সুন্দর চাঁদ রাতে কলেজ মাঠে একটু সময় কাটানো।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ০৮ সেপ্টেম্বর,সোমবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000062746.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।

ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে। আজ এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মাঝে মাঝে এদের সাথে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। সেই ভালোলাগার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগে। এমনিতে আমার খুব একটা ঘোরাঘুরি করা হয়ে ওঠেন। আজকাল একদমই সময় পায়না কোথাও যাওয়ার। এই আমার মেসের কিছুটা দূরে গভমেন্ট কলেজ মাঠ।কালকে সেখানেই গিয়েছিলাম একটু সেখানে কাটানোর সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।



1000062746.jpg
প্রতিদিন কলেজ থাকায় এতটাই ক্লান্ত হয়ে যায় যে কোথাও যাওয়ার মত সময়, সুযোগ, ইচ্ছা কোনটাই আর হয়ে ওঠেনা। কালকে কলেজ শেষ করে ২০ মিনিটের জন্য গিয়েছিলাম গভমেন্ট কলেজ। সেখানে যাওয়ার আসল কারণ ছিল একটু ঠান্ডা বাতাস আর খোলামেলা একটু পরিবেশ।
1000062747.jpg
আমি আর আমার এক বন্ধু সেখানে গিয়েছিলাম। দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে সেখানে পৌঁছে গেলাম। কালকে তো আবার চন্দ্রগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল।সন্ধ্যা থেকে চাঁদটা বেশ উজ্জ্বল রাখা ছিল। চাঁদটা দেখতে ভীষণ মিষ্টি লাগছিল। প্রথম ফটোগ্রাফিটি আমার বন্ধুর ফোন দিয়ে করা। ভীষণ সুন্দর এসেছে।
1000062750.jpg
আমি ফটোগ্রাফি গুলো সন্ধ্যার কিছু সময় আগে করেছিলাম তখন চাঁদটা এতটা উজ্জ্বল ছিল না। আকাশের এক পাশে ছিল মেঘ আরেক পাশে ছিল সুন্দর উজ্জ্বল চাঁদ। এই সুন্দর মিষ্টি চাঁদ দেখতে দেখতে দুজন মিলে কিছুটা সময় বসে ছিলাম কলেজ মাঠের ঝাল মুড়ি মামার দোকানে। এখানে আগের প্রায় আসা হতো এবং ঝালমুড়ি খাওয়া হতো।সময়ের অভাবে এখন আর যা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিন পরে সেখানে গিয়ে ঝালমুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগলো।
1000062749.jpg
বেশি সময় আমরা সেখানে ছিলাম না। মিনিট দশেকের মধ্যে ঝাল মুড়ি খাওয়া শেষ করে সেখান থেকে উঠে আসলাম। আমার শরীরটা খুব একটা ভালো ছিল না সেজন্য আর অপেক্ষা করলাম না। তারপর দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে কচুরির দোকান দেখতে পেলাম। সেখানে বসে আর খেতে ইচ্ছে করছিল না সেজন্য পার্সেল নিয়ে নিলাম। আসলাম এবং চাঁদটা দেখতে থাকলাম। চাঁদটা ভীষণ মিষ্টি হয়ে উঠেছিল কাল।
1000062748.jpg
গল্প করতে করতে রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছে না। রাস্তায় শান্তির হাওয়া অর্থাৎ ঠান্ডা বাতাস যেটা বড্ড আরাম দিচ্ছিল। তারপরে দুজন মিলে আইসক্রিম কিনে খেলাম। এই ঠান্ডা আইসক্রিম খেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। গরমে আইসক্রিম খেলে একদম শরীরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। তারপরে আরো কিছু খাবার কিনে নিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম।
1000062734.jpg
অনেকদিন পর এরকম চাঁদের আলোয় আলোকিত রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালো লাগছিলো।সারাদিন ক্লাস করার পর যখন খুবই ক্লান্ত লাগে। তখন যদি এরকম আইসক্রিম খেতে খেতে বাড়ি ফেরা যায় তারপর ভীষণ ভালো লাগে। মনে পড়ে যাই সেই ছোটবেলার স্মৃতি। ছোটবেলায় স্কুল শেষ করে আইসক্রিম হাতে বাড়ি আসতাম। আজ বড্ড ক্লান্ত আমি। আর কিছু লিখতে পারছি না। আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩ রা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif