মাত্রাতিরিক্ত লোভ ও কাজে অমনোযোগী
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
লোভ একটা মানুষকে একেবারে আজীবন এর জন্য ধ্বংস করে দিতে পারে। এটা আমরা সকলেই জানি। কারণ লোভ এমন একটি বিষ, যেই বিষ ক্যান্সারের মতোন ধীরে ধীরে পুরো শরীরকে গ্রাস করে নেয় এবং একটা সময় মানুষের মস্তিষ্ককেও গ্রাস করে নেয় এবং যার মাধ্যমে সে সম্পূর্ণভাবে ওই মানুষটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং ওই মানুষটিকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেয়।
মাত্রাতিরিক্ত ভালো কিংবা মাত্রাতিরিক্ত খারাপ কোনোটাই কিন্তু ভালো নয়। কারণ কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত ভালো হয়। তাহলে সমাজের প্রতিটি মানুষ বলতে গেলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার কিংবা খারাপ কিছু করার চেষ্টা করে, এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত খারাপ ও হওয়া যে ভালো তা নয়। কারণ মাত্রাতিরিক্ত খারাপ হলে তো সে সমাজের জন্য রেড ফ্ল্যাগ।
আর আজকে আমি কথা বলতে এসেছি মাত্রাতিরিক্ত লোভ এর খারাপ দিক দিয়ে নিয়ে। আসলে মাত্রাতিরিক্ত লোভের খারাপ দিকটি হলো, আমরা যখন অনেক বেশি লোভ করি কোনো কিছু নিয়ে এবং কোনো কিছুর সম্পর্কের জেনে বুঝে তাকে অবৈধভাবে পাওয়ার চেষ্টা করি। তখন সেটাকেই আমরা লোভ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি এখন যখন আমরা অতিরিক্ত লোভের বসে কোনো কিছু করি। তখন কিন্তু আমরা ওই লোভের মধ্যে ডুবে যাই এবং আমরা আমাদের দৈনন্দিন কিংবা যে দরকারি কাজগুলো রয়েছে, সেসব এ অমনোযোগী হয়ে পরি। কারণ তখন আমাদের মধ্যে কাজ করার আর কোনো ইচ্ছে আর কোনো শক্তি বেঁচে থাকে না। তখন আমরা শুধুমাত্র অকাজ ই করতে চাই এবং এটাই সত্য।
তাই যখনই দেখবেন যে, কাজে অমনোযোগী ব্যাপারটি চলে আসছে এবং সে সাথে কাজ করার চেয়ে কোনো কিছু লোভী মনে চাইতে ভালো লাগছে। তখন খেয়াল করতে হবে যে আমরা সত্যিই লোভের মধ্যে ডুবে গিয়েছি কিনা। কারণ আত্মবিশ্লেষণ আমরা সকলেই খুব ভালো করতে পারি। তাই যখন আত্মবিশ্লেষণ করে দেখবো যে সত্যিই আমি লোভের মতো ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত। তখন কিন্তু সাথে সাথে নিজের মত, নিজের মন বদলাতে হবে। কারণ আমরা আমাদের নিজেদেরকে সবচেয়ে বেশি ভালো করে চিনি।
মাত্রাতিরিক্ত এই শব্দটি কোনো মানুষের জন্যই সমীচীন নয়। যখনই অতিরিক্ত বিষয়টি মানুষের মধ্যে ঢুকে যাবে তখনই তার পথ চলা কঠিন হয়ে যাবে। সেটা ভালো হোক বা খারাপ। যেমন আপনি বললেন অতিরিক্ত ভালো হলে সমাজের মানুষের নানান বঞ্চনার শিকার হতে হয় অতিরিক্ত খারাপ হলে রেড ফ্লাগ বলে চিহ্নিত হয়। সুতরাং দুটোই খারাপ। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যখন কাজে অমনোযোগী এসে গেছে এবং মনে লোভী প্রকৃতি ঢুকে গেছে তখন ভালোভাবেই খেয়াল করতে হবে আমরা লোভে ডুবে গেছি কিনা। আমাদের নিজেদের এই লোভ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নয়তো ধ্বংস অনিবার্য।