পুরান চাল ভাতে বাড়ে নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
পুরান চাল ভাতে বাড়ে নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | পুরান চাল ভাতে বাড়ে |
---|---|
পরিচালক | মাইদুল রাকিব |
অভিনয় | মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০২ অক্টোবর ২০২৪ |
আজকে খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম৷ প্রথমেই নাটকটি শুরু হয় এবং এখানে নায়িকাকে দেখানো হয়৷ সে তার হাসবেন্ডকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি আসছিল। সে যখন তার বাবার বাড়ি আসছিল তখন সেখানে সবাই তাদেরকে দেখার জন্য অনেক অপেক্ষায় ছিল৷ কারণ নায়িকা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে৷ সে এতদিন যাবত বাসায় আসেনি৷ সে এতদিন যাবত বাসা থেকে অনেক দূরে ছিল৷ এখন যেহেতু সে আবারও বাসায় ফিরে আসছে তাই সকলেই তার অপেক্ষায় তাদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল৷ এর পরবর্তীতে যখন নায়িকা তার স্বামীকে নিয়ে সেখানে তাদের সামনে আসে৷ তখন তারা জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে তার স্বামী কোথায়৷ তার স্বামী আসে নি কেন৷ তখন নায়িকা বলে যে তার পাশে যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে সে ব্যক্তি হলো তার স্বামী৷ তখন সেখানে কেউই তার কথা বিশ্বাস করতে পারেনি৷ তখন নায়িকা সবকিছু খুলে বলে৷ এর পরবর্তীতে সেখানে নায়িকাকে অনেক ধরনের কথাবার্তা জিজ্ঞাসা কর করা হয়৷ এর পরবর্তীতে সে সব কিছুর উত্তর দেয় এবং বাসার ভিতরে চলে যায়৷ একইসাথে তারা সবাই মিলে সেখানে তাকে বলতে থাকে যে তার বয়স একটু বেশি হয়ে গেল না৷ এরকম কিছু কথাও তাকে বলতে থাকে৷ তবে সে হাসিমুখে সেগুলোর উত্তর দেয়৷
তবে এক্ষেত্রে নায়কের বয়স নায়িকা দেখে না। নায়িকা শুধুমাত্র দেখেছে যে তার আসলে যোগ্যতা কি রয়েছে৷ সে কি কি বিষয় সম্পর্কে জানে৷ সব কিছুই নায়ক যখন দেখে তখনই সে নায়িকাকে ভালোবাসে৷ তাকে বিয়ে করে ফেলে৷ এর পরবর্তীতে নায়ক তার সেই গুণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করতে থাকে৷ একদিন যখন তার শাশুড়ির গলার চেইন পানির মধ্যে পড়ে গিয়েছিল তখন কেউই সেটি বুঝতে পাচ্ছিল না৷ ডুবুরিরাও হাল ছেড়ে দিয়েছিল যে আর কখনো সেই চেইন পাওয়া যাবে না৷ এর পরবর্তীতে নায়ক জিজ্ঞাসা করে যে কোথায় পড়েছে কিভাবে পড়েছে৷ অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে সে বুঝতে পারে যে কোন জায়গায় তার চেইন পড়ে গিয়েছে৷ তখন সে অনুযায়ী সেখান থেকে সেই চেইন সে উদ্ধার করে৷ এর পরবর্তীতে নায়ক আরো ছোট ছোট যে সকল কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো করতে থাকে। সে এমন কিছু কাজ করে ফেলে যেগুলো অন্য কেউই পারেনা। সে কিন্তু ঠিক মতই পারে এবং তার এই বয়সেও সে সবকিছু পারে তা দেখে সবাই অনেকটাই মুগ্ধ হয়।
এর পরবর্তীতে যখন সে সবকিছু এভাবে করে যেতে থাকে এবং অনেকটা সবার কাছেই ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হতে থাকে তখন নায়িকা অনেক খুশি হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে নায়িকার বাবা এবং মা তাদেরকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলছিল। কারণ তার মত এত সুন্দরী এবং শিক্ষিত একজন মেয়ে কিভাবে এরকম একটি লোককে বিয়ে করতে পারল। তার এখনও বিয়ে করার সময় রয়েছে। সে যেন ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়৷ এরকম অনেক ধরনের কথাবার্তা বলার পরে নায়িকা রাগান্বিত হয়ে যায়। সে বলে যে সে আর এই বাসায় থাকবে না। এই বাসা থেকে