দুর্গাপূজা। পর্ব:- ০৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ দুর্গাপূজার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।


1000011899.jpg

1000011900.jpg


আবারো আমি দূর্গা পূজার বাকি অন্যান্য অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য পুনরায় পর্বগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেহেতু কিছুদিন আগে আমি পূজার কনটেস্টের অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং আপনারা দেখতে পেয়েছেন যে বিভিন্ন পূজার প্যান্ডেলের ছবি। যেহেতু কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার সময় কিছু কিছু ছবি আমি সেই কনটেস্টে আপলোড করেছিলাম। আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে রয়ে গিয়েছিল। তাই আমি পর্যায়ক্রমে এই থেকে যাওয়া ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করতেছি। আপনারা এবারের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে মানুষের কি রকম ভিড় ছিল। অর্থাৎ এই ভিড়ের রাস্তা এগিয়ে আমাদের পুরো পূজার প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকতে প্রায় এক ঘন্টার উপরে সময় কেটে গিয়েছিল। আর কি করবো ভাবতে না পেরে আমি বুদ্ধি করে প্যান্ডেলে ঢোকার আগে এক প্যাকেট বাদাম কিনে নিয়েছিলাম।


1000011901.jpg

1000011902.jpg

1000011904.jpg


যেহেতু আমাকে এই প্যান্ডেলে অনেকটা সময়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাদাম খাচ্ছিলাম এবং বিভিন্ন ধরনের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আসলে এখানে পর্যবেক্ষণ বলতে এটি বুঝিয়েছি যে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পোশাক পড়ে এসেছে তাই তাদেরকে ভালোভাবে দেখছিলাম কোথায় কোন ভুল ত্রুটি আছে কিনা। আসলে কাজ না থাকলে তো খই ভাজতেই হবে। আর কিছুক্ষণ পর পর একটু সামনে যখন ফাঁকা হচ্ছিল তখন আমরা হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে এই একটা প্যান্ডেলের জন্য পুরো এই এলাকা জুড়ে এত মানুষের ভিড় দেখেই আমাদের অবাক হয়ে যাচ্ছিল। এজন্য আমি সব সময় চেষ্টা করেছি যাতে করে এই প্যান্ডেলের বাইরের দিকের বিভিন্ন সাইড থেকে ছবি তোলার জন্য।


1000011908.jpg

1000011909.jpg

b28ce43a-6aae-4d4e-89ee-aca4b874467d-1_all_1808.jpg


আসলে আপনাদের কাছে হয়তোবা অনেকটা বোরিং মনে হচ্ছে কারণ এই একই ছবি বারবার আমি আপলোড করছি। আমি যেহেতু বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে একই ধরনের ছবি তুলছিলাম তাই আপনারা ছবির পার্থক্য বুঝতে পারবেন যে কোথায় কোন ধরনের কিভাবে আমি ছবি আপলোড দিয়েছি। আসলে প্রথম প্যান্ডেল টাই আমরা সব থেকে বড় বেছে নিয়েছিলাম। কেননা আমাদের আজকের দেখার প্রধান উদ্দেশ্য হল এই প্যান্ডেল। কারণ এই প্যান্ডেলের মত বড় প্যান্ডেল সচরাচর অন্য কোথাও আর হয়নি। তাইতো প্রায় বহুদূর থেকে লোকজন এসে এই প্যান্ডেল দেখার জন্য ভিড় করেছিল। আর একটা সমস্যার বিষয় হল যেসব পুলিশকর্মীরা অর্থাৎ কিছু কিছু পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার হয়েছিল যারা খুব শৃংখল ভাবে এই লাইনটি সোজা রাখছিলেন।


1000011912.jpg

1000011913.jpg

1000011911.jpg


কিন্তু তাদের মুখে যে বাঁশি ছিল তারা খুব জোরে জোরে সেই বাঁশি গুলো মানুষের কানের কাছে বাজাচ্ছিল। এতে করে অনেক মানুষকে আমি একটু অসস্তিতে পড়তে দেখেছিলাম। শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রে না আমি নিজেও অস্বস্তিতে ভুগছিলাম। আপনি একটা জিনিস চিন্তা করে দেখেন যে আপনি অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনার পাশে ওইসব সিভিক ভলেন্টিয়ার জোরে জোরে বাঁশি বাজাচ্ছে তাহলে আপনার অনুভূতিটা কেমন হবে। যাইহোক পুজো তোমাদের দেখতে হবে তাই চুপচাপ করে আমরা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম এবং যেখানে বাঁশির শব্দ জোরে হচ্ছিল সেখানে আমরা দু আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছিলাম।

ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola

ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro

ক্যামেরা লেংথ : 5.89 mm



আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।



সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।



11-20-04-359_512.gif

ধন্যবাদ সবাইকে।

2XmsB3ZF6jJG7218A8ghgBmbB3W4Hm94fHM8vdisDLD4EuDS1mKCnUwr2WPdiRhWod2Rf2CCtBiK8N3pspzqnCWafFzVigrzmtsxCskMPdzGxv6X2qA4C6XCzVtoT7DrPdhaLQmVXDtTsoDBnDnkqY1H7mbiRmNAo6VRbcH65Ky8sUcB6iD2CGuEkfhUpCrHvemi76oe4F.gif

IMG_20210107_075142 (2).jpg

আমার নাম নিলয় মজুমদার। আমি একজন কম্পিউটার সাইন্সের ছাত্র। আমার মাতৃভাষা হলো বাংলা। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি। আমি একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জিনিস তৈরী করতে আমি খুব ভালোবাসি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে।

Sort:  
 2 days ago 

দাদা আজ আপনি অনেক সুন্দর করে দুর্গাপূজার তৃতীয় পর্বটি শেয়ার করেছেন। এই পর্বটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে সম্পূর্ণভাবে পড়ে। পুজোর প্যান্ডেলের অনেক সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন আপনি। এত সুন্দর করে এটা সাজানো হয়েছে দেখে মুগ্ধ হলাম। লাইটিং গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

 yesterday 

সত্যি বলতে ঐরকম অবস্থায় আমি থাকলে প্রচণ্ড রেগে যেতাম হয়তো। প্রথম অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর আবার তাদের ঐ বিরক্তিকর বাঁশির আওয়াজ কোন মানে হয় না হা হা। চমৎকার লাগল আপনার এই প‍্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো। বাইরে থেকে দেখতে বেশ লাগছে।