সততা মানুষের মহৎ গুন।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

২৮ ই ভাদ্র ১৪৩২

,২৯ ই সেপ্টম্বর ২০২৫


এখন ষড়ঋতুর হেমন্তকাল ।

source

সততা মানুষের চরিত্রের একটি মহৎ গুণ। এটি এমন এক গুণ, যা একজন মানুষকে সবার কাছে সম্মানিত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। সততার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে শান্তি আসে, কারণ সে কখনো অন্যায় বা মিথ্যার আশ্রয় নেয় না। জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য পরিশ্রম ও সততা দুটোই অপরিহার্য। সততার মানুষ সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে, তার কথা ও কাজের ওপর মানুষ ভরসা করে। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যকে আঁকড়ে ধরে সততার পথে চলা উচিত।

সততা মানুষের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। এটি এমন একটি গুণ যা মানুষকে সত্যিকারের সম্মানিত করে তোলে। সততা শুধু সত্য বলা নয়, বরং নিজের কথা, কাজ এবং আচরণে সত্যনিষ্ঠ থাকা। একজন সৎ মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরোধিতা করে এবং নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে। সমাজে একজন সৎ মানুষের স্থান সবসময় উঁচুতে থাকে, কারণ তার প্রতি মানুষের বিশ্বাস অটুট থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা থাকলে গ্রাহকরা আস্থা পায়, শিক্ষাক্ষেত্রে সততা থাকলে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয় এবং পারিবারিক জীবনে সততা থাকলে সম্পর্ক দৃঢ় হয়।

সততার বিপরীতে আছে অসততা, যা মানুষের চরিত্রকে কলঙ্কিত করে। অসৎ মানুষ হয়তো সাময়িকভাবে লাভবান হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সে কখনো শান্তি বা সম্মান পায় না। অন্যদিকে সৎ মানুষ হয়তো শুরুতে কিছু কষ্ট ভোগ করে, কিন্তু পরবর্তীতে সে সবার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জন করে। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও সততার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি, কারণ সব ধর্মেই সত্য ও ন্যায়কে মূল্য দেওয়া হয়েছে।

তাই আমাদের ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা কাজে লাগানো উচিত। সততা মানুষকে সফলতা, সুখ এবং মানসিক প্রশান্তির পথে নিয়ে যায়। একজন সৎ মানুষই প্রকৃত অর্থে মহান মানুষ।

সততা মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ গুণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি এমন এক নৈতিক মূল্যবোধ, যা একজন মানুষকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। সততা মানে শুধু মিথ্যা না বলা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যনিষ্ঠ থাকা, ন্যায়কে অনুসরণ করা এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। সততা ছাড়া প্রকৃত মানবিকতা গড়ে ওঠে না। কারণ, অসততা মানুষকে ধীরে ধীরে ভেতর থেকে দুর্বল করে তোলে, আর সততা মানুষকে দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী করে।

একজন সৎ মানুষ সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। তার প্রতি মানুষের বিশ্বাস কখনো নষ্ট হয় না। ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা থাকলে একজন ব্যবসায়ী দীর্ঘমেয়াদে সফল হয়; শিক্ষাক্ষেত্রে সততা থাকলে একজন ছাত্র প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করে; আর পারিবারিক জীবনে সততা থাকলে দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়। সমাজে অসংখ্য সমস্যার মূল কারণ অসততা—ঘুষ, প্রতারণা, দুর্নীতি সবই অসততার ফসল। যদি প্রত্যেক মানুষ সততার পথে চলে, তবে একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠা সম্ভব।

ধর্মীয় শিক্ষায়ও সততার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্ট—সব ধর্মেই সততাকে মহৎ গুণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সততার জন্য ‘আল-আমিন’ খেতাব পেয়েছিলেন। এ থেকেই বোঝা যায়, সততা মানুষের জন্য কতটা সম্মানের বিষয়।

অসৎ মানুষ হয়তো সাময়িকভাবে কিছু লাভবান হতে পারে, কিন্তু তার অন্তরে কখনো শান্তি থাকে না। সে মানুষের আস্থা হারায়, সমাজে সম্মান হারায়। অপরদিকে একজন সৎ মানুষ জীবনের শুরুতে কিছু কষ্ট পেলেও পরবর্তীতে সে সফলতা, সুখ ও প্রশান্তি লাভ করে। সততা মানুষকে শুধু সম্মানই দেয় না, বরং তাকে আল্লাহর নিকটেও প্রিয় বানায়।

তাই আমাদের ছোটবেলা থেকেই সততার শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তা কাজে লাগানো উচিত। যদি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজ সবাই মিলে শিশুদের মধ্যে সততার বীজ রোপণ করে, তবে ভবিষ্যতে একটি সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও উন্নত জাতি গড়ে উঠবে। প্রকৃতপক্ষে সততা হলো মানবজীবনের আলো, যা মানুষকে সত্য, ন্যায় ও সফলতার পথে এগিয়ে দেয়।

যাই হোক ,আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।দেখা যাক কি হয় সামনে

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