বাসার পিকনিক
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রত্যেক বছরের মত এবারও আমাদের বাসায় পিকনিকের আয়োজন করা হয়। আগে তো আমরা কয়েকদফায় পিকনিক খেতাম শীতে। কিন্তু এবার তেমন কোন কিছু না করে একদিনে খাওয়া হয়েছিল। মূলত আমাদের বাড়িওয়ালি আপুর উদ্যগে আয়োজন করেছিল।। আমাদের বাড়িওয়ালি আপু উনি খুব মজার মানুষ সব সময় আনন্দ করতে পছন্দ করেন। ঢাকা থেকে এসে প্রস্তাব দেন। আর পিকনিকের দায়িত্ব ছিল আমার আর এক ভাবীর উপরে। আর আমরা দুজনে মিলে পিকনিকের সমস্তটা আয়োজন করেছিলাম।
প্রায় ৫০ জন মানুষের আয়োজন করা হয়েছিল এটা মোটেই সহজ বিষয় ছিল না। প্রত্যেকটা জিনিস খুঁটিনাটি কেনাকাটা করা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনা অনেক অভিজ্ঞতা ও হয়েছে আমার।আমরা যেহেতু এখানে ১৭ টা ফ্যামিলি থাকি প্যাকেজ হিসেবে পিকনিকের আয়োজন করা হয় এবং বাচ্চা থেকে শুরু করে মহিলা পুরুষ সবার জন্য আলাদা খেলার আয়োজন করা হয়। তার সাথে ফ্যামিলিতে গিফটের ব্যবস্থা করা হয়। তো সব মিলিয়ে অনেক বড় একটা দায়িত্ব ছিল আমাদের ওপর। এবং পুরোটা দায়িত্ব খুব ভালোভাবে বারণ করেছি। যার জন্য করে অনেক সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। খাবার থেকে শুরু করে সমস্ত আয়োজনে কোনরকম ত্রুটি ছিল না। এতে করে আমাদের বাসার নতুন যেসব ফ্যামিলি এসেছে তারা অনেক বেশি খুশি হয়েছে। তারা অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছে। আর বাচ্চাদের কথা কি বলবো তাদের কথা তো বলে শেষ করা যাবে না। সকাল থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাদের কি আনন্দে দিনটা কেটেছে তা বলে বোঝানো যাবে না।
আমরা মোটামুটি দুদিন আগে থেকেই সমস্ত কিছু কেনাকাটা শুরু করি। গিফট প্যাকিং থেকে শুরু করে পিকনিকের আগের দিন সব কাজ শেষ করেছিলাম এবং পিকনিকের আগের দিন রাতে সব মহিলারা একসাথে বসে রান্নাবান্না মোটামুটি মসলার সবকিছু করে রেখেছি। যাতে করে পরের দিন আমাদের কোনরকম সমস্যা না হয়।
সকালে নাস্তা খাওয়ার পর থেকে মোটামুটি ছাদে গিয়ে রান্নার আয়োজন করা হয় এবং বিকেল হতে হতে মোটামুটি রান্না শেষ করা হয়। বাইরের কোন লোককে দিয়ে রান্না করানো হয়নি আমাদের বাসার ভাবীরা সবাই মিলেই রান্নাবান্নার কাজে যোগ দিয়েছিল। আর রান্না গুলোর সবগুলো অনেক বেশি মজা হয়েছিল। আপনার কাজে খুব বেশি সাহায্য করতে পারেনি। যেহেতু আমার ছোট বেবি ছিল রান্নাবান্না শেষ করে সবাই মোটামুটি সাথে চলে যায়। সন্ধ্যা হতে হতে সবাই চলে আসে সবাই একসাথে বসে নাচ গান করা হচ্ছিল এরপর আর সবার খেলা শুরু হয় প্রথমে মহিলাদের বালিশ খেলা তারপর পুরুষদের খেলা তারপর বাচ্চাদের। আমরা এত বেশি মজা করেছি।
সবাই খেলাধুলা শেষ হলে খাবার খাওয়া শেষে বাসায় চলে আসে। এত ব্যস্ততার মধ্যে সারাটা দিন কেটেছে এবং অনেক ভালো লেগেছে।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.