চাপাবাজ আত্মীয় নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
চাপাবাজ আত্মীয় নাটকের রিভিউ। |
---|
আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই নাটকের গল্পটি নিজের মত করে রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | চাপাবাজ আত্মীয় |
---|---|
পরিচালক | রুবেল হাসান |
অভিনয় | অপুর্ব, মেহেজাবিন সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১০ আগষ্ট ২০২৪ |
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
আজকে নাটকের নাম শুনে বুঝে গিয়েছেন যে নাটকটি কেমন হতে চলেছে৷ আমিও যখন ইউটিউবে প্রথমে নাটকের নাম দেখতে পাই তখনই ভেবেছিলাম যে নাটকটি ঠিক এরকমই হবে৷ আসলে এরকমই হয়েছিল৷ প্রথমে নায়ককে দেখানো হয়। সে একটি রাস্তার পাশের চা দোকানে চা খাচ্ছিল এবং তাকে যখন তার একজন আত্মীয় কল দিয়েছিল তার বাসায় আসার জন্য তখন সে বলছিল যে সে কফি শপে আছে এবং সে কফি খাচ্ছে।
তখন সেখানে আশেপাশের যেসকল লোকজনরা ছিল তারা তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল৷ বলছিল যে এরকম চাপাবাজ লোকদের কারণে এখন পুরো দেশের একেবারে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে৷ রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে তবে বলছে যে কফি শপে কফি খাচ্ছে৷ এরকম অনেক ধরনের কথা তাকে মানুষ বলছিল৷
এরপর যখন নায়কের সাথে তার একজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে যায় তখন সেখানে সে তার বন্ধুকেও বলে যে সে এখন অনেক বড় একটা কাজে মিটিংয়ে যাবে৷ এখন তাকে যেন ছেড়ে দেয়৷ সে এখান থেকে চলে যাবে৷ এরপর সে সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর সে নায়িকার সাথে এসে কথা বলে এবং সে বলে যে তার ফুফু তাদের বাসায় বেড়াতে আসবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
তখন নায়ক ভাবছিল যে সে কি করবে৷ তারা তো শুধুমাত্র চাপা মেরেছে এবং তার ফুফু তো সবকিছুই বিশ্বাস করে নিয়েছে৷ সে এখন এই বাসায় বেড়াতে আসেছে৷ যদি দেখে দে তারা এরকম ছোটখাটো একটি বাসায় থাকছে তখন তাদের ফুফু তাদেরকে কি বলবে৷ তখন নায়িকা নায়ককে বুদ্ধি দেয় এবং বলে যে সে যেন একটি নতুন বাসার ব্যবস্থা করে৷
সেখানে যেন তারা উঠে৷ যদি তারা সেখানে উঠে যায় এবং তার ফুফু তাদেরকে এত বড় একটি ভাষায় দেখে তাহলে তারা তাদের যে কাজ রয়েছে সেটি সম্পন্ন করে ফেলতে পারবে। কোনভাবেই তাদের ফুফু তাদেরকে কিছু বলতে পারবে না৷ এরপর নায়ক একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে৷ সেই গাড়ির মালিককে সে অনেক রিকুয়েস্ট করতে থাকে যাতে করে সে তাদের ড্রাইভার হিসেবে অভিনয় করে৷ এরকম বিভিন্ন ধরনের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল সে ওই ড্রাইভারকে করতে থাকে৷
এর পরবর্তীতে নায়ক এবং নায়িকা তাদের ফুফুকে নিয়ে যখন আসছিল তখন তাদের ফুফু বলছিল যে সে এত দূর রাস্তা অতিক্রম করে এসেছে এখন সে নাস্তা করবে৷ তখন নাস্তা করার জন্য তাদেরকে একটি রেস্টুরেন্টের নামানো হয়৷ সেই রেস্টুরেন্টে যখন নায়িকা এবং তার ফুফু খাবার খাচ্ছিল তখন সেখানকার খাবারের দাম দেখে তারা একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিল৷ কি করবে কিছু বুঝতে পারছিল না৷ তাই নায়ক বাইরে অবস্থান করছিল৷ সে সেখানে না এসে নায়িকা এবং নায়িকার ফুফুকে খেতে বলে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া।
এর পরবর্তীতে তারা বাসায় চলে আসে এবং বাসায় আসার পরে তারা বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল৷ তারা দুজনে তাদের ফুফুকে অনেক ধরনের চাপাবাজি করছিল। যা সত্য তা বলছিল, যা মিথ্যা তাও বলছিল। যে সকল কথাগুলো তাদের সাথে কোনদিন যেত না সে কথাগুলো তারা বলছিল৷ এরপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলছিল। নায়ক এবং নায়িকা যে বাসায় অবস্থান করছিল অর্থাৎ যে বড় বাসাটিতে তারা ছিল সে বাসার মূল মালিক কয়েক মাস পরে আসার কথা৷ তবে সে মালিক এখনই চলে আসছে।
কারণ তার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সে তার বাসায় চলে আসে। সে যখন বাসায় আসে তখন সেখানে সকল সত্য বেরিয়ে আসে। বাসার আসল মালিক যখন সেখানে এসে দেখতে পায় যে এখানে তার বাসার মধ্যে অন্য কেউ অবস্থান করছে এবং সেখানে যখন নায়কের ফুফুকে সে দেখতে পায় তখন তারা দুজন দুজনকে আগে থেকেই চিনত। তারা দুজনে অনেক ভালো বন্ধু ছিল। এরপর তারা বলতে থাকে৷ বলে যে তারা দুজনে এখানে মিথ্যা কথা বলে কেন রয়েছে।
