বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গিয়ে বিড়ম্বনা।পর্ব-০২
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গিয়ে বিড়ম্বনা।পর্ব-০২ |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।আসলে বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গিয়ে যে বিড়ম্বনার শিকার হলাম ভাবলাম তার কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।আমরা সব সময় নিজেদের ভালো লাগা মন্দলাগা আমার বাংলা ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করি, তাইতো আপনাদের মাঝে চলে এলাম। যাই হোক চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আমরা দুজন সেখানে নিজেদের বাইক নিয়ে গেলাম কারণ এক্সাম নিলে নিজেদের বাইক দিয়ে দেওয়াই ভালো।অন্যথায় যারা নিজেদের বাইক নেয়নি তারা ঐখানে তাদের যে বাইক রয়েছে সেটা দিয়ে এক্সাম দিবে তাদেরকে আবার টাকা পে করতে হবে। যাইহোক বাইক এক জায়গায় পার্কিং করে রেখে দিলাম এবং আমরা সিরিয়ালে লাইন ধরে দাঁড়াতে লাগলাম। লাইনটা মোটামুটি ভবনের বাইরে অনেক দূর চলে গিয়েছে।
নতুন পর্বের শুরু।👇
অনেক বেশি ঘন কুয়াশা পড়তে ছিল, শীতও প্রচুর ছিল। এই অবস্থায় আমরা সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।আর ওই মুহূর্তে যে লোকটার সাথে আমাদের কন্ট্রাক্ট হয় সে লিখিত পরীক্ষায় কি কি আসতে পারে এরকম চারটি পেজের ফটো উঠিয়ে পাঠালো। তখন এটা দেখে মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল, যে লোকটা এতদিন এগুলো পাঠাতে পারেনি এখন পাঠাচ্ছে।
এই তিন মাস পর্যন্ত এগুলো পাঠায়নি এখন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি এই অবস্থার উপরে আমাদেরকে এগুলো পাঠিয়েছে। এখন কি লাইনে দাঁড়িয়ে টেনশন করবো, নাকি এগুলো পড়বো।যাইহোক কি আর করার মোবাইলের মধ্যে এগুলো পড়তে লাগলাম আর লাইন এগোচ্ছে কিনা সে দিকে তাকাতে লাগলাম। একটা লোক ও ভিতরের দিকে এগোচ্ছে না তার মানে বুঝতে পারলাম ভিতরে এখনো কোন কার্যক্রম চালু হয়নি।
অথচ এভাবে মানুষকে লাইন ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে ,ভিতরেও ঢুকতে দিচ্ছে না । যাক কিছুক্ষণ পরে অনুমতি পেলাম ভিতরে ঢোকার তখন ধীরে ধীরে সবাই ঢুকতে লাগলো আমরা প্রথমে নিচ থেকে দোতালায় উঠে গেলাম। যেখানে বায়োমেট্রিকের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি উঠাবে। তখন আমরা সেখানে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে গেলাম। নিচে প্রায় দেড় ঘন্টার মত দাঁড়িয়ে থাকার পরে উপরে গিয়ে আরো দেড় ঘন্টা দাঁড়াতে হলো।
কারণ যারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিচ্ছে এবং ফটো উঠাচ্ছে তারা খুবই স্লো কাজ করছে। আর এদিক থেকে আমরা তো বোরিং ফিল করতে ছিলাম, যদিও পাশে আবার একটি মাঠ রয়েছে সেখানে অনেকে খেলাধুলা করতেছিল সেটা কিছুক্ষণ উপভোগ করলাম। তবে আর কত ভালো লাগে বলুন, এরপরে বিরক্ত চলে আসলো। কিছুক্ষণ পর পর লাইন থেকে বেরিয়ে হাঁটা হাঁটি করে আবার লাইনে দাঁড়াইতে হয়।
এভাবে করতে করতে দেখতে পেলাম লাইন কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা সেখানে যারা যারা ছিলাম তারা গল্প করতে করতে যাক একটা পর্যায়ে একেক করে নিজেদের পালা আসলো।তারপর আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি উঠিয়ে নিলাম। এরপর তারা আমাদেরকে বলে যাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি উঠানো শেষ হয়েছে, তারা নিচে গিয়ে আবার লাইনে দাঁড়ান।একথা শুনে তো আবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে?আজ এই পর্যন্ত বাকি ঘটনা আগামী পর্বে শেয়ার করবো।
যাই হোক আশা করছি বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
https://x.com/Nevlu123/status/1901113505987633452
বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গিয়ে বিড়ম্বনার দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম, আপনারা মাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছেন। কিন্তু পরিক্ষার জন্য কি কি স্কিন সর্ট দিলো, সে গুলোর ব্যপারে কিছু বলবেন। ধন্যবাদ।
ভাই স্ক্রিনশট বলতে লিখিত পরীক্ষাতে কি কি প্রশ্ন আসতে পারে সেটা।
এতবার লাইনে দাঁড়ালেতো যে কারো খারাপ লাগবে। আর প্রতিবারই লাইনে এক দেড় ঘন্টা করে দাঁড়িয়ে থাকা একদম বিরক্তিকর একটি বিষয়।যাইহোক এ পর্ব পড়লাম আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ । আশা করছি খুব শীঘ্রই আগামী পর্ব দেখতে পাবো।
জি খুব শীঘ্রই আর আমি পর্ব শেয়ার করব ধন্যবাদ।
ভাই লাইনে দাঁড়ালে লাইন আর শেষ হতে চায় না। তাই লাইনে দাঁড়ানোর কথা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন দেখছি। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
জি ভাই খুব শীঘ্রই শেয়ার করব ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।।
ভাইয়া আপনি দেখছি বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ভালই বিড়ম্বনাই পড়লেন। আসলে ভাইয়া কখনো যদি লাইনে দাঁড়ানো হয় কাজ যদি স্লো হয় তখন মেজাজ এমনিতে খারাপ হয়ে যায়। আবার দেখা যায় কাজগুলো করতে অলসতা দেখালো খারাপ লাগে। তবে আপনার ছবি ফিঙ্গার নেওয়ার পর আবার লাইনে দাঁড়ালেন। কি কারনে লাইনে দাঁড়ালেন তা জানতে পারলাম না। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
একদম ঠিক বলেছেন জামাল ভাই ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।।