আজকে শহরে বিকেলের সময়টা কাটালাম
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম বই কিনতে। মার্কেটে যাওয়ার উদ্দেশ্য হয়েছিল বই কেনা। আসলে এই তৃতীয়, চতুর্থ বর্ষে এসে এমন একটা ব্যাপার যে, তিন চার প্রকাশনীর বই বাজারে। প্রথম দ্বিতীয় বর্ষে এই ঝামেলা গুলো ছিল না।আর এক একজন টিচার এক এক প্রকাশনীর বই পড়িয়ে থাকেন।এজন্য আগে সব বই কিনে নেওয়া একটা সমস্যা।
এবার চলুন পুরো ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আমি সচরাচর অনলাইন ক্লাস ম্যামের কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকি। কিন্তু এবার বন্ধুবান্ধবদের সাথে অন্য এক ভাই এর কোর্স কিনেছিলাম। সবাই দিব্যি বুঝছিল আর তার ক্লাস নাকি তাদের ভালো লেগেছে। এবার আমি তো এই তিন বছর ধরে ম্যামের কাছেই পড়ে আসছি। এজন্য ম্যামের কাছে পড়তে আমার কমফোর্ট ফিল হয়। আমরা যে কয়জন স্টুডেন্ট ম্যাম এর কাছে পড়ছি সেই সেকেন্ড ইয়ার থেকে। এখন পর্যন্ত তারা সবাই পড়ে আসছে আরকি হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া কেউ বাদ দেয়নি।
তবে এবার ভেবেছিলাম ভিন্ন কোর্স করে দেখি কেমন লাগে বন্ধুদের সাথে।তাই একটি কোর্স কিনেছিলাম মাত্র।আর ওই কোর্স এ ভাইয়া অন্য প্রকাশনীর বই পড়ান। ম্যাম আমাদেরকে তিতাস প্রকাশনীর বই পড়িয়ে থাকেন। এই কয় বছর ধরে আমি এই প্রকাশনীর বই পড়ে আসছি। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে এই বই। আমার মনে হয় যে এই বই এ ভুল সংখ্যা খুবই কম এমনকি নেই বললেই চলে।
যখন ওই ভাইয়ার কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম অন্য প্রকাশনীর বই দুইটি কিনে নিয়েছিলাম। এবার ম্যামের কাছে ওই একই কোর্সে পুনোরায় করতে হচ্ছে। আর এই বইয়ের সাথে ওই বইয়ের অনেকটা তফাৎ। তো মূলত আমার এজন্যই একটি বই ডাবল করে বই কিনতে হলো। যদিও আর একটা বই কিনে ফেলেছিলাম সেটা ফেরত দিতে পেরেছি। এই বইটাতে দাগ দিয়ে ফেলেছিলাম এজন্য আর ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এই বইটি রাজবাড়ী থেকে নিয়েছিলাম অর্ডার দিয়ে। যেহেতু অর্ডার দিয়ে নিয়ে সব বই তাই এই বইটা চেইঞ্জ করতে যাইনি। ভিন্ন প্রকাশনীর টা আলাদা করে কিনে নিলাম।
দুপুর আড়াইটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম শহরের উদ্দেশ্যে আমি আর আমার বোন। প্রথমেই মার্কেটে গিয়ে বইয়ের কাজ শেষ করলাম। একটি মাত্র বই ছিল এই প্রকাশনীর। তাই বলতে পারেন ভাগ্য ভালো থাকার জন্যই আজকের বইটি পেয়ে গিয়েছি। আমাদের শহরে আবার অন্য প্রকাশনীর বই চলে বেশি তো। তাই এই প্রকাশনী সচরাচর খুব একটা রাখেনা লাইব্রেরীর লোকজন। বইটি কিনে মার্কেট থেকে একটু কাজ সেরে সোজা চলে গেলাম চটপটির দোকানে। দুই প্লেট চটপটি আমাদের মাত্র ৮০ টাকা লেগেছিল। আমাদের এখানে আকাশ ষ্টোরের চটপটি ফুচকা বেশ ভালো। তাই আর অন্য কোথাও না গিয়ে সরাসরি এখানেই বেশিরভাগ যাওয়া হয় আমাদের। দাম অনুযায়ী চটপটি খেতে বেশ ভালো ছিল।যেহেতু শীতকাল তাই আর ফুসকা খেলাম না গরম গরম চটপটি খেলাম।সাধারণত শীতকালে ফুসকা গুলো কম মুচমুচে থাকে আর ঠান্ডা হওয়ায় খেতে ভালো লাগেনা।
তারপর বাসায় আসার সময় ভাবলাম একটু ওয়েট মেপে যাই। যাইহোক ওয়েট কতো সেটা আর বলছি না।অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এতটুকুই জানেন।তাই পরশুদিন থেকে ডায়েট শুরু হবে আরকি,হিহি।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | ফরিদপুর |
Post by-@rahnumanurdisha
Date -21st November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
X-Promotion
শহর ভ্রমণ আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি তখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন সুযোগ পেলেই ঘুরতে বের হতাম। বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলে অনেক কিছু দেখা যায় চেনা যায়। কিন্তু এখন আর সেভাবে তো শহরে যাওয়া হয় না তবে এলাকার মধ্যেই ভালই চলাচল রয়েছে। গরম গরম চটপটি খেতে ভালো লাগে এখানে মেলা কিছু উপাদান দেয় তো। তবে ফুচকাটাও দারুণ হয়ে থাকে। তবে এটা সত্য শীতের সময় অনেকটা নরম হয়ে যায়।
আপনাদের এলাকাতে আপনার পছন্দের বইটি খুব কম পাওয়া যায় তারপরও আপনি যে পেয়ে গেছে এটা জেনে ভালো লাগলো। দুই বোন মিলে বেশ সুন্দর মূহুর্ত অতিবাহিত করেছেন আপু। তবে একজন শেষের দিকে আপনারা চটপটি খেয়ে ওয়েট মেপে বাসায় গিয়েছেন। ডায়েট করলে আশা করছি আপনি দ্রুতই অনেকটা ওজন কমাতে পারবেন। বিকেলের সময় টা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।