তারা অতিরিক্ত চাপাবাজ। এর পরবর্তীতে তারা দুজনে নায়ক এবং নায়িকাকে বোঝাতে থাকে এবং তাদেরকে ওয়াদা করাতে থাকে যাতে করে তারা আর কখনো এভাবে চাপাবাজ বাজি না করে। তারা যেন সবকিছুই সত্য বলে৷ তাদের যা আছে সব কিছুই নিয়ে যেন তারা থাকে৷ তবে নায়িকা ও নায়ক কোনভাবে তা করতে রাজি ছিল না। তাই তারা নিজেদেরকে একটু গুছিয়ে নিয়ে সেই প্রতিজ্ঞা করে৷ কিন্তু পরবর্তীতে তারা আবারও সেই কাজগুলোর সাথে সম্পৃক্ত ছিল এবং এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ নাটকের নামের সাথে নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনার একেবারে ভালোভাবে মিল রয়েছে৷ প্রথমে যখন নায়ক বিভিন্ন জায়গায় যেত এবং সে ছোটখাটো চায়ের দোকানে চা খেত তখন সেখানে সে বলত যে সেই কফি শপে কফি খাচ্ছে৷ সে অনেক বড় বড় চাপাবাজি করতো৷ সবসময় সে এরকম চাপাবাজীর সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তার সাথে নায়িকাও চাপাবাজী করত৷ নায়কের থেকে আরও বড় চাপাবাজ ছিল নায়িকা।
নায়িকা অনেক ধরনের কথা মানুষদেরকে বলতো৷ সে অনেক বড় বাসায় থাকে, সে অনেক টাকার মালিক৷ এরকম বিভিন্ন ধরনের চাপাবাজি সে করতে থাকে৷ এরপর একদিন যখন নায়কের ফুফু তাদের বাসায় আসবে বলেছিল তখন তারা কি করবে কিছু বুঝতে পারছিল না৷ তাই যাতে করে বড় একটি বাসায় তারা শিফট হয়ে যায় এবং কিছুদিনের জন্য তারা সেই বাসায় যেন থাকে। এর পরবর্তীতে সেখানে নায়ক এবং নায়িকার ফুফুকে সেখানে নিয়ে যায়৷ তারা বিভিন্ন ধরনের চাপাবাজি করতে থাকে৷
এর পরবর্তীতে তারা যে বাসায় উঠেছিল সে বাসার মূল মালিক চলে আসে৷ সে বাসার মূল মালিক তার ফুফুর বন্ধু ছিল৷ তারা দুজনে সবকিছু বুঝে ফেলে৷ তারা নায়ককে এবং নায়িকাকে বুঝাতে থাকে৷ যাতে করে তারা আর চাপাবাজি না করে৷ তবে তারা কোনভাবেই এই বিষয়টি মানে না৷ তারা চাপাবাজী ছাড়া থাকতে পারে না৷ আসলে আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা এরকম অনেক ঘটনাই দেখতে পাই৷
কিছু মানুষরা সবসময় চাপাবাজির সাথে লিপ্ত থাকে৷ তারা কোনভাবেই এই চাপাবাজি থেকে বের হয়ে আসতে পারে না৷ সব সময় তারা এরকম বিভিন্ন ধরনের চাপাবাজি করতে থাকে৷ যদি তাদেরকে এই চাপাবাজি থেকে বের হয়ে আসার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয় তারা সেই পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে না। তারা নিজের মতো করে সব সময় চাপাবাজির সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৯/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1880075083169083557
চাপাবাজ আত্মীয় এই নাটকটা সত্যি খুব সুন্দর ছিল। আর আমার কাছে নাটকটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমি বেশ কয়েকদিন আগে এই নাটকটা দেখেছিলাম। নায়ক নায়িকা দুজনেই অনেক চাপাবাজ ছিল। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। এটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
নাটকের টপিক্সটা বেশ সুন্দর। আমাদের আশেপাশে চাপাবাজ মানুষের কোন অভাব নেই। এত সুন্দর একটি নাটক আপনি দেখলেন। সেই নাটক রিভিউ শেয়ার করলেন। নাটক রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর নাটক রিভিউ শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে আজকের এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়তে। নাটকের রিভিউ আমার অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যেই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। তবে সময়ের কারণে এখন আর খুব একটা নাটক দেখতে পারিনা। কিন্তু আমি যখনই নাটক দেখি তখনই শিক্ষনীয় নাটকগুলো দেখার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ টা উপস্থাপন করেছেন। এত সময় নিয়ে নাটক না দেখে আমি মনে করি রিভিউ পড়ে নিলেই ভালো। এটার মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাহিনী অল্প সময়ের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়।
আপনি চাপাবাজ আত্মীয় নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হলো যে নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর এবং আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রিভিউ করেছেন। আসলে নাটক রিভিউ পড়লে আর নাটক দেখার প্রয়োজন হয় না। ধন্যবাদ
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দারুন একটি নাটক রিভিউ দেখেছেন। নাটক আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমিও নাটক রিভিউ করতে অনেক অনেক পছন্দ করে থাকি। খুব ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই নাটক রিভিউটা।
এই নাটকটি আমার দেখা হয়েছে। এবং আসলেই চাপাবাজিও কিছু কিছু মানুষের এমন অভ্যেসে পরিণত হয়ে যায় যে তারা সেটা ছাডতে পারে না। তেমন ই হয়েছে এই নায়ক-নায়িকার ক্ষেত্রে। অথচ এমন চাপাবাজি ধরা পরেই যায় একদিন না একদিন। বর্তমানে এমন চাপাবাজির উপর ই অনেক মানুষ ই চলে!
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।তবে অপূর্বর নাটক আমি খুবই কম দেখি।আপনার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সময় করে নাটকটি দেখে নিবো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।