ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ। (পর্ব-৩)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৮ ফেব্রুয়ারি,শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।আমি ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। সেদিন আমরা পরিবারের সবাই মিলে ইউটিউব পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। দুটি পর্বে ইউটিউব পার্কে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আগের পর্বে যেখান থেকে শেষ করেছিলাম আজ সেখান থেকে শুরু করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আগের পর্বে পুকুর পাড় পর্যন্ত বর্ণনা করেছিলাম। পুকুর পাড়ে ধার দিয়ে হেঁটে আসতেই দেখতে পাই সুন্দর সুন্দর গাঁদা ফুলের গাছ। ছবিতে দেখতেই পাচ্ছেন দুই পাশের গাঁদা ফুলের গাছ মাঝখান দিয়ে সুন্দর একটি সরু পথ। দেখতে খুব চমৎকার লাগছে তাই না। এরকম পথ আমার খুব পছন্দ হয়। এখানে অনেকগুলো সরু সরো পথ রয়েছে। কোন পথের ধারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছ, আমার কথা রয়েছে বিভিন্ন রং এর ফুলের গাছ।
এগিয়ে আসতেই আমরা দেখতে পাই ছনের তৈরি সুন্দর সুন্দর ঘর। শুনেছি আগেকার দিনে গ্রামে এরকম সুন্দর সুন্দর ছনের ঘর দেখা যেত। ছনের ঘরগুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। শুনেছি গ্রামে নাকি প্রচন্ড রোদের তাপ থেকে বাঁচার জন্য এরকম ঘর তৈরি করা হতো। ছনের ঘর ঠান্ডা থাকে। তবে ইউটিউব ভিলেজ পার্কে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য এরকম ঘর তৈরি করা হয়েছে।সুন্দর ঘর গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
একটু করে হাঁটছিলাম আর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করছিলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ ছিল। আমার বোন যে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাকে বলছিলা আমার ছবি তুলে দাও। বোনের আবদার রেখে সব জায়গাতে তার ছবি তুলে দিয়েছিলাম। সবাই মিলে হেঁটে হেঁটে জায়গা গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। পুকুরের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঘর তৈরি করা। এই সবগুলো ঘর ছিল কাঠের তৈরি। পুকুরের ওপার থেকে আমি ঘরের ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। আমরা অবশ্য হেঁটে হেঁটে এদিকে আসছিলাম।
তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে আরও একটি সুন্দর ছনের ঘর দেখতে পাই। এই ঘরের নিচে অবশ্য টাইলস বসানো ছিলো। এখানে বেশ পরিস্কার এবং পরিপাটি জায়গা। অনেক দূর থেকে লোকেরা যখন পিকনিক করার উদ্দেশ্যে এখানে আসে তখন পরিবার নিয়ে অনেকে এখানে বসে খাওয়া-দাওয়া করে থাকে। অনেকে জায়গাটিকে বিশ্রামের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করে। জায়গাটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। উপরে ছনের ঘর আর নিচে টাইলস করা সুন্দর পরিবেশ।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে এসে সুন্দর একটি চায়ের দোকান দেখতে পাই। যেখানে লেখা ছিল,
"এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই "লেখাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। লেখাটির সামনে দাঁড়িয়ে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলো অবশ্য আমার ছবিসহ ছিলো।তাই আর শেয়ার করলাম না। সামনে এগোতে দেখতে পেলাম এরকম সুন্দর জলধারা। পাথরের উপর দিয়ে জল গড়িয়ে যাওয়ার এই সুন্দর দৃশ্যটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। প্রতিদিন এখানে অনেক লোক ভিড় করে আজ অবশ্য বেশি লোক ছিল না। অনবরত জল পড়ার দৃশ্যটি আমি ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছিলাম। বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিলো।
তারপরে আমরা হাঁটতে হাঁটতে কাঠের সাঁকো পার হয়ে চলে আসি স্পটের মধ্যে। কাঠের এই সাঁকো বেশ চমৎকার লাগলো আমার কাছে। এই সাঁকোর উপরে বিভিন্ন ডিজাইন করা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালিতে সাজানো রয়েছে। টবের মধ্যে লাগানো ছোট ছোট গাছ গুলো দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগছিলো।এই সাঁকোর উপরে আমরা বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছিলাম। বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলাম এখানে। তারপর আমরা সাঁকো পার হয়ে কাঠের তৈরি ওই সুন্দর ঘর গুলোর মধ্যে প্রবেশ করি। এগুলো ছিল তিন তলা বিশিষ্ট। কাঠের তৈরি ঘরগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে।
তারপরে আমি সুন্দর একটি দৃশ্য দেখতে পাই। আপনারা ছবিটা দেখতেই পাচ্ছেন পুকুর পাড়ে লাল রংয়ের পাতা দিয়ে কত সুন্দর করে ইউটিউব ভিলেজ নামটি লেখা রয়েছে। লেখাটি দেখতে সত্যি চমৎকার। পাতাগুলো কত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। এ দৃশ্যটি আমার বিশেষভাবে নজর কেড়েছিলো।এখানে ঘোরাঘুরি শেষে আমরা প্রবেশ করি ছোটদের খেলার জায়গাতে। এটা না হয় আগামী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২১শে জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
daily task.
বাহ, খুব সুন্দর একটি জায়গা ভ্রমণ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা পড়ে ইচ্ছে করছে এখনি ছুটে যাই সেখানে। ইউটিউব ভিলেজ এর ভিতরের প্রতিটা জিনিস আকর্ষণীয়। এমন সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভালো লাগে। সবশেষে ইউটিউব ভিলেজ লেখাটা দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো। তাছাড়া চায়ের দোকানের উপরের লেখাটা খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি পরিবারের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন আজকে। আপনার আগের দুটি এবং এখনকার পর্বটি দেখে মনে হলো ইউটিউব ভিলেজ জায়গাটি অনেক সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোষ্টের বাকি দুটো পর্ব আমি দেখেছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে এবং আজকের পর্বটিও খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ করার সুন্দর ভাবে অনুভূতির মাধ্যমে আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করেছেন।আসলে আমারো অনেক ইচ্ছা রয়েছে ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ করার।তবে আপনার পোস্টে কয়েকটি ফটোগ্রাফি দেখে ভ্রমণ করার আগ্রহটি আরো বেড়ে গেলো।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি আজকে youtube ভিলেজ ভ্রমণের আরো একটা পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর। আর আমার কাছেও দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ওখানে গিয়ে এত ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম জায়গাগুলোতে মাঝেমধ্যে গেলে খুব ভালো লাগে।
আপনার ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটা আমি দেখেছিলাম। আর আজকে তৃতীয় পর্ব টা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই জায়গাটার পরিবেশ অনেক সুন্দর, আর দেখতেও খুব ভালো লাগছে। এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে মনটাও অনেক ভালো হয়ে যায়। আমি তো খুবই পছন্দ করি ঘুরাঘুরি করতে।
ঐ চায়ের দোকান টা আমিও দেখেছি। নামটা বেশ সুন্দর । কয়েকবার গিয়ে ওখান থেকে চা খেয়েছি। এই পর্বে আপনি ইউটিউব ভিলেজের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। এই প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।