সেই বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন||
তো আমাদের বাসার স্টেশনে এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাড়ায় না সেজন্য এই ট্রেনে আমার যাওয়া হয়নি কখনো।গতকাল কয়েকটি বই কিনতে ফরিদপুর গিয়েছিলাম।আমাদের এই শহরে অনেকগুলো বই পাওয়া যাচ্ছিল না।কয়েকটি বই অর্ডার দিয়েছিলাম কিন্তু তারপরেও এনে দিতে পারছিলেন না তারা।আসলে এই প্রকাশনীর বই গুলো আমাদের কলেজের স্যাররা পড়ান না এজন্যই মূলত লাইব্রেরি গুলো রাখেনা।তাই বাধ্য হয়ে যেতে হলো আরকি।তবে সন্ধ্যা ছয়টার ট্রেন এই বেনাপোল এক্সপ্রেস।তাই বাসা থেকে আম্মু বলেছিল বই কিনে রাজবাড়ী না ফিরে একবারে যাতে বাসায় ফিরে যায়।কেননা অনেকটা দূরের পথ রাজবাড়ী।আর আমার বাসা আবার ফরিদপুর থেকে ৩০-৪০ মিনিটের পথ।
সন্ধ্যা ছয়টার ট্রেনে উঠলাম আর সাতটার দিকে মাগরিবের আযানের সময় ফরিদপুর শহরে পৌছালাম।বইগুলো কিনে রাত ৮ টার মধ্যে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।যদিও গতকাল বৃষ্টি হয়েছিল প্রচুর তবে ওই সময়টাতে কোনো বৃষ্টি হয়নি তাই অনেকটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি।তবে বৃষ্টি না হলেও রাস্তাঘাট প্রচুর কর্দমাক্ত ছিল।আর ওই কর্দমাক্ত রাস্তাঘাটে হাঁটা আমার জন্য অনেকটাই খারাপ লাগাদ বিষয় ছিল।তারপরেও কিছু করার নেই কেননা আমাদের সবারই এই শেষ দুই বর্ষে প্রকাশনীর ঝামেলার জন্য প্রতিবারই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।যাইহোক অবশেষে ভোগান্তির অবসান হলো বই গুলো তো পেয়ে গেলাম।এবার যদিও একটু বুদ্ধি করে বই কিনতে গিয়েছিলাম।কারণ এত দূর গিয়ে বই না পেয়ে ফিরে আসলে সেটা আরো কষ্টের বিষয় হয়ে দাড়াতো।তাই এক ফ্রেন্ডের থেকে বই এর লাইব্রেরির নম্বর নিয়ে ফোন করে কনফার্ম হয়ে গিয়েছিলাম।বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যাওয়ার সময় অনেকটা ভয় করছিল আর পিছনের দুর্ঘটনার কথা মনে হচ্ছিল। যেহেতু হাইস ট্রেন ছিল আর যদি কোনো কারণে আগুন লেগে যায় তাহলে ভবলীলা আজই সাঙ্গ হবে এরকমই মনে হচ্ছিল।যাইহোক অবশেষে সকলেই নিরাপদে পৌঁছাতে পেরেছিলাম এটাই অনেক।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | রাজবাড়ী স্টেশন |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 7th July,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

ট্রেন জার্নি করতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। তবে আমার কাছে ট্রেন জার্নি একটি নিরাপদ জার্নি মনে হয়। আপনি দেখছি বেনাপোল এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ফরিদপুর গিয়েছিলেন বই কেনার জন্য। আমরা এই বছরের শুরুতে শুনতে পেয়েছিলাম, এই ট্রেনের মধ্যে আগুন লেগে বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গিয়েছিল, আর আপনি এই ট্রেনের মধ্যে জার্নি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আমি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে যমুনা সেতু দিয়ে যশোর গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু হওয়ার কারনে ফরিদপুর হয়ে ট্রেনটি যায়। যাক ভালো মানের একটি ট্রেনে করেই ফরিদপুর গেলেন। আর ট্রেনের আগুন লাগার বিষয়টা কি বলবো,কিছু বলার নেই। এগুলো বলে লাভ নেই। আপনি সুস্থ ভাবে বাসায় গেছেন। শুনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।