আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। কয়েক দিন আগে আমি বাচ্চাদের নিয়ে গিয়েছিলাম কেনাকাটা করার জন্য। যদিও তেমন কেনাকাটা করিনি।তবে কেনার আগেই আমার ছোট মেয়ে ফুসকার দোকান দেখে খাওয়ার জন্য অস্হির হয়ে পড়ল। আসলে বাচ্চারা এই ধরনের খাবার দেখলে খেতে বেশি আগ্রাহী থাকে। তাই আর কি করার। আগে বাচ্চাদের জন্য ফুসকা অর্ডার করলাম। আসলে এই দোকানটি অনেক আগে থেকেই এখানে রয়েছে। আর এই ফুসকা গুলো নামকরা। আসলে যে একবার খেয়েছে সে বারবার খেতে চাই।

যেহেতু আমরা গরমের সময় গিয়েছি তাই ফুসকার পাশের দোকানে শরবত খেতে চেয়েছিল বাচ্চারা। তারপর ফুসকা দেখে শরবত রেখে তারা আগে ফুসকার দোকানে চলে আসল।সত্যি আমার মনে হয় তাদের কাছে শরবতের থেকে ফুসকা বেশি প্রিয়।তবে এটা সত্যি ফুসকা বর্তমান সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। আমার কাছে ও খেতে অনেক ভালো লাগে তবে সব জায়গায় খাওয়া যায় না।তারজন্য তেমন খাওয়া হয় না।আর বাচ্চাদের কি বলব তারা পেলেই খেতে বসে হা হা হা।

তারপর গিয়েছিলাম ফুসকা অর্ডার করার জন্য। আসলে এখানে মার্কেটের সামনে দোকান তাই অনেক ভীর। তারপর আমি দুই মেয়ের জন্য দুই প্লেট ফুসকা অর্ডার করলাম। আমরা অর্ডার করার পরপরই দোকানদার ফুসকা দিয়ে দিল।যদিও এখানের ফুসকা গুলো দাঁড়িয়ে খেতে হয় আরকি। তবে ফুসকার অনেক নাম ও খেতে অনেক ভালো।

কিছু সময়ের মধ্যে ফুসকা আমাদের হাতে দিল।তারপর বাচ্চারা মজা করে খেতে লাগলো। তবে আমার মেয়ে দুটি তেমন খেতে পারে না।এক প্লেট ফুসকা তাদের বেশি হয়ে যায় তাহলে বুঝুন কেমন বাচ্চা তারা। যাইহোক তাদের খাওয়া শেষে আমরা আবার অন্য কাজে গিয়েছিলাম। সত্যি বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিল। এমন অনুভূতি গুলো সত্যি অনেক ভালো লাগে।