ইউটিউব ভিলেজ পার্ক ভ্রমণ। (শেষ পর্ব)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার, ২০২৫খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই এদিকে ওদিকে ঘোরাঘুরি করে থাকি। কিছুদিন আগেই পরিবারের সবাই মিলে ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ঘোরাঘুরি করার কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। আজ আমি পার্কে ঘোরাঘুরি করার শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমরা দেখতে পাই পুকুরে একটি ছোট রাইড।এখানে বেশ কিছু রাইড ছিলো।এক একটি রাইড এক এক রকম দেখতে। এগুলোর নাম কি আমার ঠিক জানা নেই আমি তো এগুলোকে রাইড বলেই চিনি। আমি আর বোন মিলে ঠিক করলাম আমরা এখানে উঠবো। এখানে ওঠার টিকিট মূল্য ছিলো ৩০ টাকা করে। এক একটি রাইডে চারজনের সিট ছিলো।মা-বাবা এবং আন্টি কেউই এখানে উঠতে চাচ্ছিল না। আমার নিজেরই তো বেশ ভয় করছিলো।যদিও আমি এরকম রাইডে আগে উঠেছি।
রাইডে ওঠার উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আর বোন টিকিট কাউন্টার থেকে দুজনের জন্য দুটি টিকিট কালেক্ট করি। তারপর পুকুর পাড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটি ফাঁকা রাইড দেখতে পাই। তারপর আমি আর বোন সেখানে গিয়ে উঠে বসে পড়ি। আমাদের মত আরো অনেকেই এভাবে রাইডে উঠছিলো।এরাইডে বাচ্চারা উঠতে বেশি মজা পাচ্ছিলো।এখানে ওঠার সময় ছিল ১৫ মিনিট। আমরা এই রাইডে করে ১৫ মিনিট ঘুরতে পারবো এটাই কথা ছিলো। তারপর আমি আর বোন রাইট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চলতে শুরু করি।
প্রথমে তো আমি বুঝতেই পারছিলাম না কোন দিকে ঘুরতে হবে। বার বার এলোমেলোভাবে চলে যাচ্ছিলাম। একবার তো ঘুরতে ঘুরতে পুকুরের পাড়ে গিয়ে মাটির সাথে বেঁধে গিয়েছিলাম। তারপর কোন ভাবে রাইড ঘুরিয়ে আবার সোজা নিয়ে আসি। সোজাসোজি আমরা বেশ কিছুক্ষণ চলতে থাকি। তারপর আমরা আবার ফিরে এসে আবার সোজা চলে যাই। আমাদের মত আরো অনেকেই এখানে ঘোরাঘুরি করছিলো।আমাদের পাশেই অন্য একটি রাইডে একটি বাচ্চা এবং তার বাবা উঠেছিলো।বাচ্চাটা ভীষণ মজা করছিলো।তাদেরকে দেখে আমাদের আরো বেশি মজা হচ্ছিলো।
আমরা তো দুজন মিলে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। মা বাবা এবং আন্টি আমাদের জন্য পাড়ে বসে অপেক্ষা করছিলো।আমরা ঘুরতে ঘুরতে একেবারে পুকুরের শেষ মাথায় চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আবার ঘুরে অনেকটা পথ আসতে হয়েছে। আমি ঠিক করে রাইড পরিচালনা করতে পারছিলাম না। যার কারণে আমরা সময়ের সাথে এগোতে পারছিলাম না। যেহেতু আমরা অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম আসতে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা প্রায় ২৫ মিনিটের বেশি সময় কাটিয়েছিলাম। আমরা যেহেতু চালাতে পারছিলাম না সেজন্য আমাদের কাছে আর এক্সট্রা চার্জ দাবি করা হয়নি। রাইড এর মধ্যে থেকে পুকুরের দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিল। পুকুরের মধ্যে থাকা ছোট ছোট কাঠের এবং ছনের ঘরগুলো চমৎকার লাগছিলো।
আমরা যখন রাইডে উঠেছিলাম তখন অনেকটা বিকাল। রাইডে উঠে বেশ কিছু সময় কাটানোর পর আমাদের পাড়ে আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো।সন্ধ্যেবেলায় সূর্যি মামা পাটে যাচ্ছিলো।সূর্যি মামা পাল্টে যাওয়া দৃশ্যটি খুব সুন্দরভাবে ক্যাপচার করতে না পারলেও ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম। তারপর আমরা আসতে আসতে পারে চলে আসি। রাইড ঘুরিয়ে উপরে উঠতেও আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছিলো।তারপর কোনমতো আমরা উপরে উঠে আসি। সেখানে এসে মা -বাবা এবং আন্টি সবাই মিলে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। প্রথমে আমরা খাবারের দোকানে গিয়ে কিছু খাবার কেনাকাটা করি।
বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু খাবার কেনাকাটা করে আমরা সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিই। আসার সময় ভাবছিলাম, আবার কবে এখানে আসব। ইচ্ছা আছে বান্ধবীদের সাথে এই জায়গায় পিকনিকে যাওয়ার। এখানে গিয়ে একটি দিন খুব সুন্দর ভাবে পার করা যাবে। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার পর সন্ধে সন্ধ্যেই আমরা বাড়িতে পৌঁছে যাই। সব মিলিয়ে দিনটি বেশ ভালো ছিলো।পরিবারের সাথে এরকম একটি দিন হলে মন্দ হয় না। এরকম দিন বারবার কাটাতে চাই।
আজাই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২১ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


Daily task.
ইউটিউব ভিলেজ পার্কে ভ্রমণের শেষ পর্ব টা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্বটা অনেক সুন্দর ছিল। এই পার্কের সৌন্দর্য দেখেই তো আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনি অনেক সময় এখানে অতিবাহিত করেছেন। আপনার অনুভূতিটা অনেক বেশি ভালো ছিল এটা দেখেই বুঝতে পারছি। সুন্দর একটা মুহূর্ত এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।
আসলে পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ করতে কিন্তু সবার কাছেই ভীষণ ভালো লাগে।ইউটিউব ভিলেজ ভ্রমণ করে খুব সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন এবং সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।যাইহোক খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।