মেহেরপুর ভ্রমণ - বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday (edited)

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। গতকাল ছিল আমার বন্ধু পাপ্পুর বৌভাত। গত পরশুদিন বিয়ে হয়েছে ওদের। আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়ি অনেক দূরে হওয়ার কারণে বিয়ের দিন যেতে পারিনি। যেহেতু বৌভাতের দিনেও যেতে হতো তাই ঠিক করেছিলাম একদিনই যাব।

এখান থেকে আমি আবার একা যাইনি। যাওয়ার প্লান ছিল ৭ জনের। কিন্তু একজনের কিছু সমস্যার কারণে সে শেষ অব্দি আর যেতে পারেনি। তাই আমাদের ৬ জনকেই যেতে হয়েছে। এটা হচ্ছে মেহেরপুর। আমাদের বাড়ি থেকে ৯৮ কিলো দূরে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমরা যাত্রা শুরু করি। বাইক নিয়েই গেছিলাম আমরা। বাইক নিয়ে যাওয়ার একটা মজা হল মাঝপথে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুটা রেস্ট করে আবার যাওয়া যায়। পথের মাঝে দু একবার দাঁড়িয়ে রেস্ট করেছি, নতুন জায়গায় হালকা একটু ঘুরেও দেখেছি।

IMG_5414.jpeg

IMG_5413.jpeg

IMG_5417.jpeg

রাস্তা অনেক ভালো থাকায় বাইকের গতি ৭০-৮০ এর মধ্যে ছিল। এজন্য আড়াই ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে গেছিলাম। বন্ধু লোকেশন শেয়ার করলো আর ওর বাড়িতে প্রথমবারের মতো চলে গেলাম। ওর এলাকার রাস্তাঘাট ভীষণ পছন্দ হলো আমার। ওদের ওখানে রাস্তাঘাট আর বাড়িঘর একটু অন্যরকম। দুই পৃথিবী মুভি দেখেছেন আপনারা? ওই মুভিতে দেব আর জিত নায়িকা কে খুঁজতে যে এলাকায় যায় ওই এলাকার মত অনেকটা। বাড়িঘরগুলো রাস্তার সাথ দিয়ে একদম। রাস্তাগুলোও বেশ সুন্দর।

IMG_5439.jpeg

IMG_5433.jpeg

IMG_5448.jpeg

বাড়িতে পৌঁছানোর পরপরই বন্ধু পাপ্পু আমাদের রিসিভ করল। বন্ধুর নতুন বউয়ের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিল। ভাবির সাথে একটু গল্প করার পর বন্ধু আমাদের গেস্ট রুমে নিয়ে গেল। সেখানে সবাই ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করলাম কিছুক্ষণ।

IMG_5462.jpeg

IMG_5464.jpeg

প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। এবার আমাদের খাবার খাওয়ার সময় চলে এসেছে। ওদের বাসার ছাদে আয়োজন করা হয়েছিল খাওয়া দাওয়ার। সবাই একসাথে খেতে বসার বিষয়টা অনেক আনন্দের ছিল। আমরা সবাই একটা আলাদা টেবিলে বসলাম। ভরপুর খেয়েছি। খাওয়া শেষে একটু মিষ্টিমুখ করে নিলাম। ততক্ষণে আকাশ পানে একটু চেয়ে দেখলাম প্রচন্ড মেঘ লাগতে শুরু করেছে।

IMG_5467.jpeg

IMG_20250223_172331.jpg

টেনশনের বিষয় হচ্ছে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হলে যাওয়া বিলম্ব হয়ে যাবে। যেহেতু আমরা থাকতে পারবো না আবার ওদিকে অনেক দূর ড্রাইভ করে যেতে হবে তাই বৃষ্টি হলে ঝামেলা হয়ে যাবে। যাইহোক খাবার শেষ করে নিচে আসলাম। পাপ্পুর ভাবির সাথে একটু পরিচয় হলাম। মজার বিষয় হচ্ছে পাপ্পুর যার সাথে বিয়ে হল সে হচ্ছে ওর ভাবির ছোট বোন। অর্থাৎ বিয়াইনের সাথে বিয়ে হল। যাই হোক এরপর আমরা যখন রওনা দিলাম তখন ঠিক বৃষ্টির কবলে পড়লাম রাস্তায়। ফিরতি পথের মজার বিষয়গুলো পরবর্তী পর্বে শেয়ার করব। আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy


20240320_225328_0000.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


Polish_20240825_125322804.png

Sort:  
 18 hours ago 

দুই পৃথিবী মুভি দেখেছেন আপনারা? ওই মুভিতে দেব আর জিত নায়িকা কে খুঁজতে যে এলাকায় যায় ওই এলাকার মত অনেকটা।

