কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছ রান্নার রেসিপি।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ২০মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো। আমি মেসে থেকে লেখাপড়া করি তাই নিজের খাবার নিজেই রান্না করে খাই। যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। নিজের খাবার নিজেই তৈরি করে খাওয়ার মাঝে আলাদা শান্তি রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করব। রেসিপিটা অনেকদিন আগেই তৈরি করে দেখেছিলাম। কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছ রান্না আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে রেসিপিটি দেখে নেয়া যাক।
কভার ফটো
সুন্দর করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ছোট মাছ | পরিমাণ মতো |
২ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
৩ | টমেটো | দুইটি |
৪ | হলুদ | এক টেবিল চামচ |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | পেঁয়াজ | পরিমাণ মতো |
৭ | জিরা | অল্প পরিমাণ |
৮ | তেজপাতা,জিরা গুড়া | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
ছোট মাছ ফ্রিজ থেকে বের করে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। টমেটো, পেঁয়াজ, মরিচ ধুয়ে কেটে পরিষ্কার করে নিয়েছি। সবকিছু একসাথে গুছিয়ে নিয়েছি।
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে নিয়েছি। চুলায় সামান্য তেল গরম করে ছোট মাছ গুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
মাছগুলো কড়াই থেকে উঠিয়ে রেখে। কড়াইয়ে সামান্য তেল দিয়ে তাতে জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ এবং মরিচ সামান্য তেলে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
তারপর কড়াইতে টমেটো দিয়ে নিয়েছি। কাঁচা টমেটো একটু নেড়েচেড়ে পেঁয়াজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে।তারপর পরিমাণ মতো লবণ, হলুদ দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
ঢাকনার সাহায্যে কিছুক্ষণ টমেটোগুলো ঢেকে রাখতে হবে । ঢাকনা উঠিয়ে সবটুকু জল শুকিয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
মাছ এবং টমেটো গুলো একসাথে কিছু সময় নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
তারপর বেশ কিছু সময় ধরে রান্না করে নেওয়ার পর সামান্য পরিমাণ জিরে গুড়া দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
তারপর ভালো করে নাড়াচাড়া করে রান্নাটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
তারপর একটি পাত্রে পরিবেশন করে নিয়েছি। টমেটো দিয়ে ছোট মাছ রান্না করলে খেতে কিন্তু দারুণ লাগে।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আমি ছোট মাছ খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। আর আপনি তো দেখছি কাঁচা টমেটো দিয়ে খুব মজাদার ভাবে ছোট মাছের রেসিপি তৈরি করে নিলেন। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কিন্তু লোভ সামলানো মুশকিল। এত সুন্দর করে পুরো রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাচা টমেটো দিয়ে দিয়ে কখনো চচ্চড়ি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।কালারটা দারুণ এসেছে। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টমেটোর যে কোন রেসিপি আমার কাছে দারুন লাগে। হ্যাঁ আপু, রেসিপিটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
কাঁচা টমেটো দিয়ে বেশ সুন্দর একটি রেসিপি রান্না করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। ছোট মাছের এই রেসিপিটি দেখেই মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ রেসিপিটি যেভাবে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন রান্নাতি করা ভীষণ সহজ হয়ে গেল।
কাঁচা টমেটো দিয়ে এভাবে ছোট মাছ রান্না করলে খেতে চমৎকার লাগে। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপু কাঁচা টমেটো দিয়ে যে কোন রেসিপি করলে খেতে বেশ মজা লাগে। আজকে আপনি কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি করেছেন। এবং ছোট মাছের রেসিপি খাওয়ার মজাই অন্যরকম। তবে এটি ঠিক নিজের খাবার নিজে তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। মজার রেসিপিটি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন,ছোট মাছের রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা।
ছোট মাছের যেকোন রেসিপি আমার কাছে ভালো লাগে খেতে। ছোট মাছের সাথে টমেটোর কম্বিনেশন মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করলেন। ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখালেন রেসিপিটি।
মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। আর যদি এরকম খাবার হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা। এরকম লোভনীয় খাবারগুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লাগে। মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো আমার খাওয়া হয়ে থাকে। এত মজাদার রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছ রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু।
আপু, কাঁচা টমেটো দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি অনেক মজার হয়েছে। সত্যিই, নিজের হাতে খাবার তৈরি করার আনন্দই আলাদা। কাঁচা টমেটোর স্বাদ আর ছোট মাছের মিশ্রণে যে নতুন এক রকম টেস্ট আসে, সেটা ব্যতিক্রম। আপনিই যখন এমন মজাদার রেসিপি শেয়ার করেন, তখন তো খাবারের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ে। এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।