"প্রথমবারের মতো বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘোরাঘুরি"
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১০ ই মে, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি বর্তমানে লেভেল তিনে আছি, আমি এখন থেকে আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করবো। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। এবছরের শুরুর দিকে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ করে বান্ধবীকে নিয়ে প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ায় ছেউরিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দুই বান্ধবী মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম এখন আমি আপনাদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো।
ফকির লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়াতে অবস্থিত। এখানেই তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। লালন শাহের মৃত্যুর পর এখানেই তাঁর সমাধি দেওয়া হয় ।এই সমাধি স্থলকেই বলা হয় লালন শাহের মাজার বা লালন শাহের আখড়া । কি অদ্ভুত সেই ছোটবেলা থেকে কুষ্টিয়া জেলায় বাস করি কিন্তু আমি কখনোই লালন শাহের মাজারে গিয়েছিলাম না।
আমি শুধু বইয়ে পড়েছি লালন শাহের মাজার সম্পর্কে। কিন্তু কখনো সেখানে গিয়ে দেখা হয়েছিল না। তাই কিছুদিন আগে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ করে আমি আর আমার বান্ধবী ভেবেছিলাম লালন শাহের মাজারে যাবো। যেমন ভাবনা তেমন কাজ আমরা দুজন মিলে ঘুরতে চলে যায় লালন শাহের মাজারে। আমার বান্ধবী নাকি অনেক আগে একবার এসেছিল এই মাজারে কিন্তু আমার এই প্রথমবার যাওয়া হলো।
কতো দূর দুরান্ত থেকে দেখতে আসে মানুষ এই মাজার জানতে আসে এই মাজার সম্পর্কে। সেদিন গিয়েও দেখি অনেক মানুষ এসেছে অনেক দূর দূরান্ত থেকে অনেকে এসেছে এখানে যেন সবসময়ই ভরপুর ভিড় থাকে। আমরা দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা যে দেখি অনেক মানুষ আস্তে আস্তে মানুষ বাড়তেই থাকলো। আমরা সেখানে গিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। চারিদিকে ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম সবকিছু।
আমরা যখন যাই তখন দেখি অনেকেই সেখানে একসাথে বসে গান গাইছে। গান গাইতে আগা গোড়ায় আমার ভালো লাগে। উনাদের গান শুনে তালে তালে আমরাও গান গাইতে লাগলাম। বেশ ভালই লাগছিল তাদের সঙ্গে গান গাইতে । অনেকেই আবার গানের তালে তালে নাচ করতেছিলো। অনেক শিক্ষার্থীরা এসেছিল সেখানে শিক্ষা সফল করতে বেশ ভালই মজা করছিলো। তাদের মজা করা দেখে আমার অনেক ভালো লাগছিল।
তারপর সেখানে গান শোনা শেষ করে আমরা ঠিক করলাম মিউজিয়ামের ভিতরে যাবঝ। যেমন কথা তেমন কাজ। আমরা সেখান থেকে টিকিট কেটে দুজন চলে গেলাম মিউজিয়ামের ভিতরে ঘুরতে। মিউজিয়ামের ভিতরে লালন সাহেব অনেক ছবি ছিলো। লালন শাহের ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র ছিল। লালন শাহের যেই ছবিগুলো মিউজিয়ামের ভিতর রাখা ছিল সেগুলো বেশ আকর্ষণীয়।
মিউজিয়ামের মধ্যে ঘোরাঘুরি শেষে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসি। তারপর আমরা মাজারের সামনে একটা বড় উদ্যান দেখতে পাই সেখানে যাই। ওই উদ্যানে নাকি মেলা হয়। আমি কখনো যাইনি সেই মেলায় আর সেদিন মেলাও ছিল না। তবে মাজারের সামনে কিছু দোকানে সব সময় বেচাকিনা হতেই থাকে। বলতে গেলে সেখানে সব সময় ছোটখাটো মেলা হতেই থাকে। তারপর আমরা সেখানে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম।
ফকির লালন শাহের মাজারের সামনে ছোট খাটো মেলা থেকে আমি ছোট ছোট কিছু জিনিস কিনেছিলাম। হাতে পড়ার জন্য ছোট্ট একটা ব্রেসলেট কিনেছিলাম আর একটা মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম। ছোটবেলা থেকেই মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই একটা মাটির ব্যাংক কিনে নিয়েছিলাম টাকা জমানোর জন্য। তারপর আমি এবং আমার বান্ধবী মিলে সেখানকার ফুচকা খেলাম।
