শৈশবের বন্ধুত্বের গল্প।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২৬ শে জুলাই, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
আজ হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মাঝে মাঝে ভিন্নধর্মী পোস্ট শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আজকে শৈশবের স্মৃতিময় কিছু গল্প নিয়ে একটি পোস্ট সাজিয়েছি। আজকের গল্পটি হবে বন্ধুদের গল্প। ছোটবেলার বন্ধুত্ব গুলো কত টাইনা সুন্দর হয়। ছোটবেলার বন্ধুত্বের কথাগুলো এখনো মনে পড়ে। বন্ধু গুলো সব হারিয়ে গেছে রয়ে গেছে অসংখ্য স্মৃতি। ঠিক হারাইনি, যে যার মত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্মৃতিগুলো আজও মনের কোণে উঁকি দেয়।
ছোটবেলার বন্ধুত্বগুলো খুবই নিঃস্বার্থ হয়। ছোটবেলার বন্ধুত্ব খুবই সুন্দর। বড় হয়ে বন্ধুত্ব হয় চেহারা, টাকা পয়সা আরো নানান বিষয় দেখে।তবে ছোটবেলায় বন্ধুত্ব এক অনন্য বন্ধন। যেখানে কোন স্বার্থ থাকে না। স্বার্থ ছাড়াই একে অপরের পাশে থাকেন। যেখানে থাকে না কোন হিংসা কিংবা অন্য কিছু। থাকে শুধুই ভালবাসা আর একে অপরের পাশে থাকা।
ছোটবেলায় আমারও অনেক বন্ধু ছিল। এখন সত্যিকারের বন্ধু নেই বলেই চলে। ছোটবেলায় আমার খেলার সাথী ছিল শিমু নামে আমার একটা বান্ধবী। সে আমার খুব প্রিয় ছিল। আমিও তার খুব প্রিয় ছিলাম। দুজন মিলে তৈরি করেছিলাম অসংখ্য স্মৃতি। ছোটবেলায় আমার সবথেকে বেশি সময় কাটতো শিমুর সাথে খেলাধুলা করে। তারপর স্কুলে গেলাম। স্কুলে নতুন নতুন অনেক বন্ধু তৈরি হলো। সেই বন্ধুগুলোর কথাও এখনো ভুলতে পারি না। ছোটবেলায় বন্ধুত্বের ছেলে মেয়ে বলে কোন কথা ছিল না। সবাই একসাথে খেলাধুলা করা একসাথে যাওয়া আসা সময়গুলো বড্ড মিস করি। কত ঝগড়া করতাম সবাই মিলে। আবার তৎক্ষণাৎ মিল হয়ে যেত। স্কুলে গিয়ে সামনে বসার জন্য কত যে তাড়াহুড়া। এখন আর সেই তাড়াহুড়া নেই। এখন যে আর সেই বন্ধুগুলোও নেই। স্কুলে গিয়ে সবাই মিলে খেলা করতাম। ছেলে মেয়ে সবাই মিলে বউ চুরি খেলতাম। স্যান্ডেল চুরি, মাংস চুরি আরো অনেক ধরনের খেলা খেলতাম। খেলা গুলোর কথা ভীষণ মনে পড়ে। এখন তো আর সেই খেলাধুলা জীবনে নেই।
আমার বন্ধুগুলো একটু তাড়াতাড়ি হারিয়েছিল। আমি যখন ক্লাস টু তে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়ায় চলে আসি তখন থেকেই বন্ধুগুলো হারাতে শুরু করি। যদিও আমি কুষ্টিয়ায় কিছু মাস থাকার পরে চলে গিয়েছিলাম। বাড়ি গিয়ে দেখি আমার প্রিয় বন্ধুটাও নতুন বন্ধু খুঁজে পেয়েছে। তার নতুন বন্ধুর সাথে আমিও বন্ধুত্ব করে তুলি।এভাবে বছর দুয়েক চলার পরে আমি যখন ক্লাস ফোর থেকে কুষ্টিয়াতে চলে আসলাম। তখন থেকেই আমি আমার বন্ধুগুলোকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি আমার সেই বন্ধুগুলোকে ভীষণ মিস করি। বিশেষ করে আমার বন্ধুর শিমুকে আমি ভীষণভাবে মিস করি। এখন শিমু অনেক বড় হয়ে গিয়েছে তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়ি গেলে আর দেখা হয় না। তার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা সময় ভীষণ মনে পড়ে।
ছোটবেলার বন্ধুত্বগুলো এরকমই হয়। কত সুন্দর ভালোবাসা থাকে সবার মধ্যে। কারোর প্রতি কোন অভিযোগ থাকে না, থাকে না কোন স্বার্থপরতা, থাকে না কোন হিংসা। সবাই সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে যত্ন করে। ভালোবাসার এক অনন্য গল্প লেখে সেই ছোটবেলার বন্ধুত্বগুলো। যেগুলো সারা জীবনের সুন্দর এবং সুখময় স্মৃতি হিসেবে থেকে যায়। ছোটবেলাটা আসলেই বড্ড ভালো ছিল। কেন যে বড় হলাম!
আজ হঠাৎ করেই ছোটবেলার বন্ধুত্বের কথা খুব মনে পড়ছিল। তাই আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করলাম। আপনাদের অনেকের অনেক গল্প আছে নিশ্চয়ই! আসলে ছোটবেলার বন্ধুত্বটাই এমন যেটা কখনোই ভুলে যায় না। আমার এই কথাগুলো পড়ে হয়তো আপনাদেরও মনের কোনে উঁকি দেবে সেই ছোটবেলার বন্ধু গুলোর মুখ। সব বন্ধুগুলো যেন ভালো থাকে এটাই চাই।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপনার লেখাটি পড়ে ছোটবেলার সেই নির্মল, নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যিই, তখনকার বন্ধুত্বে ছিল না কোনো স্বার্থ, ছিল শুধুই আনন্দ, ভালোবাসা আর একসাথে বড় হয়ে ওঠার গল্প। শিমুর সাথে আপনার স্মৃতিগুলো যেন আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠলো। আজকের এই ব্যস্ত জীবনে আমরা সবাই হারিয়ে ফেলেছি সেই সোনালি দিনগুলো। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে শৈশবের বন্ধুত্বের সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য।
শৈশবের বন্ধুরা সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থাকে। আর তাদের সাথে কাটানো সময় গুলো মনে থাকে। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।