আসসালামু আলাইকুম/🌺
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
আমাদের স্মৃতির পাতায় অনেক ভয়ানক এবং আনন্দময় কিছু মুহূর্ত যেন আমরা পার করে এসেছি। আর এই ঘটনাগুলো যেন আমাদের জীবনে স্মৃতি হয়ে জমা হয়ে রয়েছে। তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে শীতের রাতে ভয়ানক একটি গল্পের কথা শেয়ার করতেছিলামম আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আসলে ভয়ানক ঘটনা গুলো আমাদের স্মৃতির পাতায় পুরোপুরি জমা হয়ে থাকে। আমরা যেন কখনো ভুলতে পারিনা। আর এই ভয়ানক ঘটনাগুলো জীবনের যেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মতো মনে পড়ে যায়। তাইতো আপনাদের মাঝে শীতের রাতে এই ভয়ানক গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আসলে গল্পগুলো শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগে। পুরনো দিনের কথা মনে হলেই যেন অনেক আনন্দ লাগে। তাই গল্পটি শেষ পর্ব পড়ে আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
source
তো শীতের রাতে আমরা বন্ধুরা মিলে যখন খিরা খাচ্ছিলাম। তখন দেখতে পেলাম না এই সাদা কি যেন ভেসে ভেসে আমাদের দিকে আছে। আসলে বেশি কুয়াশার কারণে আমরা কষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম না। যখনই আমাদের নিকটে এসে আমাদের ধরাধরা, তখন আমরা রাস্তা দিয়ে অনেকে দৌড়াতে থাকি এবং দৌড়াতে গিয়ে আমার বন্ধু যখন রাস্তা পড়ে যায়। তখন আমার বন্ধুকে এসে সেই সাদা দৃশ্যটি হাত ধরে, আমরা ভয় পেয়ে যাই। বন্ধু চিৎকার দেয়। তখন আমরা সাহস করে সেই ভয়ানক বস্তুটির কাছে আসলাম। এসে দেখতে পেলাম সেটা ভূত ছিল না, সেটা ছিল রহিম চাচা।
রহিম চাচা এই খিরা চাষাবাদ করেছিলো।আসলে রহিম চাচারি এই ফসলের মালিক ছিল, আর রহিম চাচা মূলত জুব্বা পড়ে থাকে। সে সাদা জুব্বা পড়ে আমাদের দিকে এভাবে তাড়া করেছিল, আমরা ভেবেছিলাম ভূত,কুয়াশার মধ্যে দিয়ে সাদা কি যেন ভেসে আসছে, আসলে এই ভয়ানক সাদার দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে যেন আমরা অনেক ভূয় পেয়েছিলাম। আসলে শীতের রাতে কুয়াশার মধ্যে বোঝাই যাচ্ছিল না যে সেটা কোন একটা মানুষ হবে। আর রহিম চাচা যখনই আমাদের দিকে আসতে ছিল, তখন আমরা সাদা ভূত এর দৃশ্য ভেবে অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম।
source
রহিম চাচা বলল প্রতিদিন রাতে তোরা এসে আমার এই খিরা ক্ষেত থেকে খিরা তুলে নিয়ে যাস। আজকে তোদের হাতেনাতে ধরেছি,যার কারণে তোদের ধরার জন্যই আমি দৌড়ে এসেছি। রহিম চাচাকে তখন বললাম চাচা আজকে আমরা প্রথম এসেছি, আর আজকে আপনি যে ভয় আমাদের দেখিয়েছেন আমরা জীবনে আর কোন দিন রাতের বেলা ফসলের মাঠের আশেপাশেও কোনদিন আসবো না। আমরা তো ভেবেছিলাম আপনি ভূত সাদা দৃশ্য ভেবে আমাদের দিকে আসছেন।আমরা তো আর একটু হলেই ভয়ে মারা যেতাম।
তখন বলল আমি তোদের অবস্থা দেখেই বুঝতে পেরেছি। তোরা অনেক বেশি ভয় পেয়েছিস। আর তোদের দৌড়ানি দেখে আমিও তোদেরকে থামানোর জন্য বারবার বলতেছিলাম যে ভয় পাস না, তোরা তো ভূত বেবি ভয় পেয়েছিস। কারণ এই শীতের রাতে ওইভাবে তো বোঝা যায় না, আমি ভেবেছিলাম আজকে ধরে ভালো করে শায়েস্তা করব। কিন্তু তোদের অবস্থা দেখে আর কি শায়েস্তা করব তোরা তো এমনিতেই শায়েস্তা হয়ে গেছিস। তোদের বাবা আমাকে জানাতে চেয়েছিলাম, তার প্রয়োজন মনে করছি না। আশা করছি আজকে যে শিক্ষা পেয়েছিস আর কোনদিন এভাবে চুরি করে কারো ফসলের জমি থেকে কিছু খাবিনা।
আমরা তখন চাচাকে বললাম চাচা আর জীবনে কোনদিনই রাতের বেলা এবং দিনের বেলা কারো জিনিস আমরা আর চুরি করে কখনোই খাব না। আমরা আজকে যে ভয় পেয়েছি এবং সত্যি সত্যি যদি ভূত হতো তাহলে আমাদের অবস্থাটাই কি হতো। আমরা তো ভয়ে একদম শেষ হয়ে যেতাম। তখন চাচা বলল ঠিক আছে বুঝতে পেরেছি, এখন চল আমার সাথে বাড়ি যাবি। তখন আমরাও চাচাকে অনেক ধন্যবাদ দিলাম, যে চাচা আজকে আপনি আমাদের অনেক বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তখন আমরা চাচার সাথে আমাদের বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আর এই ভয়ানক গল্পটি আমরা কখনোই ভুলবো না। আসলে চাচা ভালো মানুষ ছিল বলেই আমাদের রক্ষা হয়েছিল। তা নাহলে বাড়িতে বলে দিলে অনেক ঝামেলা হতো। তো বন্ধুরা আপনাদের মাঝে এই গল্পটি শেয়ার করতে পেরে খুবি ভালো লাগছে,তো আজকে এখানেই শেষ করছি পরবর্তী আবারও ভিন্ন কোন গল্প নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। 🙏🤲🙏
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
https://x.com/rayhan111s/status/1884961180894241227?t=UnLAEOqIePxVPjYj1yOrUQ&s=19
অনেক মজার একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। প্রায় শোনা যায় কাঁচা খাওয়া শাকসবজি বা ফল বলুন এসব চুরি করার জন্য অনেক মানুষ বিভিন্ন ক্ষেতে অবস্থান করে। আর সেই জিনিস ঠেকিয়ে রাখার জন্য কৃষকেরা বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে। ঠিক তেমনি ছিল আপনার আজকের ঘটনার মূল বিষয়। অনেক ভালো লাগলো জেনে।
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া রাতের বেলা এভাবে কেউ একা থাকে সেটা ভূত ছাড়া আর কি মনে করার। তবে চাচা দেখি আপনাদের বেশ ভালোই শাস্তি দিয়েছে। আবার রক্ষা ও করেছে বাড়িতে না বলে। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ ভয়ানক একটা গল্প শুনলাম আপনার কাছে। গল্পটা আবার মজার আছে।আপনারা বন্ধুরা চুরি করতে গিয়েছিলেন খিরা ভুতের কাছে হাহাহা রহিম চাচার কাছে ধরা খেলেন। রোমাঞ্চকর গল্প পড়তে পেরে আমি আনন্দ পেলাম।