||গল্প:-পুরনো হাসপাতালের রাত||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"গল্প:-পুরনো হাসপাতালের রাত" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

Source

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে গল্প:-পুরনো হাসপাতালের রাত আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট শেয়ার করার। আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করতে পারলে নিজেকে অনেক ভালো লাগে।তো আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটি করে গল্প পোস্ট শেয়ার করার।আসলে এমন অনেক গল্প রয়েছে যে গল্প গুলো পড়তে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে।বিশেষ করে রোমান্টিক এবং ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।তো ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে একটি ভৌতিক গল্প শেয়ার করি।আশা করছি গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

শহরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে এক পরিত্যক্ত সরকারি হাসপাতাল। বহু বছর আগে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিলো পুরো ওয়ার্ড, মারা গিয়েছিলো বহু রোগী। সেই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটি আর খোলা হয়নি। আশেপাশের মানুষ বলে, রাত নামলেই সেখানে ভেসে আসে কান্নার আওয়াজ আর স্ট্রেচারের চাকার টকটক শব্দ।একজন মেডিকেল ছাত্র, যার ভৌতিক বিষয় নিয়ে আগ্রহ সবসময়ই একটু বেশি। বন্ধুরা প্রায়ই তাকে মজা করে বলতো,ভূত নেই বলছো? তাহলে ওই হাসপাতালে এক রাত কাটাও দেখি।চ্যালেঞ্জ শুনে সে রাজি হয়ে গেলো,আমি প্রমাণ করে দিবো, সব কুসংস্কার।

রাত ১১টার দিকে হাতে টর্চ, মোবাইল আর ক্যামেরা নিয়ে ঢুকে পড়লো সেই পুরনো হাসপাতালের ভেতর। বিশাল দালান, দেয়াল জুড়ে ফাটল, আর চারদিকে পচা গন্ধে ভারী বাতাস। সিঁড়ি গুলো মরচে ধরা, বাতি গুলো অনেক আগেই নিভে গেছে।ভেতরে ঢুকেই কেমন একটা দম বন্ধ করা গন্ধ,পোড়া ওষুধ আর ছাইয়ের মতো। দেয়ালের একপাশে এখনো কালো দাগ, যেন আগুনের ছোঁয়া আজও রয়ে গেছে।সে ফোনের আলো জ্বালিয়ে ভিডিও করতে লাগলো। হঠাৎই উপরের দিক থেকে কারো হাঁটার শব্দ শোনা গেলো।বাতাসে কিছু নড়ছে হয়তো,নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু শব্দটা ধীরে ধীরে নিচে নামছে।

সে সতর্কভাবে করিডোরের শেষ মাথায় এগিয়ে গেলো। একটা দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা গেলো লালচে আলো ঝলমল করছে। দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো,পুরনো এক অপারেশন থিয়েটার। মাঝখানে টেবিলের ওপর সাদা কাপড় ঢাকা একটা দেহ।সে একটু সাহস করে কাপড়টা তুলতে চাইলো। কিন্তু কাপড়ের নিচের দেহটা হঠাৎ নড়তে লাগলো! সে ভয় পেয়ে পেছনে সরে গেলো। ঠিক তখনই সাদা কাপড়ের নিচ থেকে রক্তমাখা হাত বেরিয়ে এলো।ভয়ে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো। মোবাইলের স্ক্রিনে হঠাৎ কিছু লেখা ভেসে উঠলো,তুমি কি ডাক্তার? তাহলে আমাদের বাঁচাও।সে হতভম্ব হয়ে মোবাইল ফেলে দিলো। চারপাশে তখন ধোঁয়া, অদ্ভুত এক ঠান্ডা, আর ছায়ার ভিড়। এক মুহূর্তে ঘরে উপস্থিত হলো সাদা পোশাক পরা কয়েকজন মানুষ,কেউ রোগী, কেউ নার্স, কেউ ডাক্তার। তাদের সবার মুখে পোড়ার দাগ, চোখ ফাঁকা গর্তের মতো।

একজন নার্স এগিয়ে এসে বললো,আমরা মরিনি,আগুনের মধ্যে আটকে আছি এখনো।সে চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা থেকে শব্দ বের হলো না। ঘরের ঘড়িটা থেমে আছে ঠিক ২:১৭ মিনিটে,যে সময় আগুন লেগেছিলো বহু বছর আগে।হঠাৎ অক্সিজেনের পাইপ গুলো নিজে নিজে খুলে গেলো, স্ট্রেচার নড়তে লাগলো, আর বাতাসে পোড়া মানুষের গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো। আগুনের শিখা যেন আবার জেগে উঠলো, ঠিক সেই পুরনো ঘটনার মতো।সে প্রাণপণে দরজা ধাক্কাতে লাগলো, অবশেষে কোনোভাবে বেরিয়ে বাইরে ছুটে এলো।ভোরে লোকজন দেখতে পেলো,সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের গেটে। মুখে পোড়ার দাগ, হাতে লেখা এক লাইন,ওরা এখনো চিকিৎসা চায়।এরপর থেকে কেউ আর সাহস করে সেই হাসপাতালে ঢোকে না। রাতের দিকে গেলে কেবল ভেসে আসে স্যালাইনের ফোঁটার টুপটাপ শব্দ, আর পোড়া মাংসের গন্ধে ভরে যায় চারপাশ।গল্প টি এখানেই শেষ।তো আপনাদের কাছে গল্প টি কেমন লেগেছে জানাবেন।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

---

ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ

ডিভাইস	Tecno camon 20
ফটোগ্রাফার	@polash123
লোকেশন	দিনাজপুর

---

🌸আমার পরিচয়🌸

আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।

You can also vote for @bangla.witness witnesses

Vote for @bangla.witness