আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
সবাইকে স্বাগতম আমার নতুন পোষ্টে,আবার ও হাজির হলাম আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। |

প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হতে চেষ্টা করছি। আর সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে এলাম। আজকের পোস্টে আপনারা দেখতে পাবেন একটি মজাদার পকোড়ার রেসিপি। যদিও রেসিপিটি অনেকদিন আগের করা। কিন্তু সময় করে করা হয়ে ওঠেনি। প্রথমতই রেসিপির পেছনের কাহিনীটা বলি। আমাদের ঘরের পাশেই একটা ছোট জায়গায় কিছু পালং শাক আর ধনেপাতা ছিল। আর সে হিসেবে পালং শাকগুলো দিয়ে কি করা যায় ভাবতে ভাবতে পকোড়ার কথা মনে পড়ল। কারণ শাক দিয়ে তো পকোড়া খাওয়া হয়েছে। লাউয়ের শাক বা পুঁইশাক দিয়ে অনেকবার পকোড়া খেয়েছি কিন্তু পালংশাকের পকোড়া খুব বেশি একটা খাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম ধনেপাতাও যেহেতু অনেকগুলো রয়েছে আর পালংশাকও রয়েছে। সেই হিসেবে ধনেপাতা আর পালং শাকের সাথে আলু দিয়ে পকোড়া তৈরি করা যাক। যদিও এই উদ্যোগটি একদম ব্যক্তিগতভাবে আমি নিয়েছিলাম। প্রতিবারের মতো ইউনিক কিছু করতে খুব বেশি ভালো লাগে। সে জন্যই এটিও ইউনিক তৈরি করার চেষ্টা আর কি। যাই হোক মোটামুটি গিন্নির সহায়তায় আমি এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। যদিও তেলের মধ্যে দেয়ার ব্যাপারটায় আমি আর এগোই নি। কারণ এই জিনিসটা আমার খুব ভয় লাগে, কখন যে গায়ের উপর তেল ছিটকে পড়ে। যাইহোক আপনাদের সাথে রেসিপিটি ভাগ করে নিতে পারলে ভালই লাগবে।
পালং শাক আর ধনে পাতার পকোড়া। |

রেসিপিটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ |
উপকরণ | পরিমাণ |
পালং শাক | পরিমাণ মত |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
পেঁয়াজ | ১ টি |
কাঁচামরিচ | ৫-৬টি |
ডিম | ১টি |
লবণ | পরিমাণ মত |
কালোজিরা | আধা চা চামচ |
আটা,চালের গুড়ো | আধা কাপ |
হলুদ গুড়ো | আধা চা চামচ |
মরিচগুড়ো | আধা চা চামচ |
গরম মসলা গুড়ো | ১ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | ভাজার জন্য |

প্রথম ধাপে পালং শাক আর ধনেপাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে।

এইধাপে প্রথমত আলু এবং পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।তারপর কুচিকুচি করে কেটে নিয়ে, তার পাশাপাশি কাঁচা মরিচ কেটে নিতে হবে।
আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ হাত দিয়ে ভালোভাবে কচলে নিতে হবে। তারপর এর মধ্যে যাবতীয় মসলা গুলো দিয়ে দিতে হবে। একটি ডিম ভেঙে আবারও ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
এই ধাপে ধনেপাতা আর পালং শাক কুচি সে মাখার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। তারপর আবার একবার মেখে সামান্য পরিমাণ চালের গুঁড়ো এবং আটা মিক্স করতে হবে।আধা চামচ পরিমান কালো জিরে দিতে হবে। এখন সবকিছু আবার ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
সবগুলো উপকরণ মিক্স করার পরে একটি ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পকোড়ার শেপে ব্যাটার দিয়ে দিতে হবে। তারপর মাঝারি ফ্লেমে এগুলোকে ভেজে নিতে হবে। দুইপাশ ভালোভাবে ভেজে নিয়ে তুলে নিতে হবে।
এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার আর স্বাস্থ্যকর পাকোড়া রেসিপি। টমেটো সস এবং ধনেপাতা দিয়ে পরিবেশন করে নিলাম।



খুবই ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
তাহলে একদিন বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আশা করি সুস্বাদু হবে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
পালং শাক আর ধনেপাতার পকোড়া, আহ কি স্বাদ। ভাইয়া আমার মনের মতো একটি রেসিপি দিলেন। কয়েকদিন যাবৎ আমিও চিন্তা করতেছি যে পালং শাক দিয়ে কোন একটি রেসিপি বানাবো ।তবে মনের মধ্যে সবসময় পাকোড়ার কথাটাই এসেছিল। বাসায় এসে দেখলাম আপনি পালং শাক দিয়ে পাকোড়া বানিয়ে রেসিপি দিয়ে দিয়েছেন। আপনার মনের সাথে আমার মনের খুব মিল দেখলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাই শত হলেও বিরিয়ানি লাভার বলে কথা মিল তো থাকবেই। চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/Nevlu123/status/1630610627420114944?s=20
পালং শাক ডাল দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে পালং শাক আর ধনিয়া পাতার পকোড়া তৈরি করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশি দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি আসলেই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। খুব চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ইউনিক বলতে একদম সেরা ইউনিক হয়েছে ভাইয়া রেসিপিটি। মাঝে মাঝে এমনই ইউনিক রেসিপি তৈরি করার আগে একটু আমাদের কথা চিন্তা করলে ভালো হয়। পালং শাক আলু এবং ধনেপাতা দিয়ে বেশ মজার করে পাকোড়া তৈরি করেছেন দেখে অনেক মজার হয়েছে মনে হচ্ছে। তবে যারা প্রথম রান্নাবান্না করেন তারা তেলের কাছে গেলেই ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা আছে। গিন্নির সহায়তা ছাড়া কি রেসিপি তৈরি করা সম্ভব কখনো না।
আপনার মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। যথাযথ একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন আর মন্তব্য করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
আমি পুঁইশাক আর কলমি শাকের পাকোড়া খেয়েছি কিন্তু পালং শাকের পাকোড়া কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পাকোড়া দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আমার কাছেও শাক দিয়ে পাকোড়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। মাঝে মাঝে আমিও তৈরি করার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদানের জন্য ভালো থাকবেন আপু।
বাহিরে যেসব ভাজি গুলো পাওয়া যায় সেসব ভাজি গুলোর থেকে বাড়িতে এভাবে ভাজি করে খাওয়াটা অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আপনি খুব সুন্দর করে পালন শাক আর ধনে পাতার পাকোড়া তৈরি করেছেন। এ ধরনের পাকড়াগুলো তৈরি করে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে পাকড়া তৈরির পদ্ধতিটা আমাদেরকে দেখিয়েছেন। খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমিও সেটাই মনে করি বাহিরে যেসব ভাজি গুলো পাওয়া যায় সেসব ভাজি গুলোর থেকে বাড়িতে এভাবে ভাজি করে খাওয়াটা অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় পাকোড়া রেসিপি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে আর এই পাকোড়া রেসিপি যদি ধনেপাতা এবং পালং শাক হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার রেসিপি শেয়ার করে যান আজকের এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি পাকোড়া রেসিপি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।খুব চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
পালং শাক আর ধনেপাতার পকোড়া রেসিপি দেখে খুবি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।মজাদার এই রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
তাহলে ভাই একদিন চলে আসুন অবশ্যই বানিয়ে খাওয়াবো ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।