মায়ের ঢাল
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে এমন একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি।কিংবা লেখা শেয়ার করতে এসেছি। যেটা হয়তো আমরা অনেক সময় বুঝিনা কিংবা ভাবি না। কিন্তু এই ব্যাপারটি আমি মনে করি সবচেয়ে বেশি ভাবা উচিত। কারণ কিছু কিছু ব্যাপার এমন থাকে, যেগুলো নিয়ে না ভাবলেও বোধ হয় পাপ হবে। কারণ কিছু কিছু ব্যাপার সত্যিই এমন থাকে। যেগুলো বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্কে চলে আসা উচিত।
তেমন একটা ব্যাপার হলো সন্তানেরা যখন ছোট থাকে। তখন পরিবারের অনেক আত্মীয়-স্বজন পরিবারের মানুষজন কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠরা মাকে কিন্তু অনেক কথা বলে। কারণ পরিবারে আসলে সবচেয়ে নড়বড়ে জায়গা হয় একটি নতুন বউ এর। কারণ সে মুখ খুলতে পারেনা। অর্থাৎ ১০ জনের সামনে যদি কোনো কথা বলে ফেলে। তাহলে কিন্তু সেই বউ হয়ে যায় নিমিষেই বেয়াদব কিংবা মুখ পাতলা কিংবা আরো যা যা অপবাদ দেওয়া যায় সেসব।
কারণ তখন সে একা থাকে। আর যার ভরসায় আসে অর্থাৎ স্বামীর কথাই বলছি। সেও বেশিরভাগ সময় পরিবারের পক্ষ নিয়েই বউকে ছোট করতে থাকে। অর্থাৎ এটা বলা চলে একটি চিরাচরিত নিয়ম হয়ে যায়। কিন্তু এখানে অন্য একটি ব্যাপার আছে। অর্থাৎ ওই বউ যখন মা হয় এবং ওই মায়ের সন্তানেরা যখন বড় হয়। তখন কিন্তু ওই সন্তানদের উচিত তার মায়ের ঢাল হয়ে উঠা।কারণ প্রথম দিকে ওই বউকে সবাই অনেক কথা বলতে পারলেও। আমি মনে করি সন্তানের সামনে যেনো মাকে কোনো কথাই বলতে না পারে। অর্থাৎ কোনো অপবাদ, কোনো খারাপ কথা বলতে না পারে সন্তানদের সেভাবেই শক্ত হয়ে মায়ের সামনে দাঁড়ানো উচিত।
কারণ সন্তানেরাই হলো মায়েদের ঢাল। বিশেষ করে শশুর বাড়িতে সন্তানেরাই হলো মা এর একমাত্র রক্ষাকারী। কারণ এটা একটা ঠিক ও সত্যি কথা হলো মা সকলের সবকিছু খেয়াল রাখলেও মায়ের খেয়াল কেউ রাখেনা। তাই সন্তানদের উচিত সবসময় নিজের আওয়াজকে তুলে ধরা এবং সর্বোপরি মায়ের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা।
