ইকোপার্ক ভ্রমণ। পর্ব:-১

in আমার বাংলা ব্লগ13 hours ago


কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000042267.jpg



ঘুরতে যেতে আমার সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে, আর শ্বশুর বাড়ির মানুষজন আসলে ঘুরতে যাওয়া একটু বেশি হয়ে থাকে। তেমনি এবারও আমার কাকা শ্বশুর এবং কাকী শাশুড়ি এসেছিলেন কয়েক দিন থেকে একটু ঘোরাঘুরি করতে। এই দুই মানুষের সাথে ঘুরতে গিয়ে অনেক বেশি মজা হয়। কারন আমার কাকা শ্বশুর এবং কাকী শাশুড়ি খুবই মজার মানুষ। তাদের সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। আমি মন খুলে মিশতে পারি তাদের সাথে এবং মন খুলে কথা বলতে পারি কোন ভাবনা চিন্তা না করেই। তারাও আমাকে নিজের সন্তানের মতন সবসময় গাইড করে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল বোঝাতে থাকে। কাকা শ্বশুর এবং শাশুড়ি আসলে আমাকে ছাড়া কখনোই তারা ঘুরতে যায় না। সব সময় ঘোড়ার পরিকল্পনা হলেই আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরতে যায়। কারণ তারাও হয়তো জানে যে আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। আসলে ঘুরতে সবাই অনেক পছন্দ করে। তেমনই এবার যেদিন তারা এসেছিল তার পরের দিনই পরিকল্পনা হলো ইকোপার্কে ঘুরতে যাওয়ার। ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলেই মনটা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তাই আগের দিন রাতে সমস্ত পরিকল্পনা করে নিলাম।

1000035850.jpg


1000035853.jpg


পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লাম কারণ অনেক সকাল বেলায় যেতে হবে। যেন আমরা অনেক সুন্দর ভাবে সময় নিয়ে ভালোভাবে ঘুরতে পারি। সকাল সকাল যেহেতু আমরা বের হব তাই আমার পিসি শাশুড়ি রুটি তরকারি করে দিল সকালে ব্রেকফাস্ট এর জন্য। আমরা খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়লাম একটি গাড়ি বুক করে। গাড়ি যদিও আগের দিন রাতেই বুক করে রেখেছিলাম যেন সকাল সকাল কোন ঝামেলায় পড়তে না হয়। গাড়িতে করে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে রওনা দিলাম প্রায় দু'ঘণ্টার পথ। এসি গাড়ি থাকায় আমাদের খুব একটা বেশি কষ্ট হয়নি, যদিও সেদিন আমাদের ভগবান সঙ্গ দিয়েছিল এবং প্রকৃতিও অনেক ভালবাসা দেখিয়েছিল যে রোদের তাপ অনেক কম ছিল এবং পরিবেশটা অনেকটাই মেঘলা ছিল। ইকো পার্কের সামনে পৌঁছাতেই আমার কাকী শাশুড়ি বলল একবারে চা খেয়ে তারপরে পার্কের মধ্যে ঢুকবে। তাই ইকোপার্কের গেটের উল্টা দিকেই একটা চায়ের দোকানে আমরা চা খাওয়ার জন্য বসে পড়লাম। এখানে পরিবেশটা অনেক সুন্দর, যেহেতু আমরা সকাল সকাল এসেছি তাই অনেকটা শান্ত ছিল।

1000035855.jpg


1000035859.jpg


চারিদিকে পরিবেশটা এতটাই ভালো লাগছিল যে আমরা বেশ কিছুক্ষণ ওই দোকানেই বসে গল্পগুজব করছিলাম এবং চা খাচ্ছিলাম। চারিদিকে শান্ত পরিবেশ রাস্তা দিয়ে দু'চারটে গাড়ি যাচ্ছে এবং একটু দূরে বড় রাস্তা দিয়ে ক্রমশ গাড়ি চলাচল করছে। আর আমরা বসে আছি রাস্তার ধারে বড় বড় গাছের ছায়ায়। এক অসম্ভব সুন্দর অনুভূতি। আমার কাকী শাশুড়ি প্রচন্ড পরিমাণের ছবি তুলতে ভালোবাসেন। তিনি এক জায়গায় বসেই অনেক বেশি ছবি তোলে তাহলে বুঝতেই পারছেন যে বিভিন্ন জায়গায় তার কত বেশি ছবি তোলা হয়ে থাকে। আমাদের এই চায়ের দোকানের সামনেই তার বলতে গেলে ৫০ থেকে ৬০ টি ছবি তোলা হয়ে গেছে। যাই হোক চা খাওয়া হয়ে গেলে আমরা ধীরে ধীরে ঢুকে পড়লাম ইকো পার্কের ভেতরে। ইকো পার্কের ভেতরে ঢুকতেই কাকি শাশুড়ি তাদের জন্য দুটি টুপি কিনে নিল। মাঝে মাঝে একটু রোদ আসছে তাই রোদের মধ্যে তাকানো যাচ্ছে না এবং ছবি খারাপ আসতে পারে সেই জন্য টুপি পরলে রোদটা মুখে পড়বে না এবং ছবি ভালো আসবে। তাই টুপি কিনেই নেওয়ার প্রয়োজন হল। তবে টুপি কিনেও কোন বিশ্রাম নেই সাথে সাথে টুপি পড়েই ছবি তোলা শুরু হয়ে গেল।

1000035863.jpg



টিকিট কাউন্টারের সামনে যে কয়টি মূর্তি ছিল প্রত্যেকটির সামনে এবং চারপাশে থাকা ফাঁকা জায়গায় তার ছবি তোলা মোটামুটি টিকিট কাটতে কাটতেই কমপ্লিট হয়ে গেল। এবার আমরা টিকিট দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। ইকো পার্কে ঢোকার জন্য মূল টিকিট আমাদের কাটা হয়ে গেলেও ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্থাপত্য এবং সেভেন ওয়ান্ডার্স সহ বিভিন্ন জিনিস দেখার জন্য আলাদা করে টিকিট আবার কাটতে হয়। ভেতরে প্রবেশ করতেই সামনে সুন্দর একটি করোনার ভাইরাসের মূর্তি করা রয়েছে। করোনার ভাইরাস দেখেই যেন ভয়ের ভীষণ সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি কথা বলতে আমি এই করোনার ভাইরাসের দিকে একবার তাকিয়ে আর তাকাইনি পাশ কেটে সোজা চলে গেলাম ভেতরের দিকে। আমরা যাব সেভেন ওয়ান্ডার্স দেখতে। তাই ভেতরে গিয়ে আবার সেভেন ওয়ান্ডার্সে প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাটতে হবে। আবার টিকিট কেটে চলে গেলাম সেভেন ওয়ান্ডার্স এর প্রবেশ পথের দিকে। ভেতরে ঢুকে কি দেখলাম বা কেমন মজা করলাম সেটা বলবো পরবর্তী পর্বে।

1000035865.jpg


ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm



আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।