বগুড়া ঐতিহ্যের শহর
বগুড়া, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন শহর, আর সেই উত্তর অঞ্চলেই আমার বাসা। তবে আমার বাসা যে বগুড়া এমনটা নয়। যাইহোক কিছুদিন আগে বগুড়া গিয়েছিলাম ঘুরতে, বগুড়া নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় বগুড়া তার ঐতিহ্যবাহী দইয়ের জন্য সুপরিচিত। এছাড়াও শহরটির ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন বিখ্যাত, তেমনি তার দইয়ের খ্যাতিও ছড়িয়ে রয়েছে দেশের সর্বত্র। বিশেষ করে বগুড়ার শহরকে সবাই তার দইয়ের জন্য চিনে, তবে এই শহরের খ্যাতি শুধুমাত্র দইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং বগুড়া তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাসের জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত বটে।
কয়েকদিন আগে বগুড়া গিয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু তেমন কোনো ছবি ক্যাপচার করতে পারিনি, কিন্তু তাই বলে বগুড়াকে নিয়ে লিখব না তা তো হতে পারে না। তাই আজকে আমি আমার ব্লগে লেখার চেষ্টা করেছি বগুড়াকে নিয়ে ছোট্ট একটা জেনারেল রাইটিং যার নাম দিয়েছি বগুড়া ঐতিহ্যের শহর তো চলুন দেখি কতটুকু তুলে ধরতে পারি!
বগুড়ার দই দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিখ্যাত। বগুড়ার দই মুলত গরুর দুধ থেকে তৈরি, যা মিষ্টি ও টক স্বাদের মিশ্রণে এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে। দই তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত যত্নের সাথে করা হয়, এবং বগুড়ার কারিগররা তাদের ঐতিহ্যগত পদ্ধতিতে দই প্রস্তুত করেন। প্রথমত, দুধ ফুটিয়ে নেওয়া হয় এবং তারপর সেটি ঠান্ডা করে তাতে প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া যুক্ত করে জমিয়ে নেওয়া হয়। এতে কোনো রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার হয় না, যা দইয়ের স্বাদকে আরও বিশুদ্ধ ও মজাদার করে তোলে। বগুড়ার বেশ কয়েকটি বিখ্যাত দোকান রয়েছে, যারা দই তৈরিতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। মাতব্বর মিষ্টান্ন ভান্ডার বা পদ্মা দই ঘর এই রকমই কয়েকটি জনপ্রিয় নাম।
বগুড়া শহরটি ভ্রমণপিপাসুদের জন্যও আকর্ষণীয় গন্তব্য। মহাস্থানগড়, পুন্ড্রনগরী, গোকুল মেধ এবং বেহুলা-লখিন্দর ঘর বগুড়া শহরে। বগুড়া তার দইয়ের জন্য যতটা পরিচিত, ততটাই তার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির জন্যও বিখ্যাত। এই শহরটি একদিকে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ও ইতিহাসে পরিপূর্ণ, অন্যদিকে আধুনিকতার ছোঁয়াতেও সমৃদ্ধ। এসবের টানে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ সেখানে ঘুরতে আসেন। এজন্য বগুড়ার পরিচিতি রয়েছে সারা বাংলায় বেশ ভালো।
বগুড়ার দই যেমন মিষ্টি ও সুস্বাদু, তেমনি এ শহরের মানুষ ও তাদের আতিথিয়তাও তেমন মিষ্টি। আমার বাংলা ব্লগের সকল মেম্বারদের হাতে সময় ও সুযোগ থাকলে বগুড়া শহর ঘুরে দেখার দাওয়াত রইলো।
আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।
বগুড়া শহরকে নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন আপনি। হ্যাঁ ইতিহাসের বিভিন্ন স্থানে বগুড়া শহরের বিভিন্ন কিছু দেখতে পাওয়া যায়। এই শহরটা অতি প্রাচীনকাল থেকে সমৃদ্ধ বিভিন্ন ইতিহাসে। যাইহোক ভালো লাগলো কিন্তু আপনার বগুড়া শহরকে কেন্দ্র করে লেখা আজকের পোস্ট দেখে।