ফ্রিজ কিনেও বিপত্তি।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি একটা ঘটনা শেয়ার করব আপনাদের সাথে। আমি যখন ঢাকা আসলাম তখন প্রচন্ড গরম ছিল। প্রথমে বন্ধু যেই বাসায় থাকত সেই বাসাতেই উঠেছিলাম। কিন্তু ওই বাসাটা আমার পছন্দ হতো না। কেমন যেন একটা ঘিনজি টাইপের। এইজন্য প্ল্যান করেছিলাম ওই বাসাতে বেশিদিন থাকবো না। নতুন একটা বাসা দেখে সেখানে উঠে পরবো।
প্ল্যান মতো তিন-চার মাস থাকার পর নতুন একটা বাসা খুঁজে নিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম সবাই একসাথে থাকতে। বাসা খুঁজতে অবশ্য খুব পেরেশানি পোহাতে হয়েছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পারফেক্ট একটা বাসা পেয়েছিলাম। সেবাসাতেই উঠেছিলাম আমরা সবাই তখন। ওই টাইমে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে আমার একটা ফ্রিজের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই সাথে ভেবেছিলাম বাসার সবাই ইউজ করতে পারবে। আর আমি চাচ্ছিলাম না নতুন ফ্রিজ কিনতে। চাচ্ছিলাম একটা পুরনো ফ্রিজ কিনতে।
তখন বাসা চেঞ্জ করতে আর অনেক কিছু কেনাকাটা করতে মেলা টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল যার কারণে নতুন ফ্রিজ কেনার মত বাজেট ছিল না। আর আমি আমার বাসাটা সাজিয়েছিলাম একদম ফ্যামিলি বাসার মতো করে এজন্য প্রথম মাসে খরচটা অনেক বেশি পড়েছিল। যাইহোক সব মিলিয়ে নতুন ফ্রিজ আর কেনা হয়নি। পুরনো ফ্রিজের সন্ধান করতে করতে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে পেয়ে গিয়েছিলাম। ফ্রিজটা ছিল স্যামসাং ব্র্যান্ডের। বেশ বড়সড় একটা ফ্রিজ। দাম রেখেছিল সাড়ে ন'হাজার (বাসায় উঠিয়ে দিয়ে যাওয়া পর্যন্ত)। প্রথমে বেশ হ্যাপি ছিলাম ফ্রিজটা নিয়ে। পানি রাখতাম, ঠান্ডা পানি খেতাম এটাই সবচেয়ে বড় তৃপ্তির ছিল। আর বাসার সবাই বিভিন্ন প্রয়োজনে ফ্রিজ ব্যবহার করতো।
কয়েক মাস ব্যবহার করার পর আমার ফ্রিজে কি যেন একটা সমস্যা হলো। আমি মেকার ডেকে আনলাম। যে ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে নেয়া হয়েছিল উনারা ছয় মাসের সার্ভিস ওয়ারেন্টি দিয়েছিল যার কারণে সার্ভিস চার্জ আর লাগেনি। ফ্রিজের মধ্যকার ফ্যান নষ্ট হয়ে গেছিল সেটাই চেঞ্জ করতে হয়েছিল। ১৩০০ টাকার মতো খরচ হয়েছিল ওটা সারতে। এরপর বেশ কিছুদিন আবার ভালই চলল।
গত দুই মাস আগে আমি আবারো ওই বাসাটা চেঞ্জ করে একটি ফ্যামিলি বাসাতে উঠেছি। এখন আমি রাগ করে ওই ফ্রিজটি এই বাসায় নিয়েই আসিনি। এর কারণ হচ্ছে কিছুদিন আগে ফ্রিজটা আবারো নষ্ট হয়েছে আর মেকার এসে বলল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ লাগবে। এর কোন গ্যারান্টি পাচ্ছিলাম না আমি যে সারার পর আবার ভালোভাবে চলবে। এজন্য ওই বাসাতেই রেখে চলে এসেছিলাম। আমার বন্ধুরা হয়তো এখন ওই ফ্রিজের মধ্যে জামা কাপড় রেখে দিয়েছে। ফালতু ফ্রিজ টা কিনে আমার টাকা পয়সাও গেল অনেকগুলো আবার সুবিধাও নিতে পারলাম না ঠিকঠাক।
