জেনারেল রাইটিং :-এক দুখিনি চাচার জীবনী

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

জেনারেল রাইটিং :-এক দুখিনি চাচার জীবনী

1000031077.jpg

Source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। সত্যি বলতে আমাদের চারপাশে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আসলে এখন বাবা মা বৃদ্ধ হলে তার যত সম্পত্তি থাক না কেন। তারা সব সময় সন্তানের কাছে বুঝা হয়ে যায়। অথচ সন্তান কখনো বাবা মার কাছে বুঝা হয় না। তবে বর্তমান মায়ের থেকে বেশি কষ্ট হয় বাবার। কোন মানুষের যদি স্ত্রী মারা যায় তাহলে তার মতো দুখে আর কেউ থাকে না। একজন মা তার স্বামী মারা গেলে বাচ্চাদের নিয়ে থাকতে পারে কিন্তু একজন বাবা তা পারে না। তাই আমার মনে হয় একজন বাবার বেশি কষ্ট হয়। এমনি এক চাচার জীবনী নিয়ে এসেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের।

আসলে আমাদের সমাজে এমন বাবারা বেশি অসহায়। যাইহোক আমার এক চাচা। তার তিন ছেলেমেয়ে। যদিও চাচার বয়স তেমন বেশি নয়। তবে হঠাৎ করেই চাচি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে ডাক্তার দেখে বলেছে চাচির ক্যান্সার হয়েছে। সে বড়জোর দুটি মাস বাঁচতে পারে। যদিও চাচা মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছে। আবার বড় ছেলেকে বিয়ে করিয়েছে। বাদ আছে ছোট ছেলে। ছোট ছেলে অর্নাসে পড়ে। যাইহোক চিকিৎসাধিদ অবস্থায় চাচি মারা গেলেন।এখন চাচা পড়লম মহাবিপদে।

আসলে ছেলেকে নিয়ে সংসার সামলানো মুশকিল। তারপর সবাই মিলে সিদান্ত নিল চাচাকে বিয়ে দেবে । যদিও প্রথম দিকে চাচা রাজি ছিল না। তবে সবাই জোর করাতে চাচা রাজি হয়ে গেল। তারপর চাচার বিয়ে হয়ে গেল। আসলে পরে বউয়েরা চাই শুধু ভালো ভালো খাওয়া ও পরার। যাইহোক সেই চাচি এসেই সবার মন জয় করার চেষ্টা করছে।সবার পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ায়।এভাবে চলে গিয়েছিল কিছু দিন।

একদিন হঠাৎ করেই চাচি চাচার আগের বউয়ের সকল গহনা চাইলো।তবে চাচা একটু বুদ্ধি করে বলল সব গহনা তার মেয়ের কাছে আছে।তারপর চাচা তার সংসারে কিছু জিনিস নিয়ে যেতে চাইলো।কিন্তু চাচা দুটি জিনিস দিল।সেই চাচি নিয়ে চলে গেল তার নাতনির জন্য। তারপর আবার এসে চাচার কাছে আগের চাচির গহনা চাইলো।প্রথমে চাচা দিতে রাজি হলো কিন্তু সবাই নিষেধ করার পরে আর দিল না।এদিকে চাচি গহনা না পেয়ে রাগ করতে লাগলো। [চলবে]

প্রয়োজনীয়উপকরণ
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 2 days ago 

1000031081.jpg

 yesterday 

আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে ভালো লাগবেই।