ঢাকা থেকে শীতের কেনাকাটা করার মূহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
ঢাকা থেকে শীতের কেনাকাটা করার মূহুর্ত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে। কিনতে আমরা সবাই অনেক ভালোবাসি তবে কিনতে হলে একটু সময় টাকা ও ধৈর্যের প্রয়োজন। আসলে আমরা সবাই চাই কেনার জন্য তবে মনের মতো কিনতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আমরা বেশ কিছু দিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম আর আমরা কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম। আসলে সবাই মিলে এক জায়গায় যাওয়ার মজাই আলাদা। যেহেতু আমরা শীতের সময় গিয়েছিলাম তবে এবার শীত তেমন পড়েনি।তারপরে ও শীতের সময় শীতের কেনাকাটা না করলে সত্যি ভালো লাগে না। আর ঢাকায় যেহেতু অনেক দিন যাওয়া হয় না তার জন্য কেনা হলো।যদিও শীতের কাপড় সহজে নষ্ট হয় না তবে বর্তমান বাচ্চারা এক বছরের কাপড় অন্য বছর পড়তে চায় না।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা যখন বাজারে গিয়েছিলাম তখন সন্ধ্যা লেগেছিল। যেহেতু ঢাকার শহরে বেশির ভাগ লোকজন রাতে বাজার করে। তারপর মার্কেটে আমার ভাগ্নের কয়েকটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। সেটা নিয়ে হয়তো অন্য একদিন পোস্ট লিখবো। আসলে আমরা প্রথম চলে গিয়েছিলাম জ্যাকেট কেনার জন্য। আমার ভাগ্নে ও ভাগ্নির জন্য জ্যাকেট কিনতে। আসলে বর্তমান জিনিস পত্রের যে দাম তাতে পছন্দের জিনিস কিনা অনেক কষ্ট কর। যাইহোক তারপরে কিনতে তো হবে।তারপরে আমরা কয়েক দোকান ঘুরে দেখতে লাগলাম।
আমরা যখন জ্যাকেট গুলো দেখতে লাগলাম তখন দুটি জ্যাকেট অনেক পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু দামটা এতো পরিমাণ চেয়েছিল তারজন্য আর জ্যাকেট দুটি কেনা হলো না।তারপর আমরা আরো কিছু জ্যাকেট দেখতে লাগলাম। যত দেখি ততোই ভালো লাগে। তবে কথায় আছে না একবার একটা জিনিস পছন্দ হলে আর যতই দেখি না কেন ভালো লাগে না।তারজন্য আমাদের সবার উচিত টাকার সাথে সম্পর্ক রেখে জিনিস গুলো পছন্দ করা। যদিও আমাদের জ্যাকেট কেনার জন্য বাজেট ছিল ২০০০ টাকা করে কিন্তু (২৫-৩০) এর মধ্যে ছাড়া কেনা সম্ভব হলে না। কি আর করা কিনতে হলে এই দাম দিয়েই নিতে হবে।
অবশেষে দামের ভিতরে পছন্দ অনুযায়ী দুটি জ্যাকেট কিনলাম। আর দুটি জ্যাকেট কিনেছিলাম ৫০০০ টাকা দিয়ে। তবে জ্যাকেট দুটি অনেক ভালো ছিল। আসলে ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। আর জ্যাকেট দুটি পেয়ে আমার ভাগ্নে অনেক খুশি হয়েছিল। তারপর দুই মেয়ের জন্য আরো দুটি হুটি কিনলাম। সেগুলো মোটামুটি ভালোই আছে। বাচ্চারা এগুলো পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। যাইহোক বেশ ভালো কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ঢাকা |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1885695581697474661?t=xNTGyjCQLeH02NnMyhtytA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু অনেক জন মিলে কোথাও যাওয়ার মজাই আলাদা। আর তার মধ্যে যদি অনেক জন মিলে কেনাকাটা করি তার কোন রকম এক অনুভূতি। এবার আসলে সেরকম শীত পড়েনি। তারপরও আমরাও শীতের কাপড় কিনেছি। তবে শীত না পড়লেও শীতের কাপড়ের কিন্তু অনেক দাম ছিল।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বর্তমান সব জিনিসের দাম বেশ তাই পছন্দের জিনিস কেনা সত্যি মুশকিল। তাছাড়া ভালো জিনিসের দাম অনেক বেশি আপনারা দুইটি জ্যাকেট পাচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে। আমিও গত বছরের একটি কিনেছিলাম ১৬০০ টাকা দিয়ে। সন্ধ্যাবেলা ঢাকা থেকে শীতের কেনাকাটা করার খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।
দাম শুধু বাড়তেই থাকে, ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভাগ্নের জন্য জ্যাকেট কিনেছেন এবং আপনার দুই মেয়ের জন্য দুটি হুডি কিনেছেন। এটা ঠিক বলেছেন আপু, ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি থাকে। আপনাদের শীতকালীন শপিংয়ের মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর শপিং এর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
সেই সময় সেটিং এর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আপনি ঢাকা শহরে গিয়েছেন। কিছুদিন সেখানে অবস্থান করেছেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখলাম চিড়িয়াখানা তে গিয়েছেন। এখন দেখছি কেনাকাটা করেছেন। ঢাকা শহরের সন্ধ্যা তো কোন টাইম। সন্ধ্যার সময় ঢাকা শহরে মানুষজন বেশি কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়। অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন কেনাকাটা বিষয়ে। ভালো লাগলো সবকিছু জেনে।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এখানকার লোকাল দামের চাইতে ঢাকাতে জিনিসের দাম অনেক কম। যেগুলো ব্যবসায়ীরা ঢাকা থেকে অনেক কম দামে এনে এখানে মার্কেটে বিক্রি করে থাকেন। আপনি ঢাকাতে যেয়ে শীতের কাপড় কেনাকাটা করেছিলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটার মুহূর্তটি পড়ে। আমাদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঢাকা শহরে গিয়েছে। এরপর সেখান থেকে কেনাকাটা করেছেন। মার্কেট থেকে দুইটা জ্যাকেট নিয়েছেন 5000 টাকা দিয়ে। আপনার এই কেনাকাটার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনার কেনাকাটার মুহূর্ত দেখতেও জানতে পারলাম এই ব্লগে।
কেনাকাটা করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা দেখছি বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে কেনাকাটা করার পুরো মুহূর্তটা দেখে। অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে মুহূর্তটা ভাগ করে নিয়েছেন আপনি।
আজ আপনি অনেক সুন্দর করে শীতের কেনাকাটা করার মুহূর্তে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আর আমার কাছে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কেনাকাটা করতে কেনা ভালোবাসে। জ্যাকেট পেয়ে আপনার ভাগ্নে অনেক খুশি হয়েছে বুঝতেই পারছি। দুই মেয়ের জন্য দুটি হুটি কিনেছিলেন, এটা শুনে তো আরো ভালো লাগলো। ভালো লাগলো পুরো পোস্টটা।