হ্যাঁ ভাই দুই পৃথিবী মুভিটা অনেক দিন আগে দেখেছিলাম। আপনার বন্ধুর এলাকাটা অনেকটা সেরকমই। যাইহোক বন্ধুর বৌভাতে গিয়ে বেশ ভালোই মজা করেছেন তাহলে। আমার এক বন্ধুও তার আপন বেয়াইনকে বিয়ে করেছে। অর্থাৎ আপন দুই ভাই ভায়রা ভাই হয়ে গিয়েছে হা হা হা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 23 hours ago 

কী সুন্দর রাস্তা। তবে আপনার বন্ধুর বাড়িতো অনেক দূরে৷ বাইক নিয়ে এতোটা পথ খুব সোজা নয়। তবে কয়েকজন মিলে গেছেন বলেই হয়তো অনুভব হয়নি। বন্ধুর বিয়েকে কেন্দ্র করে আপনাদের এমন চমৎকার পথে সুন্দর লাং ড্রাইভও হয়ে গেছে৷

 17 hours ago 

আপনার বন্ধুর বৌভাতে যাওয়ার গল্পটা খুবই মজাদার হয়েছে। নতুন জায়গায় বাইক চালিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা, পথের মাঝে বিরতি নিয়ে ঘুরে দেখা, এবং ভাবির সাথে পরিচিত হওয়ার মুহূর্তগুলো বেশ সুন্দর ছিল। খাবারের আয়োজন আর সবাই মিলে খাওয়ার আনন্দটা সত্যিই অসাধারণ। বৃষ্টির ঝামেলাটা যেমন ছিল, তেমনি পুরো অভিজ্ঞতাটা মনে রাখার মতো। আপনার ফেরার পথের পরবর্তী মুহূর্তে জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 22 hours ago 

ভাই বিয়ের খাওয়া টা কিন্তু সেই হয়েছিল। তবে খাওয়া দাওয়া শেষে আকাশে মেঘ দেখে দ্রুত বেরিয়ে পড়ার কারণে পুরোপুরি স্বস্তি উপভোগ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে ভালোই মজা হয়েছে যাই হোক পরবর্তী পর্বের দৃশ্যপটে দেখার অপেক্ষায়।

 21 hours ago 

সত্যিই রাস্তাগুলো চমৎকার। এ ধরনের রাস্তায় চলতে ফিরতে বেশ আনন্দের।বন্ধুর বৌভাতে গিয়ে ভালো ই সময় কাটিয়েছেন আপনারা।বাসার ছাদে আয়োজন ছিল খাবার -দাবারের। সবাই একসাথে বসে খুব আনন্দ করে খেতে পেরেছেন।ভাবীর বোনকে বিয়ে করেছেন আপনার বন্ধু। দুজনের সুখী ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।ফেরার পথে বৃষ্টি হলো।তবে তো বেশ ঝামেলায়ই পরেছিলেন।আশাকরি পরবর্তী ব্লগে তা জানতে পারবো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 20 hours ago 

বাইক নিয়ে এতটা রাস্তা গেলে বেশ মজাই হয়। আসলে নিজের মতো চালিয়ে ইচ্ছা মত রাস্তা কভার করা যায়। আর বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে মেহেরপুরে খুব সুন্দর কিছুটা সময় কাটিয়েছেন দেখছি। ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটিও ভীষণ সুন্দর। তাই এইসব জায়গার মধ্যে দিয়ে বাইক চালাতে খুবই ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বাইকে করে দূরে গেলে সাবধানে চালাবেন।

 3 hours ago 

তারমানে আপনার বন্ধু পাপ্পু তার বড় ভাইয়ের শালিকাকে বিয়ে করেছে। বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং তো। যাই হোক বাইকে কিন্তু অনেক মজা এটা জানি। মাঝে মাঝে আমার হাসবেন্ডের সাথে বাইকে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। আর আপনারা তো বিয়েতে ঘুরতে গিয়েছেন যাইহোক ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 5 hours ago 

আসলে রোড ভালো থাকলে যে কোথাও বাইক নিয়ে যেতে ভালো লাগে।আর বাইকের আরেকটি বিশেষ সুবিধা যেটি আপনি শেয়ার করেছেন যে কোথাও মন চাইলে দাঁড়িয়ে চা নাস্তা করা যায় , রেস্ট নেওয়া যায়,এরপর আবার চলে যাওয়া যায়। যাইহোক বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। ফিরতি পথে যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে আগামী পর্বে কি ঘটেছে সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ ভাই।