ভালোবাসার পরিনাম মৃত্যু ২য় বা শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

ভালোবাসার পরিনাম মৃত্যু ২য় বা শেষ পর্ব

1000022848.webp

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। আসলে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা। আসলে বাস্তবতা থেকেই গল্পের সৃষ্টি হয়। আর বেশি ভালোবাসলে সত্যি মৃত্যুতে পরিণত হতে হয়। আর ভালোবাসা কখনো এক তরফা হয় না। এক তরফা ভালোবাসলে তার কপালে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই জোটে না।যাইহোক গত সপ্তাহে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম আপনাদের ভালো লেগেছিল তাই আজও এসেছি এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু আজকের পোস্ট।

উপমার বাচ্চা হবার কয়েক দিন আগে সে তার বাবার কাছে চলে আসলো।এভাবে তার বাবার কাছে এসে সে মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে বাবার সাথে সে আলাদা রান্না করে খায়। এদিকে উপমার মা বাইরে থাকে। আসলে মেয়েরা কতটা জেদি হলে বাবা মার সাথে আলাদা খায়।যাইহোক তারপর উপমার বাবা সব কিছু মেনে নিয়েছে। এভাবে দেখতে দেখতে উপমার বাচ্চা হয়ে গেল। তারপর আরো কিছু দিন বাড়িতে থেকে উপমা তার বাচ্চা নিয়ে বাসায় চলে গেল।

আসলে বাসার যাবতীয় খরচ চালায় উপমার মা। আর একজন নিধারিত টাকা দিলে তো আর সংসার চালানো যায় না।তাই উপমা তার স্বামীকে ইনকাম করার জন্য চাপ দেয়। তবে উপমার স্বামী ছিল নেশাখুর। আর নেশার টাকা না থাকলে সে যা খুশি তাই করে। বিশেষ করে উপমার ওপর।তখন উপমার হাতে যে কয়টা টাকা পয়সা থাকে বাধ্য হয়ে তাকে দিয়ে দিতে হয়। কিন্তু এখন উপমার যেহেতু একটা ছেলে হয়েছে আর তার বাড়তি খাবারের জন্য উপমার টাকা দরকার হয়।আসলে উপমা যেন আর পারছে না। একজন মানুষের কাছ থেকে কতোক্ষণ এভাবে টাকা নেওয়া যায়।

একদিন উপমা তার স্বামীর সাথে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে বাবার বাড়িতে আসলো।তারপর উপমার বোনের বাসায় বেশ কিছু সময় থেকে আবার দুপুরে না খেয়ে বাসায় চলে গেল।এদিকে দেখতে দেখতে ছেলের বয়স এক বছর হয়ে গেল। তারপর উপমার বোন অনেক রিকোয়েস্ট করলো তাকে দুপুরে খেয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু উপমা কিছুতেই খাবে না। সে না খেয়ে আবার বাসায় ফিরে গেল।তারপর বেলা দুটোর দিকে তার স্বামী বাইরে বের হলো আর তখনি উপমা ফ্যানের সাথে রশি দিল। তারপর সাথে সাথে উপমা মারা গেল। তারপর ছেলেটা এভাবে বাসায় একা কান্না করতে থাকলো।এভাবে বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেল। তারপর সন্ধ্যার দিকে উপমার স্বামী এসে এটা দেখে সবাইকে ফোন দিল। তারপর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেল।এভাবে তিন দিন পরে উপমার বাইরে থেকে এসে লাশ এনে দাফনের কাজ সম্পূর্ণ করল।আসলে বাবার কথা না শোনলে যা হ আরকি। উপমা তার ভালোবাসার জন্য অবশেষে নিজের জীবন দিল। আসলে শুধু উপমা নয় এভাবে আমাদের সমাজে অনেকেই প্রাণ হারায় অকালে। আশাকরি গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদপুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 days ago 

1000023048.jpg

1000023047.jpg

 2 days ago 

কখনো কখনো ভালোবাসার জন্য অনেক মানুষকেই পস্তাতে হয়। কারণ প্রত্যেকটা ভালোবাসার মধ্যে বিশুদ্ধতা থাকে না। উপমার জীবনেও তাই ঘটেছে। উপমা ভালবেসে বিয়ে করলেও নেশাখোর একটা স্বামী পেয়েছে। আর এজন্যই তাকে তার জীবন দিয়ে দিতে হলো শেষ পর্যন্ত। গল্পটা দুঃখের ছিল আপু পড়ে ভালো লাগলো।

 yesterday 

জি আপু গল্পটা অনেক দুঃখের, আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু উপমা যা করেছে তা করা একদমই ঠিক হয়নি। যেহেতু এখন তার একটি ছোট ছেলে রয়েছে। উপমা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ভেবেছে আত্মহত্যা করলে হয়তো বেঁচে যাবে। কিন্তু এত মাস পেটে নিয়ে কষ্ট করে যাকে পৃথিবীর আলো দেখালো তার কথা একবারও চিন্তা করলো না। উপমা একবারও চিন্তা করলো না মা ছাড়া সন্তান কেমন থাকবে। এসব মেয়েদের আমি একদমই পছন্দ করি না। যাই হোক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 yesterday 

আসলে আপু জেদ মানুষকে শেষ করে দেয়, আসলে বাচ্চাদের দিকে তাকালে সত্যি অনেক কিছু ভুলতে হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।