এটা থেকে শিক্ষা পেলাম যে একটু রয়েসয়ে হলেও নতুন জিনিস কেনাই ভালো। পুরনো জিনিস কিনে বেশিরভাগ সময় সেটা ভেলু ফর মানি হয় না আসলে। ওই ফ্রিজটার পিছনে মোট ১০-১১ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল কিন্তু সুবিধার বেলায় ঘোড়ার ডিম পেলাম।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

হ্যা ভাই, রয়ে সয়ে হলেও নতুন জিনিস কেনাই ভালো, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক জিনিস। অন্যান্য আসবাবপত্র হলেও মানা যায় সেকেন্ড হ্যান্ড। কিন্তু ইলেকট্রনিক যে কোন জিনিস ভালো ব্যান্ডের অদোরাইজড শোরুম থেকে কেনাই ভালো।
কিন্তু তাই বলে ফ্রিজের মধ্যে জামা কাপড়...?? 😷😷😒😒
হাহাহা। ব্যাচেলরদের দ্বারা সবই সম্ভব।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে পুরনো জিনিস কিনতে গেলে অনেক সময় এরকম অবস্থায় পড়তে হয়। কারণ যেহেতু ফ্রিজটা আগে কেউ ব্যবহার করেছে তাহলে সে সেল করলো কেন। মানুষ কোন জিনিস সেল করে হয়তোবা আপডেট কোন কিছু কেনার জন্য নয়তো বা সেটাতে কোন সমস্যা দেখা দিলে। তার জন্য মূলত আমাদের পুরনো জিনিস কেনার সময় অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর সুযোগ এবং ধৈর্য থাকলে নতুন টাই কেনা উচিত। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকেই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম ঠিক বলেছেন।
ইলেকট্রনিক্স জিনিস পুরাতন না কেনাই ভালো। যদি ভাগ্যভালো হয় টিকে যায় তা না হলে তা অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। না হলে ভাঙ্গারি হিসাবে বিক্রি হবে। আপনি যে টাকা দিয়ে পুরাতন ফ্রিজ কিনেছেন, তা দিয়ে কিস্তিতে একটি নতুন ফ্রিজ কিনতে পারতেন। যাক একটা শিক্ষাতো হলে তাতেই খারাপ কি?
সেটাই আপু। আসলে ভুল করে ফেলেছিলাম ওই টাইমে এরকমটা কিনে।
আসলে ভাইয়া পুরনো জিনিস কেনার পক্ষপাতী আমি কখনোই না। একটু সময় নিয়ে হলেও নতুন জিনিস কেনাই ভালো ।কারণ পুরনো জিনিসে সমস্যা থাকবেই ।আর যেহেতু আপনি বলছেন বড় ফ্রিজ সাড়ে ৯ হাজার টাকা তাহলে তো তখনই বোঝা উচিত ছিল কোন সমস্যা না থাকলে এত বড় ফ্রিজ এত কম দামে কেন দেবে। যাই হোক পরবর্তীতে নতুন বাসায় ওই ফ্রিজ নিয়ে আসেননি বেশ ভাল কাজ করেছেন। নইলে ওই ফ্রিজ সারতে সারতে আপনার নতুন ফ্রিজের টাকা উঠে যেত। তবে একটা বিষয় বেশ মজার লেগেছে আপনার বন্ধুরা ওই ফ্রিজে এখন জামা কাপড় রাখছে কিনা তাই ভাবছেন। বেশ ভালো ছিল ।ধন্যবাদ।
হাহাহা। তাছাড়া আর কিছু করার নেই আসলে।
