সকাল ভোরের নড়াইল যাওয়া মুহূর্তের দৃশ্য // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- সকাল ভোরে নড়াইলের উদ্দেশ্যে
- ২০, মার্চ ,২০২৫
- বৃহস্পতিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি নড়াইল যাওয়া মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করবো।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
নড়াইল যাওয়া মুহূর্তের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

তাহলে চলুন শুরু করি |
---|
গত বছর নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে শুক্রবার সকাল ভোরে নড়াইলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। অনেকদিন আগেই আমরা প্ল্যান করে রেখেছিলাম নড়াইল গিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কয়েক বছর আগে সুমন ভাইয়ের আপার বাসায় গিয়েছিলাম সেখানে মাছের ঘের অনেক বড় বড় খোলামেলা পরিবেশ রাতের বেলা আড্ডা দেওয়ার দারুণ জায়গা। সুমন ভাই নিজেই বলেছিল আমরা আবার যাব সেখানে একটি রাত যাপন করে তারপরের দিন আবার চলে আসব। আগের মত হঠাৎ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করলে যাওয়া সম্ভব হয় না এখন সবাই কম বেশি ব্যস্ততার মধ্যে থাকে। দিন যতই যাচ্ছে আমাদের জীবনের ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে।
Device : Redmi Note 11
যাত্রা শুরুর মুহূর্ত
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

আমাদের এমন একটি গ্রুপ কোথাও যাওয়ার কথা উঠলে যেতেই হবে। সেখানে সবাইকেই থাকতে হবে। সেই রকম ভাবেই একটি দিন আমরা বেছে নিয়েছিলাম। অনেকেই চাকরিজীবী আছে তাদের জন্য শুক্রবার হলে ভালো হয় ।সেজন্য শুক্রবারে সকাল ভোরে কুষ্টিয়া থেকে আটজন ঢাকা থেকে দুইজন রওনা দিয়েছিলাম। সেই সময় হালকা শীত ছিল শীতের পোশাক প্রয়োজন ছিল না তেমন একটা তবুও আমরা শীতের আগাম প্রস্তুতির পোশাক সাথে নিয়েছিলাম। আমরা সকাল ছয়টার দিকে রওনা দেই বাসা থেকে আমাদের রোডম্যাপ ছিল রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা সংলগ্ন হাইওয়ে। তার পাশেই মাগুরা জেলার সড়ক দিয়ে খুব সহজেই অতি অল্প সময়ে নড়াইল যাওয়ার রাস্তা রয়েছে। সবাই অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম পথে গিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হয়েছিল মাঝে মাঝে আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেমে চা খাওয়ার মুহূর্ত গুলো উপভোগ করেছি।
Device : Redmi Note 11
হাইওয়ে সকালের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

গ্রামীণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার মজাই অন্যরকম ।যখন আমরা হাইওয়েতে প্রবেশ করলাম সেই সময় রাস্তা অনেক ফাঁকা ছিল। সকালবেলা সূর্য উদয়ের মুহূর্ত দারুন লাগছিল রাস্তায় উপর আলোকরশ্মি গুলো যেন কিরণ দিচ্ছিল। আমি এবং বন্ধু রায়হান একই গাড়িতে ছিলাম যদিও একটি গাড়িতে একটি সিট ফাঁকা ছিল আমরা যখন মাগুরা জেলায় প্রবেশ করলাম সেই সময় রাস্তার দু'পাশে অনেক বড় বড় গাছ সেই গাছে কাঠের পোকা এতটাই কিচিরমিচির চেচাচিসি অলওয়েজ টাইম শুনতে শুনতে দুই কানে মধ্যে অস্বস্তির বিষয়টি সবাই বিরক্তি বোধ করছিলাম। তাদের কাজই যেন ডাকাডাকি যেটা আমাদের অঞ্চলে নেই বললেই চলে কোরুইগাছে এই ধরনের পোকা গুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
Device : Redmi Note 11
প্লানিং মুহূর্তে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

এই পথ দিয়ে আমি অনেকবার গিয়েছি। দুই বছর আগে এখানে এসেছিলাম নৌকা বাইচের মেলা দেখতে। আমাদের অঞ্চলে বর্ষাকালীন সময়ে নৌকা বাইজের মেলা নিয়ে নদীর পাড়ে মানুষগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যেহেতু এলাকার নিজস্ব একটি নৌকা ছিল মাগুরা লাঙ্গল বাঁধ সেখানে প্রতিবছর বর্ষাকালীন সময়ে মেলার আয়োজন করা হতো। সে জন্যই রাস্তাটি অনেক পরিচিত। যাইহোক আমরা একসঙ্গে হয়ে সবাই প্লান করলাম কোন পথ দিয়ে গেলে ভালো হয়। বাইক ট্যুর ে সবচেয়ে বড় মজা হল বিভিন্ন জায়গায় থেমে আড্ডা দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনার সাক্ষী হওয়া যে মুহূর্তগুলো অনেকদিন হলো মিস করি কোথাও তেমন একটা যাওয়া হয় না। আশা করি আপনাদের কাছে এই মুহূর্তগুলো অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | নড়াইল যাওয়ার মুহূর্ত |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | নড়াইল |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নড়াইলে যাওয়ার মুহূর্ত অনেক সুন্দর ছিল। আসলে এভাবে বাইকে কোথাও ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা সবাই মিলে নড়াইলে যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে তোমার পোস্ট দেখে নড়াইলে যাওয়ার দিনের কথা ভীষণ মনে পড়ে গেল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
খুব ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে এমন কোথাও যাওয়ার অথবা রোড ট্রিপে যাওয়ার মজাই আলাদা। আমিও আগে অনেক গেছি তবে বর্তমানে যাওয়া হয় না। অনেক ভালো লাগে বাইরের শান্ত পরিবেশ ফাঁকা রাস্তা, আর মাঝে মাঝে থেমে থেমে চায়ের দোকানে চা খেতে আড্ডা দিতে বেশ মজা লাগে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার এখনই আবার ভোরবেলা বাইক নিয়ে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছা করছে।