মনোযোগ ধরে রাখতে কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করুন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
বর্তমান বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর খুব বড় একটি সমস্যা তারা মনোযোগ ধরে রাখতে পারেনা।আর এই বিষয়টা তারা পুরোপুরি মন থেকে বিশ্বাস করে নিয়েছে ।তারা পড়ায় মনোযোগ বসাতে পারেনা।আমার মতে ,আপনি যদি মনে করে বসে থাকেন যে আপনি অমনোযোগী তাহলে আপনি তাই।সবার প্রথম মনোযোগ ধরে রাখতে আপনার করণীয় হবে বলার চেয়ে শোনা কে প্রাধান্য দেওয়া।আমরা অনেকেই আছি যারা কথা বলতে পছন্দ করি কিন্তু শুনতে একদমই পছন্দ করিনা।আর কারো কথা শুনতে হলেও আপনার যথেষ্ট মনোযোগ দিতে হবে।তাই পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে হলেও আগে অবশ্যই লোকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
আমরা যেহেতু অভ্যাসের দাস।এই বিষয়টি আমাদের একটু একটু করে অভ্যাস করতে হবে।যেকোনো ভালো কাজে অভ্যস্ত হয়ে গেলে আপনি দেখবেন মনোযোগ খুব সহজে বসাতে পারছেন।প্রযুক্তির যুগে আপনি সরাসরি বই তে প্রথমে ফোকাস করতে যদি সমস্যা মনে করেন।তাহলে আপনি নিয়মিত অডিও বুক শুনতে পারেন।যেকোনো অডিও বুক শুনলে আপনি অযথা মোবাইলে সময় নষ্ট করবেন না। অডিও বুকের প্রতিটি কথা আপনার মধ্যে গেঁথে যাবে যেহেতু সরাসরি আপনি শ্রবণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনো জিনিস আয়ত্ত করছেন।তাছাড়া ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন খুব সহজেই।আমাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা যেকোন টপিক ক্লাসে স্যারের কথা শুনে খুব বেশি সহজে মনে রাখতে পারেন।অন্যদিকে ওই একই টপিক তারা আয়ত্ত করতে খুব সহজে বই পড়ে পারেন না।যেকোনো বিষয় সহজে আয়ত্ত করতে বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে অডিও বুক আপনি ভালো মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর ফোনে রিলস বা অপ্রয়োজনীয় ভিডিও দেখার মাধ্যমে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে।এছাড়া অডিওবুক নিয়মিত শুনলে যেকোনো শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ কমে যাবে।বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেকটাই চাপে থাকেন।প্রচুর পরিমাণে অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস, টিউশন ইত্যাদির চাপ শেষ করতে অডিও বুক আপনাকে অনেকটা রিল্যাক্স হতে সাহায্য করবে।অডিওবুকের মাধ্যমে পছন্দের লেখকের বই পড়তে পারেন।ফ্রি টাইমে যেকোনো গান শোনার চেয়ে শিক্ষামূলক অডিওবুক পড়ুন।এতে করে অনেকটা মনোযোগ পড়াশুনায় কনভার্ট করতে পারবেন।শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল বিষয়বস্তু পড়াশুনায় সীমাবদ্ধ থাকলে তাদের অযথা মানসিক চাপে পড়তে হবে না।যেকোনো মানসিক চাপ একজন শিক্ষার্থীকে বিভৎস ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।যার ফলে মনোযোগ এমনিতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।মনোযোগ বিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে রুটিনমাফিক চলতে হবে পড়াশুনায় ব্যস্ততার মাধ্যমে।মনোযোগ বিচ্ছিন্নকারী জিনিসগুলো একটি নিদ্দিষ্ট সময় ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে ।সর্বোপরি,মনোযোগ সহকারে যেকোনো বিষয় আয়ত্ত করতে হলে আপনাকে একটু একটু করে অডিওবুক এবং নিজেকে অন্যের কথা মনোযোগ সহকারে শোনার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -21th November,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
X-Promotion
বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটি আলোচনা করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তর বিষয়গুলো বুঝতে চায়। আমাদের সকলের উচিত মোবাইল ফোন নিজের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা এছাড়া অন্য বিষয়ে ব্যবহার না করা। বর্তমান সময়ের এ সমস্ত ভিডিও গুলো মানুষের জন্য বেশ বড় আকারে ক্ষতি বয়ে এনেছে এবং আরো ক্ষতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জনসমাজ।
আসলেই এখনকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় সেভাবে মনোযোগ দিতে পারে না বিভিন্ন কারণে। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু,নীরব শ্রোতা হলে অনেক সময় মনোযোগ বৃদ্ধি করা যায়। ক্লাসে বসে যদি টিচারদের কথায় মনোযোগ দেওয়া না যায়, তাহলে তো কিছুই শেখা যাবে না। তাছাড়া মোবাইলের প্রতি আসক্ত হওয়ার কারণেও এখন পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া যায় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।