বাইক রেখে বাসে করে অফিস গেলাম।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। শীত শীত একটা ভাব আসতেছে কয়েকদিন ধরে। যা আমার অনেক ভালো লাগে। শীতের আবহাওয়া তো সব সময়ই দারুণ। আমার পছন্দের সিজন আসতে চলেছে। খুশিতে আমি আত্নহারা হয়ে যাচ্ছি। আসলে শীতের আবহাওয়াটাই এমন সুন্দর। আমার মতে বেষ্ট একটা আবহাওয়া। তো অনেকদিন পর বাস দিয়ে অফিস গিয়েছিলাম। বাইক নেওয়ার পর বাস দিয়ে সম্ভবত ১-২ বারই গিয়েছিলাম অফিসে গত এক বছর এ। আর গেলাম আজ।
আমার প্রথম বাইক কেনার আজ ১ বছর পূর্ণ হলো। এই এক বছরের জার্নিটা দারুণ ছিলো আমার জন্য। বাইক কেনার পর খুব সম্ভবত ১ দিন বাসে করে অফিস এসেছিলাম। তাও সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো দেখে। এরপর আর বাসে যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন বাইক কিনেছি দেখে দাম দেখাচ্ছি। কিন্তু না। সকালে বাসে উঠার যুদ্ধ করতে কষ্ট হয় অনেক। আর আমি তো গরম একদমই সহ্য করতে পারিনা। এসি বাসে আসা যাওয়া করাও খুব খরচ পরে যেতো। এর থেকে বাইকই ভালো। বাসে উঠলে অফিসে দেড়ি হওয়ার ভয় থাকতো। বাসা থেকে অনেক আগে বের হতে হতো। এমনো অনেকদিন হয়েছে আমি বাস থেকে নেমে ৩ কিলোমিটার রাস্তা হেটে অফিস গিয়েছি। কারণ পুরো রাস্তা জ্যাম ছিলো। আবার বাইক নেওয়ার পর এমনো হয়েছে আমি ৯ টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে পৌছাই ৯ টা ৩০ এ। অন্য সময় বার হতাম ৮ টা ৩০ থেকে ৮ টা ৪০ এর মাঝে। আর বাসে যেতে হলে বাসা থেকে ৭ টা ৪৫ কিংবা ৮ টার আগে বের হইতে হইতো। তাই আর বাইক নেওয়ার পর বাসে যাওয়া হয়নি। এমনকি আমি জ্যাম থেকে বাঁচার জন্য অনেক গুলো বিকল্প রাস্তাও বের করে রেখেছিলাম। তো হঠাৎ করে বাসে কেন আসলাম যদি এতো ঝামেলা থেকেই থাকে? এটা অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে। তো তারই উত্তর দিবো এখন।
তো আমার ২য় বাইক হচ্ছে হোন্ডা হরনেট। এটি নিয়েছিলাম গত ৫ জানুয়ারি ২০২৪ এ। বাইকটি দারুণ। এটিকে আমি রেড ভেলভেট বলে ডাকি। এখন পর্যন্ত বাইকে বড় কোনো সার্ভিস করা লাগেনি। অথচ চালিয়ে ফেলেছি ১০ হাজার কিলোমিটার। মাঝে একবার আমার সার্ভিস সেন্টার এর টেকনিশিয়ানদের দিয়ে একটা সার্ভিস করিয়ে ছিলাম গত রোজার ঈদ এর সময়। তো বৃষ্টিতে বাইক চালানোর কারণে ট্যাংক এর ভিতর অনেক ঝং ধরে যায়। আর এই ঝং এর ময়লা তেল এর মাধ্যমে কার্বুরেটর এ পৌঁছে যায়। ফলে ইদানিং বাইক চালিয়ে ফিল পাচ্ছিলাম না। কেমন যেনো বাইক ধাক্কাচ্ছে মনে হচ্ছে। আমি আগেই বুঝেছিলাম যে কার্বুরেটর এ ঝং গিয়ে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। তাই গতকাল আমাদের সিনিয়র টেকনিশিয়ান কাওসার ভাই কে বললাম সার্ভিস করে দেওয়ার জন্য । উনি খুব ভালো ভাবে সব কিছু খুলে সার্ভিস করে দিলেন। এই সুযোগে পুরো ফুয়েল ট্যাংক খুলে ওয়াশ করিয়ে নিলাম। এত্তো এত্তো ময়লা বের হবে ভাবিও নি। বাংলাদেশের তেল এর যা অবস্থা। কি বলবো আর। সব কিছু কমপ্লিট করতে করতে রাত ১২ টার উপর বেজে যায়। এইদিকে তখন তো বাইক রাখি যে বাসায় সে বাসার মেইন গেট বন্ধ করে দেয়। তাই ভাবলাম বাইক রেখেই বাসায় যাবো। করলাম ও তাই। একটা উবার কল করে বাসায় চলে আসলাম।
যেহেতু বাইক রেখে এসেছি তাই আজ সকালে একটু আগে থেকেই ঘুম থেকে উঠে ছিলাম। কারণ আগে বের হতে হবে। নাহলে দেড়ি হয়ে যাবে। না খেয়েই বের হয়ে গেলাম বাসা থেকে। রিকশা নিয়ে বাস স্ট্যান্ড এ চলে গেলাম। এরপর সেই তুরাগ বাসে উঠে গেলাম। কিছু ছবিও তুলে নিলাম এই সময়। অনেকদিন পর বাসে উঠে ভালোই লাগতে ছিলো। এরপর আর কি অফিস পৌঁছে গেলাম। আজ অবশ্য বাইক নিয়েই বাসায় ফিরেছি। সার্ভিস দেওয়ার পর বাইক খুব স্মুথ। অনেক শান্তি লেগেছে আজ রাইড করে।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR