বান্ধবীর সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২০ এপ্রিল,রবিবার , ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। মাঝে মাঝে বাইরে খাওয়া দাওয়া ঘোরাঘুরি এসব করলে মনটা একটু ভালো থাকে। কোথাও না গেলে চুপচাপ ঘরে বসে থাকলে এমনিতেই মন খারাপ করে। মনের আর কি দোষ বলুন? মন তো চাইবে একটু ঘোরাঘুরি মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া। যাইহোক সেদিন চলে গিয়েছিলাম আমি আর আমার বান্ধবী মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে। সেই মুহূর্তই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে পোস্ট করে আসা যাক।
সেদিন দুপুরবেলায় বান্ধবী আমাকে কল দিয়ে বলল কিরে ঘুরতে যাবি নাকি? বান্ধবী এভাবে মাঝে মাঝে আমাকে কল দিয়ে বলেন। আগে আরো বেশি ঘুরতে যাওয়া হত এখন তো যাওয়াই হয় না। তো যাই হোক বান্ধবীও কল দিল আমিও বললাম চল তাহলে কোথাও খেয়ে আসি। সেদিন আমার শরীরটা খুব একটা ভালো ছিল না সেজন্য সারাদিন রান্না করেছিলাম না। তাই বান্ধবীকে নিয়ে ঠিক করলাম খাওয়া দাওয়া করতে যাব। বান্ধবী ও রাজি হয়ে গেল। আমার বান্ধবীর সব সময় কোথাও যেতে হলে আমাকে রুম থেকে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে। যেমন দায়িত্ব নিয়ে আমাকে নিয়ে যায় আবার তেমনই দায়িত্বের সাথে আমাকে রুমে রেখে যায়। এরকম বান্ধবী কজন পায় বলুন?
তবে সে যাই হোক, আমার বান্ধবীটা হয়েছে একেবারে মনের মতন। খুব ভালো মনের মানুষ। তারপর দুপুর তিনটা নাগাদ বান্ধবী আমার রুমে আসলো। সেদিন আবহাওয়াটা খুব সুন্দর ছিল। দুপুরবেলায় বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টির পরে বান্ধবী আমাকে নিতে এসেছিল। বাইরের পরিবেশটা খুব ঠান্ডা ছিল। চারিদিকে এলোমেলো হাওয়া হচ্ছিল। তারপর আমরা চারটে নাগাদ রুম থেকে বের হই। দুজন মিলে একটা রিকশা ঠিক করে পৌঁছে যায় হ্যাভেনস কিচেন রেস্টুরেন্ট। কুষ্টিয়ার মধ্যে রেস্টুরেন্টটা খুব ভালো। বিশেষ করে খাবার কোয়ালিটি। প্রত্যেকটি খাবার দারুন। এর আগেও একদিন খেয়েছিলাম সেদিন আমার ফ্রাইড রাইস বেশি পছন্দ হয়েছিল। তাই ভেবেছিলাম আজকে গিয়েও ফ্রাইড রাইস খাবো।
তারপরে মিনিট পনেরোর মধ্যে আমরা রেস্টুরেন্টের সামনে পৌঁছে গেলাম। অনেকদিন পর দুই বান্ধবী এরকম একটু পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগছে না। রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করেই প্রথমে চোখে পড়ে এই সুন্দর আয়নাটা। চোখ পড়তেই প্রত্যেকবার এখান থেকে ছবি তোলা হয়। এবারও তার বিকল্প হলো না। গিয়েই ছবি তুলে নিলাম। তারপর রয়েছে এই সুন্দর দোলনাটা সেখানে গিয়েও কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
আমার বান্ধবী আবার নিজের ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। চেষ্টা করলাম তার কিছু সুন্দর ছবি তুলে দেওয়ার। সচরাচর সে আমার ছবি তোলাতে খুব একটা খুশি হয় না। কারণ তার নাকি আমার ছবি তোলা পছন্দ হয় না। কিন্তু এবারে প্রত্যেকটি ছবি তার পছন্দ হয়েছে। ভালো লাগলো যে, বান্ধবী আমার করা ফটোগ্রাফী পছন্দ করছে। তারমানে আসলে আমি ফটোগ্রাফি করতে পারি। তারপর আমরা চলে গেলাম রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে। রেস্টুরেন্টটি অনেক বড় স্পেস নিয়ে তৈরি। রেস্টুরেন্টের মধ্যে কি হচ্ছে বাইরে থেকে সব দেখা যায়। চারিপাশে কাচের গ্লাস দিয়ে পার্টিশন করা। সম্পূর্ণ আলো বাতাস পূর্ণ একটি সুন্দর রেস্টুরেন্ট।
তারপর আমরা সেখানে গিয়ে বসে খাবার অর্ডার করলাম। অনেকগুলো কম্বো প্লেটার ছিল তো আমরা এই প্লেটারটি খাওয়ার জন্য ঠিক করলাম। অর্ডার দিতে বেশ অনেকটা দেরী করেছিল। আমাদের মত অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিল সেজন্য বেশ ভিড় ছিল তাই হয়তো অর্ডার দিতে দেরি হয়েছে। ততক্ষণ আমি আর বান্ধবী মিলে বেশ জমিয়ে গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে আমাদের খাবার প্লেটারটি চলে আসলো।
এখন পোস্টে লিখছি লেখতে লেখতে ইচ্ছে করছে কালকে আবার গিয়েই ফ্রাইড রাইস খেয়ে আসি। ফ্রাইড রাইস তো অনেক খেয়েছি কিন্তু এখানকার ফ্রাইড রাইসের মতো টেস্ট আর কোথাও আমি পাইনি। একেবারে ভিন্ন স্বাদের। সাথে চিকেন গুলোও বেশ দারুন। দুজন মিলে বেশ মজা করে খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্টে আর কি করব। ও এগুলোর সাথে আমরা আবার কোক অর্ডার করেছিলাম। তারপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পেমেন্ট করে দুজন মিলে বেরিয়ে আসলাম।
অনেকদিন পর এরকম খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালো ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে অবশ্য আমরা আরেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা শেয়ার করব অন্য কোন পোস্টে।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/8) Get profit votes with @tipU :)
এরকম বান্ধবী পায় একজন সে, হল পূর্ণিমা। যাইহোক এরকম বান্ধবী হওয়ার সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। অনেক সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছে দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। যাইহোক এসব খাবার আপাতত হাফিজ ভাই খাইতে নিষেধ করছে তাই নজর দিচ্ছি না। দুই বান্ধবী মিলে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছো জেনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1914017835501904154?t=DQU6IOHHueqXqcZ2Nl7jhA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1914018408972382236?t=1R8AAP37G0EoNtm24lmexg&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1914019333703188494?t=zBICAuB42wQTMFiRbw8J9w&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1914019833567739981?t=66BkUCAgD7Do2VrKXDPi_g&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1914020468933476656?t=6WNEon-abhu4ttEXWN9eCA&s=19
আপু প্রিয় বন্ধুবান্ধব মনের মত হলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনি দেখছি আপনার বান্ধবীর সাথে হ্যাভেনস কিচেন রেস্টুরেন্ট খাওয়া দাওয়া করেছেন। তবে আপু অনেক রেস্টুরেন্টে গেলে খাওয়া-দাওয়া অর্ডার করলে দিতে একটু দেরি করে। আর খাওয়া দাওয়া আসতে দেরি হওয়ার মাঝে দুই বান্ধবী ভালোই গল্প করেছেন। যাই হোক খুব সুন্দর করে বান্ধবীর সাথে রেস্টুরেন্ট ফ্রাইড রাইস খাওয়ার পোস্ট সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।