আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে।সেই দিনের কথা মনে করতে পেরে অনেক যেন ভালো লাগে। বিশেষ করে পুরনো দিনের মুহুর্ত আরো বেশি আনন্দদায়ক লাগে। তবে আমাদের জীবনে কিছু ভয়ানক গল্প রয়েছে। যে গল্পগুলোর কথা মনে হলে এখনও গা শিউরে ওঠে।য সেই দিনগুলোর কথা এখনো মনে হলে ভয় লাগে।ভয়ানক গল্প আমরা সহজে ভুলে যায় না। তাইতো বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম নৌকা নিয়ে। আর তখন একটি ভয়ানক মুহূর্ত আমাদের সামনে হাজির হয়েছিল। এই স্মৃতিময় গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পে শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আজকের গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্ষাকালে আমরা বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে আমাদের একটি ছোট নৌকা ছিল।এ নৌকায় নিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত এবং ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম ছিল। একদিন আমরা মাছ ধরতে গিয়েছিলাম আর এই মাছ ধরে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে আসতে অনেক বেশি ভয় হচ্ছিলো। তারপরে যখন দেখতে পেলাম লাল একটা আলো আমাদের দিকে এগিয়ে আছে। আমরা অনেক ভয় পেয়ে গেলাম। এই আলোটি আসতে আসতে যেন পানির মধ্যে হারিয়ে গেল। আবার যেন কোথা থেকে এই আলোটি আবারও ফিরে আমাদের দিকে আসতে ছিল। এই দৃশ্যটি দেখে আমার বন্ধু হয়ে যেন কাঁপতে ছিল। আমিও ভয় পাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিল এটাই হয়তো ভূত। আসলে ভূতের গল্প অনেক শুনেছি। কখনো দেখা হয়নি। তাই আজকে যেন অনেক বেশি ভয় হচ্ছিল।
বর্ষাকালে মাছ ধরতে গিয়ে অনেকেই ভূত দেখেছে, এই গল্পগুলো আমরা বড়দের কাছে শুনেছি। যার কারণে আমরা যখন মাছ ধরতেছিলাম তখন এই ভূতের আলো দেখতে পেয়ে ভয় পেয়েছিলাম। যে এটা ভূতেরই আলো হবে। আসলে ভূত যে রয়েছে এটাই ধারণা করতে ছিলাম কতণ।আর বড়রা গল্পের বলতো মাছের সাথে নাকি ভূতের আড়ি বেশি থাকে। তাই তো মাছ ধরা নিয়ে এবং মাছ খাওয়া নিয়ে ভূতের অনেক গল্প আমরা দাদির কাছে শুনেছিলাম। তাই আজকে যেন আমাদের আর রক্ষা নেই, আমরা ভেবেছি আজকে আমাদের এই ভূত মেরে ফেলবে, না হলে আমরা আজকে এখান থেকে যেতে পারবো না।
আমি অনেক বেশি ভয় পেয়েছিলাম।আমার হাত-পা যেন কাপ পেয়েছিল। বন্ধু বলল যে ভয় পাচ্ছি কিন্তু চিৎকার দিস না। চিৎকার দিলে কিন্তু আরো বেশি সমস্যা হবে। আমরা তিন বন্ধু এক জায়গায় হলাম। তখন আমাদের নৌকাটি চলতেছিল না। আমরা তখন সেখানে দাঁড়ালাম আগে দেখতেছিলাম এই আলোটা কোন দিকে যায়। তারপরে আলোটি আসতে আসতেই যেন পানির মধ্যে হারিয়ে গেল। আসলে বন্ধুর কাছে একটি লাইট ছিল। সেই লাইটটি ওই আলোর দিকে ধরাতেই সেই আলোটি কোথায় গেল আর আমরা খুঁজে পেলাম না। তার পরে আমরা ভেবে নিলাম এটা হয়তো ভূতের আলো ছিল। কোন মানুষের আলো হলে তো এই আলোটে হারিয়ে যেত না। তখন আমরা তাড়াতাড়ি করে নৌকা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
তারপরে আমরা সেখান থেকে তাড়াতাড়ি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং আমরা যখন আমাদের বাড়ির ঘাটে নামলাম, নৌকা থেকে নেমে যেন সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করলাম। যে আল্লাহ তা'আলা আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে, না হলে আমরা তিন বন্ধু এই বিলের মধ্যেই হয়তো অনেক বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তাম। বন্ধু বললো আজকে যে ভয় পেয়েছি এইটা যেন বাড়ির কাউকে বলিস না, তাইলে কিন্তু আমাদের আর কখনোই বের হতে দিবে না। তারপরে আমরা সাহস নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমরা অনেক মাছ ধরেছিলাম এই মাছ যখন আমরা নিয়ে বাড়ি যাবো তখন আমাদের কাছে অনেক অল্প মাছ মনে হল। বললাম যে কত মাছ ধরলাম এত অল্প লাগছে কেন।
আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/rayhan111s/status/1896584861810643397?t=DoZDP-IchHEk3xh8gjkqeg&s=19
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে মাছ ধরতে গিয়ে ভূত দেখার গল্প বিষয়ের বেশ কিছু তথ্য শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলে এবং অনেক ভালো লাগলো আমার। এ জাতীয় ইন্টারেস্টিং গল্পগুলো আমি খুবই পছন্দ করি।
আপনার এই ভয়ানক গল্পটি পড়তে বেশ মজার পাশাপাশি কিছুটা শিহরণ জাগানোর মতো। বর্ষাকালে মাছ ধরার সময় এমন অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়াটা নিশ্চয়ই অনেক ভয়ানক ছিল। কিন্তু শেষে যখন আপনি বাড়ি ফিরলেন, তখন যে অনুভূতি পেয়েছিলেন, তা নিশ্চয়ই স্বস্তির। ভূতের গল্পগুলো সত্যিই কখনো সহজে ভুলে যাওয়া যায় না, বিশেষত যখন তা নিজের জীবনে ঘটে! পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
মাছ ধরতে গিয়ে ভূতের গল্পটি শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনাদের যে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি এটাই অনেক। আসলেই মাছ ধরতে গেলে ভূতেদের আড়ি থাকে আপনার গল্পটির মাধ্যমে তা বুঝতে পারলাম।
মাছ ধরতে গিয়ে ভূতের কবলে পড়া,এই ধরনের গল্প ছোটবেলায় অনেক শুনেছি মুরুব্বীদের মুখ থেকে। আপনার গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আমার মনে হচ্ছে ভূত আপনাদের মাছ গুলো খেয়ে ফেলেছিল। তাইতো মাছ কম মনে হয়েছিল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।