পুরনো ফ্রিজের অবস্থা এরকমই হয় ভাইয়া। ব্যবহার উপযোগী না হলে সবাই জামা কাপড় ঢুকিয়ে রাখে🤭। তবে ফ্রিজ পুরাতন না কিনাই ভালো। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যখন ফ্রিজের কোনো একটি জিনিস নষ্ট হয় সেটা চার-পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ঠিক করে কিছুদিন ব্যবহার করতে না করতেই আবার নষ্ট হয়ে যায়। আমার আম্মুর বাসার ফ্রিজটারও একই অবস্থা হয়েছিল। প্রথমে ৩০০০ এরপর ৬০০০ আর ২-৩ বারের সার্ভিসিং সহ মোট ১৩০০০ টাকা প্রায় লেগেছে দুইবার ঠিক করতে। শেষে ফ্রিজটা আর চালানোই হয়নি। টাকাটাও গেল আর ফ্রিজটাও আর বেশি দিন গেল না। মাঝে মাঝে আমরা ঠকে গিয়েও শিখে যাই ভাইয়া।
আমারও সেটাই মনে হয়। এটার পিছনে আমি যত টাকাই খরচ করি আবারো নষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য টাকা খরচ করিনি আর।
ফ্রিজটা কিন্তু এখনো কাজে লাগছে ভাই, কারণ ফ্রিজে জামা কাপড় রাখা হচ্ছে 😂। আসলেই সস্তার তিন অবস্থা। দোকান থেকে পুরনো জিনিসপত্র কেনা আমার কখনোই পছন্দ না। কারণ তারা নষ্ট জিনিসপত্র কিনে নিজেরাই সার্ভিসিং করে বিক্রি করে। তবে পরিচিত কারো কাছ থেকে পুরনো কিছু কিনলে অনেক সময় ভালো পাওয়া যায়। তবুও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র নতুন কেনা ভালো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই একটু সময় লাগলেও নতুন জিনিস কেনাই ভালো। এ ফ্রিজটা কিনে নিয়ে পুরাই লস হয়েছে। যদিও প্রথমের দিকে একটু ঠান্ডা জল খাওয়া যাচ্ছিলো, তবে কিছুদিন পরে পুরাই অকেজো হয়ে গেলো। ফ্রিজ জিনিসটাই এমন যে একবার নষ্ট হওয়া শুরু হলে বারবার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজের পিছনে টাকা খরচ করার থেকে সীমান্ত স্কয়ারে গিয়ে মুভি দেখাও ভালো 😍
এই ফ্রিজের সমস্যা গুলো এরকমই শুরু হলে বারবার দেখা যায়।আর যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় এই পুরনো ফ্রিজ সারতে এর থেকে ভালো নতুন ফ্রিজ কিনে নেওয়া।আমাদের বাসার ফ্রিজ প্রথমবার ভালো সারতে পারেনি লোকাল মেকার দিয়ে সরানো হয়েছিল তাই।এক বছর যাওয়ার পর আবার নষ্ট হয় তখন সরাসরি এলজির শোরুমে পাঠানো হয়েছিল আর এবারে সার্ভিস ও খুব ভালো পাচ্ছি।এলজি ফ্রিজ গুলো বেশ ভালো তাই কোনো সমস্যা সেভাবে ফেইস করতে হয়নি আমাদের।এই স্যামসাং বর্তমান তেমন একটা ভালো সার্ভিস দেয়না।পূর্বে এর বেশ মূল্যায়ন ছিল।ইলেকট্রনিক্সের জিনিস নতুন কেনা সবসময় ভালো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভালই তো করেছেন ভাইয়া ফ্রি ফ্রি বন্ধুদেরকে একটা ফ্রিজ আলমারি দিয়ে এসেছেন । সুন্দর সুন্দর কাপড়-চোপড় গুলো ভাজ করে রেখে দেবে আর আপনার কথা মনে করবে । পুরনো জিনিস কিনা কখনোই উচিত নয় এটা ঠিক করতে জীবন একেবারে বেহাল দশা হয়ে যায় । দরকার হয় কিনবো না কিন্তু পুরনো জিনিস কখনোই কেনার পক্ষপাতী আমি নই । ভাগ্যিস ফেলে রেখে এসেছিলেন না তা না হলে এটার পেছনে আপনার যে কি হতো আল্লাই জানে । কদিন যে ঠান্ডা পানি খেতে পেরেছেন এটাই বিরাট ব্যাপার ।