রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া।

purnima14 (68)Verified member 🇧🇩| B-33in আমার বাংলা ব্লগ • yesterday

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৪ শে জুন, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।

কভার ফটো

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আপনাদের সাথে ক্রিটিভিটি গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের খুশির মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে ভালো লাগে। সুখ দুখ সবকিছু সবার সাথে ভাগ করে নিতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। সকলের জীবনী ব্যস্ততম। এই ব্যস্ততম জীবনে নিজেকে একটু ভালো রাখার জন্য মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া কিংবা খাওয়া-দাওয়া করা ভীষণ প্রয়োজন ‌। পর পর কয়েকদিন ধরেই এক্সাম চলছে । আমার সামনে রয়েছে ফাইনাল পরীক্ষা। বেশ কিছুদিন ধরে কোথাও যাওয়া হয়ে উঠছে না। তাই আজকে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

আজকে বিকেলে পরীক্ষা ছিল। সারাদিন ধরে পরীক্ষা প্রিপারেশন নিয়েছি। পরীক্ষা দিয়ে আসার পর খুবই ক্লান্ত লাগছিল। আর রান্না করতে ইচ্ছে করছিল না। এমনিতেই পরীক্ষা চলাকালীন আমি রান্না খাওয়া একটু কম করি। আসলে সময় বের করে রান্না করা হয়ে ওঠে না। বিকেলে এসে শরীরটা খুবই দুর্বল লাগছিল তারপরও ভাবলাম একটু বাইরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আসি। রেস্টুরেন্ট তো আমার রুমের পাশেই। আমি বনফুডের একবারের সাথেই থাকি। তাই ভাবলাম সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করতে যাব ।

আমি আমার এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে বনফুডে আসার জন্য বললাম। তারপর আমি রেডি হয়ে বনফুডে চলে গেলাম। যদিও রেস্টুরেন্টি আমার রুমের পাশেই তারপরেও হাতে গুনে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। আমি সাধারণত এই রেস্টুরেন্টের কেক অনেক পছন্দ করি। এটি কেকের জন্য মোটামুটি বেশ ভালই বিখ্যাত। কুষ্টিয়ার মধ্যে রেস্টুরেন্টের কেক খেতে অনেকেই ভীষণ পছন্দ করে থাকেন। আমিও খুবই পছন্দ করি। কোন প্রোগ্রামের জন্য আমি এখান থেকে কেক নিয়ে থাকি। তবে মাঝে মাঝে আবার হোমমেড কেক খুব ভালো লাগে।

এই রেস্টুরেন্টে কেকের কালেকশন অনেক। প্রতিদিন এখানে অনেক ধরনের কেক তৈরি করা হয়। এখানকার কেক খেতে ভীষণই সুস্বাদু। তবে আমি কেক খেতে আনতে গিয়েছিলাম না আমি আজকে অন্য কিছু খাবো বলে গিয়েছিলাম। এখানকার গ্রিল নান অনেক ভালো। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। তবে আজ আমি পিজ্জা খাব বলে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে গিয়ে আর পিজ্জা খাইতে মন চাইলো না। সেখানে গিয়ে নান এবং চিকেন চাপ খাব বলে ঠিক করলাম।

আমরা সেখানে পৌঁছে দুইটি চিকেন চাপ এবং দুইটি বাটার নান অর্ডার করে দিলাম। যতক্ষণে অর্ডার আসছিল ততক্ষণে আমরা গল্প করছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের অর্ডার দিয়ে চলে এলো। তারপর আমরা খাওয়া শুরু করলাম। চিকেন চাপ আর নানটা বেশ ভালোই ছিল। এখানকার নান চিকেন চাপ এগুলো অনেক ভালো। দুজন মিলে গল্প করছিলাম আর খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। এখানে আমরা ছাড়া আরও অনেকেই ফ্যামিলি নিয়ে খেতে আসছিল। ফ্যামিলি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য বনফুড একটি বেস্ট জায়গা বলে আমার মনে হয়।

তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। যেহেতু বনফুড আমার রুমের পাশেই সেজন্য এখানকার খাবার অনেকবার খাওয়া হয়েছে তবে এখানে বসে খাওয়া খুব কম হয়েছে। অনেকদিন বাদে সেখানে বসে খাওয়া দাওয়া করলাম। আমরা সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট মতো বসেছিলাম।

তারপর দুজন মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার বন্ধু সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেল। আমি আমার রুমে চলে আসলাম। অনেকদিন বাদে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালো লাগলো।

ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৪ শে জুন২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া

প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।

আমি কে !

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14

VOTE @bangla.witness as witness