মজাদার ডিমের ভুনা রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১৪ ই মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে ডিম ভুনা রেসিপি শেয়ার করবো।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ডিম | দুইটি |
২ | শুকনা মরিচ | পরিমাণমতো |
৩ | ঝালের গুড়া | তিন টেবিল চামচ |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | আলু | দুইটি |
৭ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
৮ | রসুন | একটি |
৯ | জিরা বাটা | পরিমাণ মতো |
১০ | চিনি | পরিমাণ মতো |
১১ | দারচিনি | পরিমাণ মতো |
১২ | তেজপাতা | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
প্রথমেই,
পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা এবং দারচিনি বেটে নিয়েছি। আমি এখানে দুটি ডিম ব্যবহার করেছি। ডিম দুটি সিদ্ধ করে নিয়েছি।আলু কেটে দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। আলু এবং ডিমের লবণ হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি। কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করে প্রথমে ডিম দুটি ভেজে নিয়েছি। তারপর একই তেলে আলু গুলো ভেজে তুলে রেখেছি।
ধাপ-২
পরবর্তীতে করায় তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা দিয়ে নিয়েছি। তারপর পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা এবং জিরা বাটা দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
মসলাগুলোকে ভাল করে তেলের মধ্যে ভেজে তাতে লবণ, হলুদ এবং ঝালের গুড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছে।
ধাপ-৪
মসলাগুলো ভালো করে কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে ঢাকা সাহায্যে ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৫
কিছুক্ষণ পর এর মধ্যে থাকা জল শুকিয়ে গেলে ভালো করে মসলা কষানো হয়ে গেলে এরমধ্যে ডিম এবং আলু গুলো দিয়ে নিয়েছি। এভাবে মশলার সাথে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
মসলার সাথে সব কষানো হয়ে গেলে এরমধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়েছি। এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল করতে হবে
ধাপ-৭
রান্নাটি প্রায় হয়ে আসলে তার আগ মুহূর্তে দারচিনির গুঁড়ো এবং সামান্য পরিমাণ দারচিনি বেটে রেখেছিলাম সেটা দিয়ে নিয়েছি। এবারে ভালো করে মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-৮
রান্নাটি হয়ে আসলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ চিনি ছিটিয়ে দিয়েছে। আমার ঠাকুমা বলতো রান্নায় চিনি দিলে স্বাদ বাড়ে।তারপর আমি চুলা বন্ধ করে নিয়েছি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি রান্নাটি একটি বাটিতে পরিবেশন করে নিয়েছি। খেতে কিন্তু ভালোই হয়েছিলো।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


ডিম ভুনা আমার খুবই পছন্দের। আপনার রেসিপির কালার দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। ডিম ভুনার ঝোল অনেকটা মাংসের ঝোলের মতোই লাগছে দেখতে। স্বাদেও নিশ্চয়ই অতুলনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ডিম ভুনা রেসিপি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে তৈরি করা যায়। আপনি একদম ইউনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে মজাদার ডিমের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি তৈরি করেছেন।
রেসিপিটি আসলেই মজা হয়েছিল। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মজাদার ডিমের ভুনা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এলো আপু। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল। সর্বোপরি ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আমার কাছেও ডিম দিয়ে তৈরি রেসিপিগুলো বেশ ভালো লাগে।। রেসিপিটি আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
মজাদার ডিমের ভুনা রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন ধাপ গুলো দেখে শিখে নিলাম পরবর্তী তৈরি করব।
রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মজাদার ডিম ভুনা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করা যায়, আর এটা খেতেও খুব ভালো লাগে। আমার তো যখন তেমন কিছু রান্না করতে ইচ্ছে করে না, তখন এই রেসিপিটা তৈরি করে থাকে। রেসিপিটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগলো দেখে। বুঝতেই পারছি কতটা সুস্বাদু হয়েছিল।
অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায়। তবে আপু মসলা বাটা না থাকলে একটু ঝামেলা হয়ে যায়। আমি যেহেতু মেসে থাকি পাটায় বেটে মসলা করতে হয়।। সেজন্য বেশ টাইম লাগে। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাটা মসলা রান্না করলে খেতে অনেক মজা হয়। আপনার রান্না করা ডিম ভুনা দেখেয় মনে হচ্ছে রান্নাটি খুব লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, একটু বাটা মসলা দিয়ে যত্ন করে রান্না করলে রেসিপি খেতে বেশি মজা হয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
ডিমের ভুনা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদু আলাদা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার রেসিপির পরিবেশনটি আমার কাছে দারুন লেগেছে।
ডিম ভুনা সত্যি অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয় খেতে।আপনার ডুম ভুনা রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে। খেতে অনেক সুস্বাদু এই রেসিপিটি তা জানি।কালারটি দারুণ এসেছে। ভাত বা পোলাওয়ের সাথে খেতে দারুণ লাগে এই রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোনীয় রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এরকম ভুনা রেসিপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।