রজব আলীর আত্মত্যাগ (শেষ পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আর কয়েকটা দিন তারা আন্দোলন চলমান রাখতে পারলেই স্বৈরাচারীর পতন হবে। রজব আলী নতুন আশায় বুক বাঁধে। সে চিন্তা করতে থাকে এই স্বৈরাচারী সরকার চলে গেলে দেশের সবাই সমান অধিকার পাবে, দেশে দ্রব্যমূল্য কমে যাবে, ধনী- দরিদ্র বৈষম্য কমে যাবে। এমনই নানা চিন্তায় সে বিভোর হয়ে থাকে। এর ভিতরে হঠাৎ করে একদিন পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর লোকজনেরা মিলে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি করতে থাকে। রজব আলী তার চোখের সামনে কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখেন।

Polish_20240813_202051127.jpg

তার ভেতরে একটা ছেলেকে তিনি দেখতে পান তখনো নাড়াচাড়া করছিলো। তিনি চিন্তা করেন ছেলেটাকে এখন হাসপাতালে নিতে পারলে হয়তো বেঁচে যাবে বেচে যাবে। তিনি দৌড়ে গিয়ে সেই ছেলেকে নিরাপদ আশ্রয় আনতে যান। ঠিক তখনই ঘাতকদের একটা বুলেট তার বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রজব আলী সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। সেদিন প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। তার কয়েকদিন পর স্বৈরাচারীর পতন ঘটে। আন্দোলনকারীরা দেশকে স্বৈরাচারের কবল থেকে ছিনিয়ে আনে। কিন্তু এই আন্দোলনের পথে তারা তাদের প্রচুর সহযোগীকে হারায়।

এত মানুষের ভিড়ে কারও কি রজব আলীর মতো রিক্সাওয়ালার কথা মনে থাকার কথা? কিন্তু না ছাত্র-জনতা রজব আলীর কথা ভোলে না। তারা রজব আলীর নামে একটা ভাস্কর্য তৈরি করে। সেই ভাস্কর্য উদ্বোধন করে রজব আলীর স্ত্রী। রজব আলীর সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করে। রজব আলীর স্ত্রী অশ্রুসজল চোখে ছাত্র-জনতার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। সব কিছুর সুন্দর সমাপ্তি হয়। শুধু যেই মানুষগুলো চিরতরে চলে গিয়েছে তারা আর ফিরে আসে না। শুধু রয়ে যায় তাদের স্মৃতি।( সমাপ্ত)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Sort:  
 3 days ago 

তারা রজব আলীর নামে একটা ভাস্কর্য তৈরি করে। সেই ভাস্কর্য উদ্বোধন করে রজব আলীর স্ত্রী।

রজব আলীর জীবনটা একেবারে সার্থক। স্টুডেন্টদের সাথে রজব আলী আন্দোলনে সামিল হয়ে শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারীর পতন ঘটাতে সক্ষম হয়। স্টুডেন্টরা রজব আলীর আত্মত্যাগের কথা মনে রেখেছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। বেশ ভালো লাগলো পুরো গল্পটা পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।