জেনারেল রাইটিং:- বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং:- বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা রেসিপি নিয়ে। আসলে আমাদের সমাজে সবাই ভালোর সময় পাশে থাকে কিন্তু খারাপের সময় আর থাকে না। আসলে সুসময়ের বন্ধু অনেক থাকে কিন্তু দুসময়ে কেউ থাকে না। আসলে কিছু মানুষ আছে সব সময় সুযোগ খুঁজে।সত্যি বলতে আমরা যাকে যত বিশ্বাস করি আর সেই ততক্ষতি করে। আর এই সকল ক্ষতি বেশি করে কাছের মানুষ গুলো । আর কৈউ বিপদে পড়লে তখন চেনা যায় প্রকৃত বন্ধু কে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমার এক ভাই নাম তার শাহিন মোটামুটি বেশ ভালো লোক আর মোটামুটি সচল মানুষ। বাবার অনেক জমিজমা আছে তবে শাহিন ভাই তেমন কিছু করে না। আর সংসারে কাজ করলে কোন টাকা পয়সা পায় না।তাদের বাড়িতে অনেক ধান হয় কিন্তু বিনিময়ে সেই ভাই শুধু ভাত খাবে কিন্তু আর কিছুই পায় না।তারপর অন্য ভাই বোন মিলে তাকে বিয়ে করিয়ে দিল এক শিক্ষিত মেয়ে দেখে যদিও ভাইয়া অনেক শিক্ষিত। কিন্তু সরকারি ভালো চাকরি পায়নি তাই করেনি।তারজন্য ভালো শিক্ষিত মেয়ে দেখে বিয়ে করানো হয়েছে। আসল কথায় আছে না কপালে সুখ না থাকলে সুখ পাওয়া অনেক কঠিন। তারপর ভাইয়ার বউ যখন অনার্স পরীক্ষা দেবে তখন ভাইয়ের বাড়িতে ধানের সিজন।
তবে ভাইয়ের বউ অনেক চালাক কিন্তু তার স্বামীর জন্য সব কিছু সেরে উঠতে পারে না।আবার এদিকে জায়ের সাথে থাকতে হয়। আসলে জা তাকে দিয়ে অনেক কাজ করায় কিন্তু বিনিময়ে তারা শুধু খাবার খায়।তবে তার জা বেড়ে দেবে যা তাই তারপর সব চেয়ে ছোট মাছ দেয় শাহিন ভাইয়া কে।এভাবে চলে গেল বেশ কিছু দিন। এদিকে পড়াশোনা অন্য দিকে সংসার। আসলে নিজের সংসারে কাজ করা অনেক ভালো লাগে কিন্তু কাজ করে অবশেষে কিছু না পেলে তখন আর কাজ করতে ইচ্ছে করে না।ভাইয়ের বউ তখন তার ননদের বললো সে আলাদা খাবে। একথা শোনে ভাইয়া অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছে সে কিভাবে আলাদা খাবে তার সংসার কিভাবে চলবে।তখন ভাইয়ের বউ বললো আমি আমার সংসার চালাবো। সে বাড়িতে চারশত মণ ধান হয় সাথে সব কিছু দুজন মিলে করি কিন্তু বিনিময়ে একটা জামা কাপড় পায় না।আর আলাদা হলে আমাদের ভাগের জমির গুলোর ধান আমরা পাব।যদিও প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
সত্যি আলাদা হয়ে গেল তবে অনেক ধান ছিল কিন্তু কাউকে দেয়নি তার ভাই একাই নিয়েছে।।আর ভাইয়ের কাছে তো কোন টাকা পয়সা নেই। তারপর তার বউ টিউশনি শুরু করেছে তার অন্য ভাই বোনেরা সবাই অনেক সাহায্য করেছে কিন্তু তার ভাই কোন সাহায্য করেনি।আর সব সময় চেষ্টা করেছে কিভাবে তার ভাইকে ঠকিয়ে নিজে ভালো হবে।এভাবে কিছু দিন চলে গেল। তারপর জমিতে ধান লাগিয়েছে।ধান বেশ ভালো হয়েছে। এভাবে তার ভাই শত চেষ্টা করেও শাহিন ভাইয়ার ভাই তাকে ঠেকাতে পারেনি।ভাইয়া একজন সৎ মানুষ তারজন্য তাকে সবাই হেল্প করেছে আর তারা দুজনে শিক্ষিত তারজন্য তারা চেষ্টা করে অনেক ভালো হয়েছে। এখন ভাইয়া অনেক টাকা পয়সা আছে দুটি বাচ্চা ও আছে তবে ভাইয়ার বিপদের সময় যারা পাশে ছিল তারা আজও আছে।তবে ভাইয়া ভাইকে বেশ ভালো ভাবে মনে রেখেছে। এখন ভাইয়ার ভাই তার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক রাখে।তবে বিপদের সময় পাশে ছিল না এখন ভালো আছে তাই আছে।আসলে আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1859952510162850216?t=o6gWAVyVL0CDupUX0Elthw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে এখানে ধান কে কেন্দ্র করে বিস্তারিত বিষয়টা তুলে ধরেছেন। আসলে শিক্ষিত মানুষের জীবনটা এমন। না পারে মাঠে কাজ করতে না পারে অন্য কিছুতে অংশ নিতে। আর বেকার জীবনটাই অনেক কিছু সহ্য করতে হয়। যাই হোক খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে শাহিন ভাই সম্পর্কে জানতে পারলাম অনেক কিছু।
খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আমাদের জীবনের বাস্তব কথা গুলো তুলে ধরেছেন। আর আপনার শেয়ার করা ঘটনাটা পড়েও ভালো লাগলো। আসলেই বিপদে খুব কম মানুষ পাশে থাকে। আর যারা বিপদের সময় পাশে থাকে তারাই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।
অনেক সুন্দর একটি ঘটনা আজকে শেয়ার করলেন আপু। সত্যি আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা নিজের ভাই কেউ দেখেনা। তবে ভাইয়ার বউ সত্যি অনেক বুদ্ধিমতি। তারা আলাদা হয়ে নিজে পরিশ্রম করে পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। যে ফলটা তারা সাথে থেকে পায়নি। দোয়া করি এমন মানুষ যেন সব সময় উপরে ওঠে সব সময় এরা সফলতা পায়। আর যেসব মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায় না তারা যেনো কারো সাহায্য না পায়।
সুন্দর একটি বাস্তব চিত্র আপনি তুলে ধরলেন আমাদের সাথে। আসলে সৎ মানুষের কোন জায়গা নেই। আপনার শেয়ার করা গল্পটি পড়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। নিজের সুযোগ সুবিধা যদি নিজেকে আদায় করে না নিতে পারে তাহলে কেউ সুযোগ করে দেয় না। শাহিন ভাইয়ের বউ সেই কাজ করেছে। তাই আজকে তারা বেশ ভালো অবস্থানে আছে।