||নাটক রিভিউ:-আবদার||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-আবদার" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-আবদার আমি সব সময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন কিছু পোস্ট নিয়ে আসার। তাই প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার।তবে বেশ কিছু দিন ধরে নিজের সমস্যা থাকার কারনে এক্টিভ থাকতে পারি নাই। তো চেষ্টা করবো এখন থেকে আবার নিয়মিত কাজ করার।আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেনো আবার আপনার মাঝে সুন্দর ভাবে কাজ শুরু করতে পারি।আমার বাংলা ব্লগ একটি পরিবারের মতো।তাই আমি আবার আমার পরিবারের কাছে ফিরে আসলাম। যাইহোক আজকে যে নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো এটা হচ্ছে নতুন একটি নাটক। তবে আমি মুশফিকের নাটক খুবই পছন্দ করি।তাই সব গুলো চেষ্টা করি মুশফিকের নাটক রিভিউ শেয়ার করার। তাহলে দেরি না করে নাটকের রিভিউ শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	আবদার
অভিনয়	মুশফিক আর ফারহান,ফারিন খান,আরো অনেকে
পরিচালক	রুবেল আনুশ
মুক্তির তারিখ	০৩ এপ্রিল ২০২৫
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৪৯:০১

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরতে মুশফিক তার বোনের বাসায় যাবে।এবং কেন যাচ্ছে সেটা হচ্ছে, তার বোনের জামাইয়ের আবদার এটা লাগবে ওটা লাগবে মাছ লাগবে মুরগি লাগবে যা আছে সবকিছুই লাগবে তার।তো মুশফিক তার আবদার অনুযায়ী যা কিছু আছে সব নিয়ে তাদের বাসায় রওনা দিয়েছে।তো তাদের বাসায় ঢুকতে না ঢুকতেই তার বেয়াইন তার মাথার উপর পানি ঢেলে দেয়। কারণ তার বেয়াইন তাকে অনেক পছন্দ করে এবং তাকে ভালোবাসে।যাই হোক তার কথা অনুযায়ী তাদের আবদার তার ভাই পূরণ করছে।এরপর কিছুদিন যাওয়ার পরে তার জামাই আবদার করছে আমার ঘরে একটি বড় ধরনের টিভি লাগবে। তো সেটাও তার আবদার পূরণ করছে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো এইদিকে যে মুশফিককে তার বেয়াইন পছন্দ করত এটা কিন্তু মুশফিক জানতো।এবং মুশফিক তাদের বাসায় গেলে তার বেয়াইন বিভিন্ন ধরনের ফাজলামি করে।তো একদিন তাদের বাসায় গিয়ে ছাদের ওপরে তার বেয়াইন চা নিয়ে যায়।এবং মুশফিক আস্তে করে টি-শার্ট তার সামনে দিল যাতে করে চা টি তার শার্টের মধ্যে ফেলে দেয়।কারণ এর আগে মুশফিকের শার্টে চা ফেলাই দিছিলো তাই। যাই হোক যখন চা টি তার শার্টে ফেলে দিল না তখন মুশফিক বললো কেন দিচ্ছেন না? তখন মেয়েটি বলল যে বেয়াই আমি আপনাকে ভালোবাসি।তারপর মুশফিক বলল যে আমি কোন ভালোবাসতে পারব না, যদি ডাইরেক্ট বিয়ে করতে চান তাহলে বলেন আমি ডাইরেক্ট বিয়ে করবো। তো সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি রাজি হয়ে যায় এবং পড়ে পড়ে তারা বিয়ে করে তাদের বাসায় চলে যায়।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এখন তারা যে বিয়ে করছে মেয়ের বাড়ির লোক এটা মানতে চায় না।তো আস্তে করে মুশফিক বলল যে যদি আপনারা না মানেন তাহলে আপনারা আপনার মেয়েকে নিয়ে চলে যান।যখন এই কথা মুশকিল বলল পরে পরেই তারা সবকিছু মেনে নিলো।এখন বিয়ে করার পরে মুশফিক তার খেলা শুরু করে।এখন মুশফিক তার বউকে কোনদিন মুখ খুলে বলেনি যে আমার এটা লাগবে ওটা লাগবে,কিন্তু যেকোন কাজের ওসিলাই থাকে বুঝিয়েছে।যাইহোক এইভাবে তখন মুশফিকের বউ তার বাসা থেকে তার ভাই মা বাবা তাদের কাছে আবদার শুরু করলো।এখন তার ফ্যামিলি ও তাদের আবদার পূরণ করা শুরু করলো।আসলে মুশফিক যেটা চেয়েছে এটা কিন্তু সে মুখ খুলে বলেনি তার বউয়ের মাধ্যমে তার বাসায় জানিয়েছে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো একদিন মুশফিক তার বাসার জমির দলিল নিয়ে এসে বলল যে আমি জমিটা বিক্রি করে দিবো।তার বউ বলল যে কেন বিক্রি করবা কি হয়েছে? তখন মুশফিক বলল যে আমি কানাডা যাবো, এবং কানাডা যাওয়ার জন্য আমাকে ৮ লাখ টাকা লাগবে এইজন্য আমি জমি বিক্রি করে কানাডা যাবো।তখন তার বউ বলল যে তুমি জমি কেন বিক্রি করবা,আমি আছি আমার ভাই আছে আমার বাবা আছে তাদের কাছ থেকে নিয়ে এসে টাকা দিবো।যখন তার বাসায় ৮ লাখ টাকা চেয়ে বসল তার পর তাদের ফ্যামিলির লোক মুশফিকের বাসায় চলে আসলো।এবং বললো যে তুমি এটা কি পাগলামি শুরু করছো।তখন মুশফিক তাদের মুখের উপরে উত্তর দিয়ে বললো যে আপনারা যখন আমার বোনের কাছে এটা চান ওটা চান আমরা কি কখনো না করছি।কিন্তু কোনদিন ভাবছিলেন যে আমার বাবা আপনাদের আবদার কেমন করে পূরণ করছে।আর আজকে আমি ১৫ দিনে এটা চাইলাম বলে আপনাদের গায়ে লাগতেছে।যখন মুশফিক তার সমস্ত কথা তাদেরকে বলল তখন তার বোনের বাসার লোক ভুল স্বীকার করলো।এবং সঙ্গে সঙ্গে দুই ফ্যামিলির মিল হলো।এবং মুশফিক ও তার বউয়ের সুন্দর একটি সংসার শুরু হলো।নাটক টি এখানেই শেষ হয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর আমি চেষ্টা করি মুশফিকের নাটক গুলো দেখার। তো এই নাটকের মধ্যে সুন্দর একটি কাহিনী তুলে ধরেছে।যেমন আমরা অধিকাংশ মানুষ শশুর বাড়ি থেকে অনেক কিছু আবদার করি।হ্যাঁ আবদার করা যাবে কিন্তু সব সময় আবদার এটা তো ঠিক না।তো ঠিক এই নাটকের মধ্যে পুরো কাহিনী টি তুলে ধরা হয়েছে। আমরা কখনো ভাবিনি যে আমাদের শশুর বাড়ি থেকে তারা কেমন করে আমাদের আবদার পূরণ করে।যদি এটা ভাবতাম তাহলে এতো কিছু চেয়ে বসে থাকতাম না।আমাদের উচিত শশুর বাড়ি থেকে বেশি কিছু না নিতে।কারণ তাদের ও একটা ফ্যামিলি রয়েছে। যাইহোক এই নাটকটি যারা দেখেছেন তারা তো সহজে বুঝতে পারবেন। আর যারা দেখেননি দেখে নিবেন আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে। তো আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/১০