বয়স
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
|
---|
যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল পোস্ট করবো।আসলে একেক মানুষের লাইফ সার্কেল একেক রকম।অনেকে জন্মের পরে লাইফ সার্কেল ঠিকঠাক অর্থাৎ শিশু,কৈশোর যৌবন তারপর বৃদ্ধ এরপর মৃত্যু। তবে অনেকে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই মৃত্যুবরন করেন।
কারন সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুনিয়াতে আসার সিরিয়াল দিয়েছেন কিন্তু যাওয়ার সিরিয়াল দেয়নি।অর্থাৎদাদা,বাবা,ছেলে, নাতি এভাবে সিরিয়াল আছে কিন্তু অনেক সময় দাদা আগে নাতি চলে যায়।কিন্তু প্রতিটি মানুষের চিন্তা ধারা থাকে একদিন বুড়ো হবে তারপর মরে যাবে কিন্তু আমরা কয়জনে মানুষ ভাবি প্রতিটি কৃতকর্মের ফল দুনিয়া এবং আখিরাতে দুইজায়গায় পাওয়া যায়।
আসলে যেইজন্য কথা গুলো বলা তা হচ্ছে আমাদের বাসায় যে কাজ করে খালা বেশ কয়েক বছর যাবত কাজ করে।আমাদের অনেক বিশ্বস্ত। প্রায় দশ বারো বছর যাবত কাজ করে।খালার বাবা মা গ্রামের বাড়ি থাকে।বেশ বয়স হয়েছে। খালারা তিন বোন ও একভাই,একভাই হওয়ার কারনে বেশ আদরের ছিলো।খালাও তার বোনদের বিয়ে হওয়ার পর খালার ভাইকে বিয়ে করানোর পর সেও আলাদা হয়ে গিয়েছে। এখন তারা দুইজন এই বয়সে একা।তাদের দেখার মত কেউ নেই।
তিন বছর আগে তার বাবা বপশ অসুস্থ হয়ে যায়,খুব খারাপ অবস্থা। তাড়াতাড়ি ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, কি যেন একটা অপরেশন করা লাগতো কিন্তু বয়স বেশি হওয়াতে ডাক্তার করাতে চাচ্ছে না পরে আমার ভাই দেখে দেখে খাওয়ার জন্য ঔষধ দিলো কিন্তু অপারেশন করা সম্ভব না।ঔষধ খাওয়ার পর এবং খালার যত্নে বেশ সুস্থ হলো।কিন্তু এত অসুখের মাঝে ও খালার ভাই একবারের জন্য ও দেখতে আসলো না।আর খালারও তেমন আর্থিক অবস্থা ভালো না যেন তার বাবা মাকে রাখতে পারবে।যাই হোক সুস্থ হওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে দিয়ে আসলো।
ইদানিং বেশ অসুস্থ দুইজনই কিন্তু দেখার মত কেউ নেই। রান্না করে দেওয়ার মত কেউ নেই। দুইজনই বেশ অসুস্থ কে কাকে দেখে।খালা কয়েকদিন পর পর যায় ঠিক কিন্তু তাদের সাথে সবসময়ের জন্যই একটা লোক দরকার। অথচ তার ছেলের ঘরে অনেক গুলো ছেলে মেয়ে আছে তারা নাকি একটু দূরেই থাকে তারা তাদের নিয়েও যায় না কিংবা দেখতেও আসে না।আজ দেখি খালা কান্না করতেছে বলতেছে তার বাবা মায়ের অবস্থা ভালো না, কিন্তু দেখার কেউ নেই।
ঠিকমত খেতে পায় না এবং যত্নের অভাবে বিছানায় পরে গিয়েছে। শুনে বেশ খারাপ লাগলো।আসলে হয়তো আমরা অল্প সল্প একটু আকটু সাহায্য করতে পারি কিন্তু পুরোপুরি তো করতে পারি না।আসলে আমরা এটাই বুঝি না একটা সময় হয়তো আমাদের সকলেরই আসবে একা একা কিছু করতে পারবো না,অন্যার কাছে সাহায্য নিতে হবে।তার ছেলেকে ছোটবেলায় কত যত্ন করে লালন পালন করেছে অথচ তাদের এই অবস্থায় ছেলে একবারও দেখতে আসে না।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
device | samsung SM-A217F |
---|---|
Location | Dhaka |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো আপু। আপনার খালার বাবা মা বৃদ্ধ বয়সে এখন একা একা দিন কাটাচ্ছে। অথচ ছেলে মেয়ে সবাই রয়েছে। কিন্তু আপনার খালা ছাড়া কেউ তাদের দেখাশোনা করতেছেনা। দেখতেও পর্যন্ত যায় না। তার মধ্যে রয়েছে সংসারের অভাব অনটন। আপনার খালা না পারছে তাদের সাথে থাকতে না পারছে তাদেরকে সাথে নিয়ে থাকতে।খুবই খারাপ একটা অবস্থা। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আসলে আমারও বেশ খারাপ লাগছে,কে জানে কার কখন এমন হয়।ধন্যবাদ
আপনার পোস্ট টা প ড়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। একদিকে মানুষের অসহায়ত্ত্বের ব্যাপার টা এবং অন্যদিকে তাদের ছেলের এই নিষ্ঠুরতা। মানুষের জীবন খুবই আজব। এখানে কোন কিছু ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।