চলে যাবে৷ তবে নায়ক বলে যে সমস্যা নেই৷ তার এই কথাগুলো অপমান হিসেবে নেওয়া উচিত নয়৷ সে এগুলো ভালো হিসেবে দেখছে৷ তবে অনেক দিন যাবত যাওয়ার পরে যখন নায়িকার বাবার অনেকটা বড় ধরনের অসুখ ধরা পরা যায় এবং তিনি আর বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে তখন নায়ক বলে যে তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ সে তার শ্বশুরকে দিয়ে দিবে৷ এর মধ্য দিয়ে যদি তিনি ভালো থাকতে পারেন তাহলে সেটি তার জন্য অনেক ভালো। এর পরবর্তীতে তারা সবাই তাকে খুব ভালোভাবে মেনে নেয় এবং এভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়। নায়ক এবং নায়কের সম্পর্ক অনেক ভালোভাবে গঠিত হয়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক এটি এবং নাটকের মধ্যে যেভাবে এত সুন্দর কিছু বিষয়কে শেয়ার করা হয়েছে সেটি একেবারে চমৎকার ছিল৷ আর এক্ষেত্রে প্রথমে যদি আমরা নাটকের নাম দেখি তাহলে বুঝতে পারবো যে নাটকের মধ্যে আসলে কি বিষয় সম্পর্কে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে৷ আর এক্ষেত্রে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দরভাবে সবকিছু শেয়ার করা হয়েছে৷ আর এক্ষেত্রে যখন নায়কের বয়স না দেখে নায়িকা তাকে বিয়ে করেছিল তার গুণ গুলো দেখে, তখন সবাই এই বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেনি । তাকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ তবে নায়িকা কোন ভাবে কথাগুলো তার কানে নেয়নি। নায়ক তার যে গুণগুলো রয়েছে সেগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করতে থাকে৷ সেগুলো প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে সকলে তাকে বুঝতে পারে এবং সেখানে তাকে যেভাবে সবকিছু আগে অপমান করা হয়েছিল এখন আর কোন ভাবে তাকে অপমান করা হয় না৷ এর পরবর্তীতে যখন তার শ্বশুরের অসুস্থতা ধরা পড়ে তখন নায়ক তার নিজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ দেওয়ার জন্য বলে৷ তবে এই বিষয়টি দেখেই সবাই বুঝতে পারে৷ এর পরবর্তীতে নায়ক এবং নায়িকার সম্পর্ক আরো অনেক শক্ত হয়ে যায়৷ আসলে আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাই৷ কিছু কিছু মানুষের গুণ দেখে আমরা তাদেরকে ভালোবেসে ফেলি। আর সে ক্ষেত্রে অন্য কোন কিছুই আমরা দেখার প্রয়োজন মনে করি না।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যখনই সময় পাই তখনই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। আজকে আপনি দারুন একটা নাটকের রিভিউ নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। পুরো কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পড়লাম আজকে। আমি সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। তবে ব্যস্ততার জন্য খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আজ আপনি যে নাটকের রিভিউ টা নিয়ে আমাদের সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন, এটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। নাটকের কাহিনী ভালো লেগেছে আমার কাছে।
1 | https://x.com/Nevlu123/status/1936258362599223557
2 | https://x.com/Nevlu123/status/1936258623099060257
ভাইয়া আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।মোশাররফ করিমের নাটক আমি মাঝে মধ্যেই দেখে থাকি।তার প্রতিটা নাটকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন থাকে।যাইহোক এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি তবে সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।