমরা চাইবো সেই কাজে যেনো আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে কিংবা সেই কাজে আমাদের আত্মীয়রা কোনো ভুল করলে আমরা সব সময় সেই কাজটাকে ঠিক ভাবতে চাইবো।
কিন্তু আমরা যদি প্রফেশনালিজম মেইনটেইন করি। তাহলে একটা ব্যাপার আপনি সবসময় চিন্তা করবেন যে, সে আমার যে ই হোক না কেনো। আমি তার ভুলটাই আগে ধরবো এবং তাকে তার ভুল শুধরে নিতে বলবো, সেটা যে ই হোক না কেনো । এখানেই আমার মূল কথা। অর্থাৎ এই যে একজনকে প্রাধান্য দিতে চাইছি না , আবার আরেকজনের ভুল কেউ প্রাধান্য দিতে চাইছি। এটাই হলো একটা কাজের ক্ষেত্রে আবেগ এবং প্রফেশনালিজমকে একসাথে আনার একটি মূল সমস্যা। অর্থাৎ আমি এটাই বলতে চাইছি যে, আবেগ আর প্রফেশনালিজম একসাথে মেইনটেইন করা সম্ভব নয়। কারণ এটা যদি আমরা মেইনটেইন করতে চাই। তাহলে আমরা কাজের ক্ষতি করব।