পরিশ্রমই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি
প্রায় সময় আমরা নিজেরাই কল্পনা করি আমার ভাগ্য এতটাই খারাপ যে আমি জীবনে কিছু করতে পারছি না। কিংবা জীবনের বর্তমান পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছি তবে বিশ্বাস করুন এটা ভাগ্যের দোষ নয় বরঞ্চ এটা আপনারই দোষ কারণ। আপনি সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে পরিশ্রম করছেন না। এবং সঠিক পরিশ্রম না করলে আপনি কখনোই উন্নতি করতে পারবেন না এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন না।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বর্তমানে সফল অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু তাদেরকে দেখে তাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব বলে যায় যে তাদের হয়তো ভাগ্য অনেক ভালো ছিল। সবকিছুই ভাগ্যে জোরই হয়েছে। কিন্তু এর পিছনে যে সেই মানুষটার কতটা পরিশ্রম ছিল, কতটা ত্যাগ স্বীকার করা ছিল সেই বিষয়গুলো আমরা কেউ ভিতরে দেখি না। এবং সেই কষ্টগুলো অনুভব করতে পারি না। সেই মানুষটা হাজার পরিশ্রম করেছে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সব সময় নিজেকে ঠিক করার চেষ্টা করেছে, নিজের কাজগুলোকে মন দিয়ে করার চেষ্টা করেছেন এই বিষয়গুলো কিন্তু আমরা কেউ অনুধাবন করি না বরং আমরা শুধুমাত্র বাহিরের সফলতাটাই দেখি। সে যে কত বড় অসাধ্যকে সাধন করেছে সেই বিষয়গুলো বুঝতেই পারি না, সেই বিষয়টাকে আমরা ভাগ্যের জোর নামের একটা ট্যাগ দিয়ে দেই।
জীবনে ভালো কিছু করতে গেলে অবশ্যই নিজের মনের কথা শুনতে হবে। নিজের ফিউচার পরিবর্তন করার জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা কোন কোন জায়গায় কিভাবে কাজ করব এবং আমার লক্ষ্য কতদূর, এগুলো আগে থেকেই যদি নির্ধারণ করা থাকে তাহলে সেই রাস্তায় চলাটা আমাদের সকলের জন্য অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। তবে আপনি যতই পরিকল্পনা করেন না কেন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি আপনি পরিশ্রম করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। তাইতো কোন এক জ্ঞানী লোক বলে গেছেন, পরিশ্রমেই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আসলে একজন মানুষ চাইলে পরিশ্রম দিয়ে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন মানুষের জীবন খুব সহজেই পরিবর্তন হয়ে যায়। জীবনে যারা যত বেশি পরিশ্রম করতে পারে, তারা তত বেশি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।বিনা পরিশ্রমে কখনো ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়।