"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২২ || আমার জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগ মানেই যেনো একটির পর একটি প্রতিযোগিতা। আবারো একটি নতুন প্রতিযোগিতা এসে গেলো। প্রতিযোগিতা হবে আর আমি পার্টিসিপেট করবোনা তা কি করে হয়। এবার এর প্রতিযোগিতার বিষয় ছিলো জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। আমারো এমন অনুভূতি রয়েছে তাই ভাবলাম শেয়ার করে ফেলি।
মোবাইল ফোন বর্তমানে বিজ্ঞান এর সেরা একটি আবিষ্কার হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের জীবন কে মোবাইল ফোন করে তুলেছে অনেক সহজ। হাতের মুঠোয় পুরো বিশ্ব । এটি কেবল মাত্র মোবাইল এর কারনেই সম্ভব হয়েছে। মোবাইল ফোন নানা ভাবে আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে তে মোবাইল ফোন এর বিকল্প কিছু নাই। এর মাধ্যমে চাইলেই আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত তে মুহূর্তে যোগাযোগ করতে পারি। সত্যি মোবাইল ফোন যেনো আমাদের জীবন কে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে।
জীবনে প্রথম মোবাইল হাতে পাওয়ার অনুভূতি যেন একটু অন্যরকম হয়। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি হয়েছে মোবাইলের সাথে পরিচয় বহু বছর আগে থেকে। আব্বুর বাটন ফোন ছিল সেই বাটন ফোন নিয়ে টিপাটিপি করতাম। গেম খেলতাম। এই গেম খেলার জন্য যে কত মার খেয়েছি তা হিসাবের বাইরে। তবে স্মৃতি গুলো ছিলো মধুর। সে সময় বাটন ফোনগুলো আমাদের কাছে অনেক ছিল। এখন হয়তো স্মার্ট ফোন দিও মন ভরে না কিন্তু সে সময়ে বাটন ফোনগুলোই ছিল একমাত্র ভরসা। আমার এখনো মনে পড়ে ফোনগুলোতে সাপের গেম খেলতাম তারপর বাউন্স গেম খেলতাম।
আমি আমার জীবনের প্রথম মোবাইল হাতে পাই ২০১৪ সালের শেষের দিকে তখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। তখন অবশ্য স্মার্টফোনের যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। সুন্দর সুন্দর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস পাওয়া যেত বাজারে। আব্বু কি প্রায়ই বলতাম আমাকে একটা ফোন কিনে দিতে বা একটা ট্যাব কিনে দিতে। কিন্তু আমি স্কুলে পড়ি বলে দিত না। এই ফোন হাতে পাওয়ার জন্য আমি যে বাসায় কত রাগ করে থেকেছি, কত না খেয়ে থেকেছি। এমন কি অনেক মার খেয়েছি। তবুও ফোন আমার লাগবেই লাগবে।
আমার মনে পড়ে অষ্টম শ্রেণীতে জিপিএ ৫.০০ পাওয়ার কারণে আমাদের ঢাকার প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিলাম। এটি আমি হাতে দিয়ে একবার বলেছিলাম আমাকে ফোন কিনে দিতে কিন্তু আমাকে দেয়নি। আমার যুদ্ধ শুরু হলো বাসায়। তারপর ফোন কেনার জন্য আমার আম্মু টাকা দিল আমার নানু টাকা দিল আমার মামা টাকা দিল এমনকি আমার খালা টাকা দিয়েছে। সেদিন বলে মনে করলে অনেক ভালো লাগে। একটা সময় সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে প্রায় ৮০০০ টাকা হলো। বাসায় অনেক রাগারাগি করে চলে গেলাম মার্কেটে। তারপর আব্বু সহ অনেক বাছাই করে ফোন কিনলাম।
আমার প্রথম ফোন ছিলো Samsung Galaxy Ace Nxt মডেল এর। সাথে রবি সিম এর অফার পেয়েছিলাম। ৫ জিবি করে প্রতিমাসে। ৩ জি ছিলো তখন। চেক করার জন্য প্রথম কল আমি বাসায় আম্মুকে করে ছিলাম। সে এক মধুর স্মৃতি। তারপর বাসায় চলে এসে ফোন চার্জ করলাম। রাত হয়ে যাওয়াতে সেদিন আর ফোন ব্যবহার করলাম না। পরেরদিন সকালে শুরু হলো আমার স্মার্ট ফোন লাইফ। আমার আরো একটা ফ্রেন্ড এর কাছে মোবাইল ছিলো। একই মডেল এর। ওরে ভিডিও কল দিয়ে প্রথম ভিডিও কল এর অনুভুতি নেই। নেট পাওয়ার পর বাসায় ৩ জি পেতোনা। তাই অনেক দূর যেয়ে গেম, গান, ভিডিও ডাউনলোড করতাম। অনেক গেম খেলেছি। ফ্রি মিনিট পাওয়ায় বাসার সবাই অনেক কথা বলতো। মনে রাখার মতন অনুভূতি ছিলো সেসময়কার।
তো এই ছিলো আমার জীবনে প্রথম ফোন পাওয়ার অনুভূতি। কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

খুব সুন্দর করে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ভাইয়া।জেনে ভালো লাগলো।আশা করি,ভালো কিছু হবে। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য 🧡💖
আপনাদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে ভালোই লাগে খুব।।
আসলে ভাই আপনার মোবাইল ব্যবহারের অনুভূতিটা খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার মোবাইল কেনার জন্য পরিবারের সকলেই টাকা দিয়েছিল এমনকি আপনার খালাও টাকা দিয়েছিল ।এর পরবর্তীতে আপনার বাবাকে নিয়ে মার্কেট থেকে স্যামসাং এর যে মোবাইল ফোন কিনেছিলেন অনুভূতিটি আপনার জন্য অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম ভাই। একটু একটু করে সবার থেকে টাকা নেওয়ার পর আমার মোবাইল এর টাকা হয়েছিলো।