এখানকার ফুচকা গুলো কথায় অসাধারণ।সেদিনের ফুচকা খাওয়ার পর আমরা এখনো ফুচকা খেতে ইচ্ছে করলে লালন শাহের মাজারে চলে যায় কারণ সেখানকার ফুচকা আমার কাছে কুষ্টিয়া শহরের সব থেকে ভালো ফুচকা লাগে।ফুচকার সাথে চটপটি, মুড়ি মাখা, পাপড় এগুলো খেয়েছিলাম আমরা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু ঘুরাঘুরি করে প্রায় সন্ধ্যের দিকে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। প্রথমবার লালন শাহের মাজারে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা দারুন ছিল।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
বাউল সম্রাট লালন আশা করি বেশ উপভোগ করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলাও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ঘোরাঘুরি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বাউল সম্রাট লালন ফকিরের মাজারে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছিলাম।
সুন্দরতম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরীক্ষা শেষ করে বান্ধবীদেরকে নিয়ে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। আর এরকম কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। কুষ্টিয়াতে যদি কখনো যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে এখানে যাব ঘুরতে।
অবশ্যই আপু কুষ্টিয়াতে যদি কখনো আসেন তাহলে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে আসবেন।
সুন্দরতম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আপনি এবং আপনার বান্ধবী তো দেখছি খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন মাজারে গিয়ে। এই মাজার সম্পর্কে আমি অনেক শুনেছি, কিন্তু আমার আগে কখনোই এই মাজারে যাওয়া হয়নি। কখনো যদি ওই দিকে যাওয়া হয়, তবে আমিও সেই মাজারে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আপনাদের দুজনের ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটাও অনেক ভালো ছিল দেখে খুব ভালো লাগলো। ফুচকার পাশাপাশি আপনারা আরো অনেক কিছু খেয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার বাসা কুষ্টিয়াতে এটা আমার জানা ছিল না এরপর আপনার বিস্তারিত জানতে পারলাম আর আজকে আপনি লালন সাইজের মাজারে উপস্থিত হয়েছেন সেই বিষয়ে সুন্দর একটি ব্লগ সাজিয়ে দেখেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই জায়গাটায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করে এবং এই বিষয়ে অনেক কিছু লেখালেখি করে থাকে। যাইহোক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভীষণ ভালো লাগতেছে প্রথমবারের মতো বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘোরাঘুরি করেছেন। আমিও এখানে গিয়েছিলাম আবারও যাওয়ার ইচ্ছা আছে খুব শীঘ্রই সেখানে যাব। ওখানকার পরিবেশটা ভীষণ সুন্দর। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য। আপনি বেশ দারুণভাবে নিজের ছবি ও সেখানকার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো অনেক।
অবশ্যই এসে ঘুরে যাবেন ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের এই পোস্ট দেখতে পেরে। লালন সাঁইজের এই মাজারের কাছে আমি অনেকবার গেছি। সেখানে অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। ঠিক আজকে আপনিও সেই জায়গার সুন্দর কিছু অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এবং ফটো ধারণ করে তো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ সমস্ত অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন তবে আমি কিন্তু কখনো কুষ্টিয়া যাইনি, আর কখনো যেতেও চাই না। অনেক ভয়ানক জায়গা কিন্তু হাহাহা।
কেন ভাই কি হয়েছে ! কুষ্টিয়া তো অনেক সুন্দর জায়গা। ব্যাপারটা রহস্যময় মনে হচ্ছে ভাই 🤔