বই পুস্তক হলো জ্ঞানের ভান্ডার।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ বই পুস্তক সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
একজন জ্ঞানী মানুষের কথাবার্তা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে সেই মানুষটা কতটা জ্ঞানী। অর্থাৎ জ্ঞানী লোকেরা সব সময় অন্যের কথা শুনে চলার চেষ্টা করে এবং তারা কখনো অতিরিক্ত কথা বলে না। এই পৃথিবীতে যেসব জ্ঞানী মানুষ ছিলেন তারা কিন্তু তাদের সেই জ্ঞানের কথা বিভিন্ন ধরনের বই-পুস্তকে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। কেননা একটা মানুষ যদি তাদের জ্ঞানগুলো নিজেদের মধ্যে স্বার্থপর এর মতো লুকিয়ে রাখে এবং এর ফলে কিন্তু তারা পরবর্তী প্রজন্মকে তাদের নিজেদের জ্ঞানের কোনো দিক জানাতে পারবে না। আসলে বই-পুস্তকের মধ্যে তাই তারা তাদের সেই জ্ঞানকে লিপিবদ্ধ করে যায় যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের সেই সকল জিনিসগুলো উপলব্ধি করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে।
তাইতো আমাদেরকে জীবনে জ্ঞানী হতে হলে সর্বপ্রথম বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক পড়তে হবে। একটা জিনিস আপনি সবসময় খেয়াল করে দেখেছেন যে আপনি যত বেশি জ্ঞান অর্জন করতে চাইবেন তত বেশি কিন্তু আপনি বই পড়বেন। আর এই পৃথিবীতে যারা জ্ঞান পিপাসু লোক তারা কিন্তু সব সময় বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পুস্তক পড়ে থাকে। আসলে এই সব জ্ঞান পিপাসু লোকগুলোর জ্ঞানভাণ্ডার দিন দিন অনেক বেশি বাড়তে থাকে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক থেকে আলাদা আলাদা ধরনের জ্ঞান সংগ্রহ করে একটা নতুন জ্ঞানের আবিষ্কার করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে। আসলে যারা নিজেদেরকে জ্ঞানী মনে করে না তারা কখনো এসব বই-পুস্তকের মর্ম কখনোই বুঝতে পারবে না।
আসলে ছোটবেলা থেকে যারা প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক পড়ে থাকে তারা কিন্তু জীবনে অনেক বড় হতে পারে এবং প্রতিটা ক্ষেত্রে তারা সবসময় জয়ী হতে পারে। একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে আমরা যদি শুধুমাত্র নিজেদের ভালো রেজাল্ট করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বই-পুস্তক পড়ে থাকি তাহলে কিন্তু সেখানে আমাদের জ্ঞান অনেকটা সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নিজেদের জ্ঞানকে আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের বই পুস্তক পড়তে হবে। আর এভাবে আমরা কখনো আমাদের সেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে নিজেদের জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ কখনোই রাখতে চেষ্টা করব না। আর এভাবে কিন্তু অবশ্যই আমরা নিজেদের জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
একজন জ্ঞানী মানুষের চিন্তাভাবনা এবং একজন মূর্খ মানুষের চিন্তা ভাবনার মধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য খুঁজে পাই। কেননা এই দুই ধরনের মানুষকে যদি আপনি কোন একটি কাজ দিয়ে থাকেন তখন তাদের কাজের পার্থক্য দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ব্যক্তিটা জ্ঞানী এবং কোন ব্যক্তিটা মূর্খ। এজন্য একটা বিষয় সম্পর্কে আমাদের সব সময় ধারণা নিতে হবে যে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে গেলে আমরা নিজেদের জ্ঞানকে প্রতিনিয়ত জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করব। এভাবে যদি আমরা আমাদের জ্ঞানকে বাড়িয়ে নিতে পারি তাহলে কিন্তু অবশ্যই আমরা জীবনে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবো এবং আমাদের এই জ্ঞানগুলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে দিয়ে যেতে পারবো।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
বইয়ের কোন বিকল্প নেই। কিছুদিন আগে থেকেই বিষয়ে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম বই পড়তে ইচ্ছুক নয়। এটি দেখলে খুব কষ্ট লাগে। এত বই এবং তার এত লেখক, কিন্তু বিক্রি ধীরে ধীরে ক্রম হ্রাসমান৷ নতুন প্রজন্মকে বইতে আকৃষ্ট না করতে পারলে সবকিছু ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাবে।
বই এর সমার্থক শব্দ হল পুস্তক। বই পুস্তক মানে কি বুঝিনি। আমার মনে হয় আপনি বই পড়াই বোঝাতে চেয়েছেন।
যাইহোক প্রতিবেদনটা খুবই ভালো লাগল। বই পড়া দরকার। বই পড়া শুধু জ্ঞান বৃদ্ধি করে এমন না৷ ব্রেনের এক্সারসাইজও করায়৷ যা জ্ঞান বৃদ্ধি ও ধৈর্য্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ খুব ভালো লিখেছেন।